সঞ্জয় রাউত। ফাইল চিত্র।
মুরগি ও ডিমকে নিরামিষ শ্রেণিভুক্ত করা হোক। এমনই দাবি তুললেন শিবসেনা নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় রাউত। সোমবার সংসদে আলোচনার সময় এই দাবি তোলেন তিনি। সেই সময় আয়ুষ মন্ত্রকের উদ্দেশে তিনি বলেন,‘‘মুরগি আমিষ না নিরামিষ তা ঠিক করা উচিত।’’
সংসদে সঞ্জয় জানান, তিনি একবার নান্দুরবারে গিয়েছিলেন। সেখানে জনজাতি সম্প্রদায়ের লোকেরা খাবার পরিবেশন করছিলেন। তিনি তাঁদের প্রশ্ন করেন এটা কী? জবাবে তাঁরা বলেন, এটা আয়ুর্বেদিক মুরগি। তাঁরা এই মুরগিগুলোকে এমনভাবে প্রতিপালন করেছেন, যে তাদের মাংস খেলে সব রোগ দূর হয়ে যাবে।
ওই সাংসদ আরও দাবি করেন, চৌধরি চরণ সিংহ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা তাঁকে বলেছেন, তাঁরা আয়ুর্বেদিক ডিমের উপর গবেষণা করেছেন। সঞ্জয় রাউত আরও দাবি করেন, যে সব মুরগিকে শুধু আয়ুর্বেদিক খাবার খাওয়ানো হয়, তারা আয়ুর্বেদিক ডিম দেয়। ফলে নিরামিষভোজীরাও এগুলি খেতে পারবেন। প্রোটিনের চাহিদাও মিটবে।
আরও পড়ুন : শাড়ি পরা ছবি দিয়ে স্বামীকে ডিনারে নিয়ে যেতে বললেন প্রিয়ঙ্কা
আরও পড়ুন : বাবা-মায়ের ঝগড়ায় অতিষ্ঠ, নিষ্কৃতিমৃত্যু চেয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি কিশোরের
প্রাচীন চিকিত্সা ব্যবস্থা আয়ুর্বেদের উন্নয়নে এ দিন আরও বেশি করে অর্থ বরাদ্দের বিষয়ে রাজ্যসভায় আলোচনায় অংশ নেন সাংসদরা। দাবি ওঠে, আয়ুষ মন্ত্রকের জন্য অন্তত ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হোক। এতে দেশের কোটি কোটি মানুষ উপকৃত হবেন।
জনজাতিদের পরিবেশিত সেই মুরগির মাংস তিনি খেয়েছিলেন কিনা তা জানাননি সঞ্জয়। তবে তাঁর এই দাবির পর নেটিজেনরা কটাক্ষ করতে শুরু করেছেন। কেউ কেউ দাবি করছেন, শুধু মুরগি কেন, পাঁঠা বা গরুর মাংসকেও নিরামিষ তালিকাভুক্ত করা হোক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy