নিহত ড্রাগ ইনস্পেক্টর নেহা শোরি খারারে।
অফিসের মধ্যে ঢুকে এক মহিলা ড্রাগ ইনস্পেক্টরকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। পরে আততায়ী নিজেও গুলি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সে হাসপাতালে ভর্তি। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্জাবের খারার শহরে।
নিহত ড্রাগ ইনস্পেক্টর নেহা শোরি খারারে ড্রাগ অ্যান্ড ফুড কেমিক্যাল ল্যাবরেটরির অফিসার ছিলেন। শুক্রবার দুপুর ১১টা ৪০ নাগাদ তাঁর অফিসে ঢোকে বলীন্দ্র সিংহ। নিজের বৈধ রিভলবার থেকে নেহাকে তিনটি গুলি করে সে। ঘটনাস্থলেউ মৃত্যু হয় নেহার। হইচই পড়ে যায় গোটা অফিস জুড়ে। গুলি চালনোর পরেই অফিস থেকে বেরিয়ে মোটরবাইকে চড়ে পালানোর চেষ্টা করে অভিযুক্ত বলীন্দ্র। কিন্তু লোকজন ধরে ফেলে তাকে। এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘‘লোকজন ঘিরে ধরার পরে রিভলভার উঁচিয়ে ভয় দেখাতে থাকে বলীন্দ্র। কিন্তু উপায় নেই দেখে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সে।’’ খারারের ডিএসপি গিয়ে হেফাজতে নেয় বলীন্দ্রকে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সে চন্ডীগড়ের পিজিআইএমইআর-এ চিকিৎসাধীন।
কেন খুন করা হল নেহাকে? পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, মোরিন্দার বাসিন্দা বলবিন্দর রোপার এলাকায় একটি ওষুধের দোকান চালাত। ভেজাল ওষুধ রাখার অভিযোগে ২০০৯-এ দোকানের লাইসেন্স বাতিল করে দিয়েছিলেন নেহা। সেই সময় ড্রাগ ইনস্পেক্টর হিসেবে রোপারে কর্মরত ছিলেন নেহা। তার বদলা নিতেই এই খুন।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এই ঘটনায় দ্রুত তদন্ত করে দোষীকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার জন্য পঞ্জাবের ডিজিপি দীনকর গুপ্তকে নির্দেশ দিয়েছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ। এই ঘটনায় বিরোধাদের কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আপের অভিযোগ, অমরেন্দ্রের আমলে পঞ্জাবের আইন-শৃঙ্খলা তলানিতে এসে ঠেকেছে। অমরেন্দ্র সিংহের পদত্যাগ দাবি করেছে আপ। পঞ্জাব বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা আপ নেতা হরপাল সিংহ চিমা বলেন, ‘‘রাজ্যে বাড়তে থাকা অপরাধ ঠেকাতে ব্যর্থ অমরেন্দ্র সিংহের সরকার। প্রতিদিন ডাকাতি, খুনের মতো ঘটনা ঘটেই চলেছে।’’ অমরেন্দ্রের সমালোচনায় মুখর হয়েছে শিরোমণি অকালি দলও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy