Advertisement
E-Paper

মায়ের মরদেহ নিয়ে ৯ মাস ঘরে মহিলা, চাঞ্চল্য মুম্বইয়ের বান্দ্রায়

পুলিশ সূত্রে খবর, লকডাউন চলাকালীন গত মার্চেই মহিলার বৃদ্ধা মা মারা যান।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২০ ১১:৪৪
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

কলকাতার রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া মুম্বইয়ের বান্দ্রায়। মায়ের মরদেহের সঙ্গে দীর্ঘ ৯ মাস ঘরে কাটানোর ঘটনা প্রকাশ্যে এল শনিবার। এই ঘটনাকে ঘিরে বান্দ্রার চুইম গ্রামে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, লকডাউন চলাকালীন গত মার্চেই মহিলার বৃদ্ধা মা মারা যান। বিষয়টি কাক-পক্ষীতেও টের পায়নি। মায়ের মরদেহ আগলে রেখে এক ঘরেই বাস করছিলেন মহিলা।

এক প্রতিবেশী জানান, প্রায়ই মহিলাকে জানলা দিয়ে আবর্জনা ফেলতে দেখা যেত। আবর্জনা ফেলার জন্য বাড়ির ওই জানলাটাই শুধু খুলতেন তিনি। অন্য দরজা জানলা বন্ধ থাকত বলে দাবি ওই প্রতিবেশীর।

পুলিশ জানিয়েছে, কেন দরজা-জানলা বন্ধ করে রাখা হত, তা নিয়ে প্রতিবেশীদের মধ্যেও কৌতূহল জন্মেছিল। শনিবারই এক প্রতিবেশী বিষয়টি জানিয়ে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে মহিলার বাড়িতে ঢুকতেই দেখতে পান বিছানার উপর পড়ে রয়েছে অস্থিচর্ম গলে যাওয়া এক বৃদ্ধার দেহ।

আরও পড়ুন: মস্তিষ্কে হানা করোনার, চিন্তা বাড়ছে চিকিৎসকদের

প্রতিবেশীদের কাছ থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে, বাড়িতে মহিলা তাঁর মাকে নিয়েই থাকতেন। প্রতিবেশীদের সঙ্গে খুব একটা মেলামেশা করতেন না। তা ছাড়া মহিলার মানসিক কিছু সমস্যা থাকায় প্রতিবেশীরাও তাঁকে এড়িয়ে চলতেন। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, মানসিক অসুস্থতার জন্যই হয়তো কাউকে মায়ের মৃত্যু সম্পর্কে জানাতে সাহস পাননি মহিলা। তাই মায়ের মরদেহ ঘরে রেখেই তাঁর সঙ্গে বাস করছিলেন মহিলা।

প্রতিবেশীরা পুলিশকে আরও জানিয়েছেন, কয়েক বছর আগে ওই পরিবারের একটি পোষ্য কুকুর মারা গিয়েছিল। তার শেষকৃত্য না করে দীর্ঘ দিন ধরে ঘরেই রেখে দিয়েছিলেন ওই মহিলা ও তাঁর মা।

খার (পশ্চিম)-এর এক শীর্ষ পুলিশ আধিকারিক জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কী ভাবে ওই বৃদ্ধার মৃত্যু হল এবং এই সংক্রান্ত বহু প্রশ্নের জবাব দিতে পারেননি মহিলা। আপাতত তাঁকে চিকিত্সার জন্য পাঠানো হয়েছে। মায়ের মৃত্যুর খবর এত দিন ধরে কেন কাউকে জানাননি, জেরা করে তা জানার চেষ্টা করা হবে বলেও জানিয়েছেন ওই পুলিশ আধিকারিক।

Mumbai Bandra
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy