Advertisement
E-Paper

৬০০ কোটির ঘুষ! ইয়েস ব্যাঙ্ক দুর্নীতিকাণ্ডে রাণা কপূরের স্ত্রী-কন্যার নামও জুড়ল সিবিআই

সোমবারও রাণা কপূরের বাড়ি ও  দফতর-সহ মুম্বইয়ের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।

সবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০২০ ১৭:২২
সিবিআইয়ের এফআইআরে নাম উঠল গোটা পরিবারের।

সিবিআইয়ের এফআইআরে নাম উঠল গোটা পরিবারের।

আর্থিক অনিয়ম ও পরিচালনায় অব্যবস্থার অভিযোগে গতকালই গ্রেফতার হয়েছেন ইয়েস ব্যাঙ্কের সহ প্রতিষ্ঠাতা রাণা কপূর। এ বার সিবিআইয়ের এফআইআরে নাম জুড়ল রাণা কপূরের স্ত্রী এবং তিন মেয়েরও। ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। বিপুল টাকার ঋণ পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে দেওয়ান হাউজিং ফিনান্স লিমিটেড (ডিএইচএফএল)-এর কাছ থেকে ঘুরপথে তাঁদের হাতে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা পৌঁছেছিল বলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিবিআই) সূত্রে জানা গিয়েছে।

সোমবারও রাণা কপূরের বাড়ি ও দফতর-সহ মুম্বইয়ের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। গোটা ঘটনার তদন্তে এখনও পর্যন্ত যে এফআইআর দায়ের করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা, তাতে রাণা কপূর, তাঁর স্ত্রী বিন্দু এবং তিন মেয়ে রাধা, রোশনি এবং রাখির নাম রয়েছে। নাম রয়েছে ডিএইচএফএল, ডু ইট আরবান ভেঞ্চার্স (ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড), আরএবি এন্টারপ্রাইজেস (ইন্ডিয়া) প্রাইভেট লিমিটেড, মর্গ্যান ক্রেডিটস প্রাইভেট লিমিটেড এবং আরকেডব্লিউ ডেভলপার্স প্রাইভেট লিমিটেড—এই পাঁচ সংস্থা ও তাদের প্রোমোটারদের।

ওই এফআইআরে বলা হয়েছে, ২০১৮-র এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে ডিএইচএফএল-এর কাছ থেকে ৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকার ঋণপত্র কিনে নেয় ইয়েস ব্যাঙ্ক। এর পরই ডু ইট আরবান ভেঞ্চার্স সংস্থাকে নির্মাণ খাতে ৬০০ কোটি টাকা ঋণ দেয় ডিএইচএফএল। ওই ডু ইট আর্বান ভেঞ্চার্স সংস্থা আরএবি এন্টারপ্রাইজের সহযোগী সংস্থা, যার ডিরেক্টর আবার রাণা কপূরের স্ত্রী বিন্দু। আরএবি এন্টারপ্রাইজের ১০০ শতাংশের অংশীদার তিনি।

আরও পড়ুন: ডুবন্ত শেয়ার বাজার, এক দিনে দশকের সবচেয়ে বড় পতন​

সিবিআইয়ের দাবি, রাণা কপূরের নির্দেশেই ডিএইচএফএল-কে ৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকা পাইয়ে দেওয়া হয়। তার পরিবর্তে ডিএইচএফএল-এর দুই প্রোমোটার কপিল ওয়াধবন এবং ধীরজ রাজেশ কুমার ওয়াধবন ঘুরপথে বিন্দুর সংস্থায় টাকা ঢালেন। আবার ডু ইট আরবান ভেঞ্চার্সে রাণা কপূরের তিন মেয়ে রোশনি কপূর, রাধা কপূর খন্না এবং রাখি কপূর ট্যান্ডনের ১০০ শতাংশ অংশীদারিত্ব রয়েছে বলেও জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তদন্তে জানা গিয়েছে, ইয়েস ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া ওই ৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকা আজও শোধ দিতে পারেনি ডিএইচএফএল।

আরও পড়ুন: সিজারের আমলেও ‘করোনাভাইরাস’! হোয়াটসঅ্যাপে ঘুরছে বিচিত্র বার্তা​

এর পাশাপাশি বান্দ্রা জমি পুনরুদ্ধার প্রকল্পের জন্য আরকেডব্লিউ ডেভলভার্স প্রাইভেট লিমিটেডকেও ইয়েস ব্যাঙ্ক ৭৫০ কোটি টাকা র ঋণ মঞ্জুর করে বলে তদন্তে উঠে এসেছে। এই আরকেডব্লিউ ডেভলপার্স সংস্থা আবার ডিএইচএফএল-এর গোষ্ঠীভুক্ত। আরকেডব্লিইউ ডেভলপার্সের মাধ্যমে পুরো টাকাটাই ডিএইচএফএল-এর কোষাগারে গিয়ে পড়ে, জমি পুনরুদ্ধারের কাজে যার মধ্যে থেকে একটি টাকাও খরচ হয়নি।

Yes Bank Rana Kapoor CBI FIR Corruption
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy