Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

মেরিল VS মেরিল

এক সত্তা তাঁকে অভিনয় করায়, অন্যটি বিরুদ্ধবাদী। তিনি মেরিল স্ট্রিপ। সদ্য ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কামান দাগা হলিউডি। লিখছেন শঙ্করলাল ভট্টাচার্যএক সত্তা তাঁকে অভিনয় করায়, অন্যটি বিরুদ্ধবাদী। তিনি মেরিল স্ট্রিপ। সদ্য ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কামান দাগা হলিউডি। লিখছেন শঙ্করলাল ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০১৭ ০০:০০
Share: Save:

এত দিন মেরিল স্ট্রিপ বলতে তিনটি ছবি মনের পর্দায় ভাসত।

এক, সেরা অভিনেত্রীর নাম ঘোষণা করা হচ্ছে, অস্কার বা গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারে এবং হাসতে হাসতে আর ঈষৎ বিব্রত ভাব নিয়ে (কারণ বারবার জেতাটা একটু বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে!) মঞ্চে উঠে যাচ্ছেন মেরিল স্ট্রিপ।

দুই, পিটার ও’টুলের হাতে জীবনকৃতি সম্মানের অস্কার তুলে দিতে দিতে বলছেন, ‘‘যে-নায়ককে দেখে অভিনয়ের স্বপ্ন দেখা, তাঁর হাতে তুলে দিচ্ছি অস্কার, এও তো আমাদেরই জয়’’— আর চুম্বন দিচ্ছেন নায়ককে।

আর তিন, ১৯৮০-র বসন্তে লন্ডনের ওডেয়ন হলে ‘ক্রেমার ভার্সাস ক্রেমার’ দেখছি রবিশঙ্করের পাশে বসে। দেখছি, সন্তান নিয়ে কোর্ট-কাছারিতে ডাস্টিন হফম্যান আর মেরিল স্ট্রিপের অভিনয় দেখতে দেখতে আঙুল দিয়ে চোখের কোণ থেকে জল সরাচ্ছেন শিল্পী।

এই তিন ছবির পাশে আরেকটা দৃশ্য জুড়ল এ বারের গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের অনুষ্ঠানে। যখন জীবনকৃতির গ্লোব হাতে নিয়ে নায়িকা বললেন যে, ক্ষমতাধরদের প্রশ্ন করার ক্ষমতা থাকতে হবে নীতিনিষ্ঠ সংবাদমাধ্যমের হাতে। সাংবাদিককেও সমর্থন জোগাতে হবে তাঁর সত্যরক্ষার লড়াইয়ে।

করতালিতে ভেসে যাচ্ছিল অডিটোরিয়াম তখন। সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ কেউ প্রশ্ন তুললেন, পুরস্কার মঞ্চে এ ভাবে রাজনীতি ডেকে আনা ঠিক হল কি না।

কিন্তু সেখানেও আরেকটা প্রশ্ন উঠে আসে: এ যাবৎ অস্কারের জন্য ১৯ বার নমিনেশন পাওয়া এবং ৩ বার বিজয়িনী হওয়া (আর কত কত বার যে গোল্ডেন গ্লোব হাতে তোলা, তার হিসেব কে রাখে!) মেরিল স্ট্রিপ তাঁর মনের কথা, বিবেকের কথা সিনেমার মঞ্চ থেকে বলবেন নাই বা কেন?

‘ক্রেমার ভার্সাস ক্রেমার’, ‘সোফি’জ চয়েস’, ‘দ্য ব্রিজেজ অফ ম্যাডিসন কাউন্টি’ বা ‘ডাউট’ ইত্যাদি ছবির অভিনয় তো জীবন ও সিনেমার সেই ভেদগুলো মুছে দেবার কাজই করে এসেছে এত দিন।

স্ট্রিপের প্রতিভার আলোচনায় একটা তত্ত্ব প্রায়ই উঠে আসে। তা হল, যে কোনও অভিনয়ে তিনি দর্শককে ভাবিয়ে তোলেন যে, রোলটা যেন তাঁরই জন্য লেখা হয়েছিল।

ব্যাপারটা কিন্তু অত সরল নয়। এক বার শুধু ওঁর অভিনীত ছবির তালিকায় চোখ বুলোলেই খেয়াল হয়, গত চল্লিশ বছরে কত বিচিত্র এবং প্রায় বিরোধীভাবাপন্ন চরিত্রে অভিনয় করে ফেলেছেন তিনি।

ক্রেমার-এর (১৯৭৯) চোখের জল, ‘সোফি’জ চয়েস’-এর (১৯৮২) ইহুদি নিধন আতঙ্ক, ‘দ্য ব্রিজেজ অফ ম্যাডিসন কাউন্টি’ (১৯৯৫) পরিণত বয়েসের রোম্যান্স হয়ে ‘দ্য ডেভিল ওয়্যারস প্রাদা’-র (২০০৬) দম ফাটানো কমিক চরিত্রে ফ্যাশন পত্রিকা সম্পাদক মিরান্ডা প্রিস্টলি এক আশ্চর্য বিষয় ও অভিনয় সমাহার, এক অপূর্ব বর্ণালি।

এর কোনও চরিত্রই মেরিল স্ট্রিপকে ভেবে লেখা নয়, মেরিল স্ট্রিপই বরং তাঁর অভিনয়ে-অভিনয়ে তাদের সেই চরিত্র করে তুলেছেন।

‘অ্যাক্টিং মেকস্ রিয়্যালিটি’ বলে একটা কথা শোনা যেত এক সময়, অর্থাৎ অভিনয়ই নাটকে, সিনেমায় বাস্তবতা আনে। হয়তো জীবনেও। অভিনয়ের সমালোচনায় যাকে বলে ইন্টারপ্রিটেশন বা ব্যাখ্যা।

হবু মার্কিন প্রেসিডেন্ট যতই টুইট করুন, মেরিল স্ট্রিপ ‘ওভারেটেড’, ঘটনা এই যে, আধুনিক কালে রুপোলি পর্দার জীবনে এক সেরা ব্যাখ্যাতা-র নাম মেরিল স্ট্রিপ।

মেরিল স্ট্রিপের জীবনের ঘটনাবলিতে ঢোকার আগে ওঁর ঘটানো তিনটি চরিত্রে আমরা নজর ফেলতে পারি।

প্রথমটি অবশ্যই ‘ক্রেমার ভার্সাস ক্রেমার’-এর সেই তরুণী মা। যে স্বামী-পুত্রকে ছেড়ে চলে গেল দূর শহরে। লক্ষ্য হল, নিজের জীবনকে গ়ড়ে নেওয়া, মূল্যবান করা।

বেচারি স্বামী প্রাণান্তকর প্রচেষ্টায় ছেলেকে বড় করে তুলছে যখন, সে ফিরে এসে বালকের কাস্টোডি চাইল। তাই নিয়েই শুরু হল কোর্টরুম ড্রামা।

সমস্ত দর্শকের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে বাবা-ছেলে। অথচ এক অদ্ভুত বিষাদাচ্ছন্ন মূর্তি ও ভাব তরুণী মা মেরিল স্ট্রিপের। মামলায় তাঁর পক্ষে আমরা নই, কিন্তু তাঁর অস্থিরমতি, দুর্বলতা ও অসহায়তায় আমরা কাঁদছি। রবিশঙ্করের মতে— ‘একেবারে বাংলা ছবির কান্না।’

অত্যন্ত চোখকাড়া সৌন্দর্য দেখেছি আমরা স্ট্রিপের এই ভূমিকায়। যে সুন্দর মুখে অনবরত দুঃখ খেলে যায়। বরকে, বর ও ছেলের গভীর বন্ধনকে আঘাত করা হচ্ছে সে জানে, তবুও মামলা তাকে জিততেই হবে। আসলে সে আঘাত হানছে নিজেকেই।

এক আধুনিকতার এই অন্তর্দ্বন্দ্ব সুন্দর সিনেম্যাটিক করেছেন স্ট্রিপ চাহনি, স্তব্ধ কান্না ও ভাঙা স্বরের সংলাপে। ইয়েল ড্রামা স্কুলের শিক্ষা এবং ব্রডওয়েতে চেখভের ‘দ্য চেরি অর্চার্ড’-এ অভিনয়ের অভিজ্ঞতা যেন কোথাও একটা জানান দিচ্ছে এই কাজে।

আমরা শুধু মুগ্ধ হইনি, এক যথার্থ বড় অভিনেত্রীর আবির্ভাব দেখছিলাম।

‘দ্য ডেভিল ওয়্যারস্ প্রাদা’-র ডাকসাইটে ম্যাগাজিন এডিটরের চরিত্রে শয়তানি এবং কৌতুক রস প্রবল ভাবে মিশেছে, সিনেমাটা দেখার অনেক আগে অত্যন্ত মজাদার উপন্যাসটি যখন পড়ি, তখন সত্যিকার যে মহিলার চরিত্র নিয়ে মিরান্ডা প্রিস্টলি নির্মিত সেই দেমাকি, স্টাইলিশ অ্যান ওয়াইনটুয়র চোখে ভাসতেন, তাঁর এ রকম কমিক ব্যাপারস্যাপার আছে কিনা জানি না।

কিন্তু গটগটিয়ে হাঁটাচলা, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারসুলভ কড়া মেজাজ (বস্তুত ২০১১-য় এই থ্যাচারকে নিয়েই করা ওঁর ছবি ‘দ্য আয়রন লেডি’ দুনিয়াকে চমকে দেয়) এবং ‘জগৎ আমায় শুরু আমায় শেষ’ ভাব এক অসাধারণ চার্লস ডিকেন্সীয় মাত্রা পেয়েছে মেরিল স্ট্রিপের ব্যাখ্যায়। ভয়ানক রাগ হচ্ছে মহিলার ওপর, যার সবটাই ঝরে যাচ্ছে হাসিতে।

গাড়িতে বসা শেষ দৃশ্যে ওঁর পরাস্ত চাহনিতে বেদনাও আসে। কিছু সিন যেতে না যেতেই ধরা যাচ্ছিল এই রোলের কপালে অস্কার, গোল্ডেন গ্লোব লেখা আছে।

২০০৬-এ ‘প্রাদা’ করার দু’বছরের মধ্যে আরেক কট্টর, প্রায় নিষ্ঠুর চরিত্র করলেন স্ট্রিপ। ‘ডাউট’ (২০০৮) ছবিতে এক নান বা সন্ন্যাসিনীর। যাঁর সন্দেহ তাঁর পরিচালিত গির্জায় জনপ্রিয় পুরোহিত (ফিলিপ সেমোর হফম্যান অভিনীত) আসলে বালক ছাত্রদের সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত।

এই ডাউট বা সন্দেহই ট্র্যাজিডি ডেকে আনে পুরোহিত, তাঁর স্নেহের কৃষ্ণাঙ্গ বালক ও শেষে সন্ন্যাসিনীর নিজের জীবনেও।

দ্য আয়রন লেডি

‘ক্রেমার ভার্সাস ক্রেমার’ থেকে এক বিস্তীর্ণ যাত্রাই যেন, নারীর নিজের অবিনির্মাণ, এক ট্র্যাজিক বৃত্তের পরিসমাপ্তি।

এই অভিনয় মাত্রার কোথাও না কোথাও মেরিল স্ট্রিপ ছুঁয়ে গেছেন (রবার্ট ডি নিরো-র সঙ্গে) ‘দ্য ডিয়ার হান্টার’, কখনও ‘আউট অফ আফ্রিকা’, কখনও ‘দ্য আওয়ার্স’ বা ‘অ্যাডাপ্টেশন’ গোছের বৌদ্ধিক নাট্যচিত্র, কখনও রাজনৈতিক রোমাঞ্চকথা ‘দ্য মাঞ্চুরিয়ান ক্যান্ডিডেট’, এমনকী আব্বা গোষ্ঠীর সঙ্গীত নিয়ে করা ‘মাম্মা মিয়া’ গোছের ছবিও।

অবশেষে এই সে দিন, প্রায় অবশ করে দিলেন দর্শককে এক বৃদ্ধার চরিত্র করে। যিনি অস্ট্রেলীয়, দূর ভারত থেকে দুটি বালককে অনাথ আশ্রম থেকে উদ্ধার করে এনে নিজের সন্তান হিসেবে মানুষ করেছেন। তাদেরই একজন বড় হয়ে এখন নিজের জৈবিক মায়ের খোঁজে বেরোতে চাইছে!

বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে তৈরি এই ছবি ‘লায়ন’ সম্প্রতি বিদেশে বসে সম্পূর্ণ বিদেশি দর্শকমহলের সঙ্গে দেখেছিলাম। একটু-আধটু কান্নার আওয়াজও পাচ্ছিলাম। কিছু কান্না মেরিল স্ট্রিপের ‘মা’ চরিত্রটির সমবেদনায়।

‘ক্রেমার’-এ মায়ের ছেলের দখল নেওয়া আর ‘লায়ন’-এ পালিকা মায়ের ছেলের দখল শিথিল হওয়া এক বৃত্তের ইঙ্গিত দেয় না?

মেরিল স্ট্রিপের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে, ১৯৪৯ সালের ২২ জুন। ভাসার কলেজ এবং ইয়েল ড্রামা স্কুল থেকে পাশ করে ষাটের দশকে নিউ ইয়র্কে স্টেজে অভিনয় শুরু করেন। ১৯৭৭-এ তিনি সিনেমায় আসেন ‘জুলিয়া’ ছবিতে নেমে।

হলিউডি ধারাকে প্রায় বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ১৯৭৮ থেকে একটি স্বামী নিয়েই ঘর করছেন মেরিল স্ট্রিপ।

তাঁর স্বামী ডন গামার ভাস্কর। ওঁদের চার ছেলেমেয়ে। দুই মেয়ে মামি ও গ্রেস অভিনয়ে এসেছেন।

অভিনয়ের মাধ্যমে চরিত্র রচনায় এত সিদ্ধি যাঁর, সেই চরিত্রদের সম্পর্কে ওঁর বিচার ও বিশ্লেষণ কৌতূহলপ্রদ বইকী!

মার্গারেট থ্যাচারকে সবাই শীতল ও আবেগহীন মনে করেছেন চিরকাল।

‘দ্য আয়রন লেডি’ করতে গিয়ে ওঁর সম্পর্কে স্ট্রিপের ব্যাখ্যা ছিল—‘‘থ্যাচার একটা জিনিস জানতেন যে, যেহেতু তিনি নারী তাই নিজের গুরুত্ব বোঝাতে গেলে নারীসুলভ কিছু মনোভাব, অনুভূতি তাঁকে বর্জন করতে হবে।’’

সেই ‘দ্য আয়রন লেডি’-র জন্য অস্কার হাতে নিয়ে বলেছিলেন, ‘‘ওঁরা যখন আমার নাম ডাকলেন, আমার মনে হল আমি যেন শুনতে পাচ্ছি, অর্ধেক আমেরিকা বলে উঠল, ‘আরে না! আবার উনি? আবার!’’

বললেন, ‘‘তিরিশ বছর আগে যখন প্রথম এই পুরস্কার পাই, তখন আমি নিতান্তই বালিকা। এ বারের দু’জন প্রার্থীর তখন জন্মই হয়নি। ভাবছিলাম, আমি কত বুড়ো আর সেকেলে! কিন্তু যেই ওঁরা আমার নাম ডাকল, এক শ্বেতশুভ্র আলোয় আচ্ছন্ন করে ফেলল আমাকে।’’

এ বারের গোল্ডন গ্লোব-এর পুরস্কার হাতে নিয়ে বললেন, ‘‘একজন অভিনেতার কাজই হল তার থেকে ভিন্ন সব মানুষের জীবনে প্রবেশ করে সেই সব মর্ম ও অনুভূতি সবার জন্য বার করে আনা। এ বছরও তেমন প্রচুর, প্রচুর, প্রচুর অভিনয় ঠিক সেই কাজটাই করে দেখিয়েছে। শ্বাসরোধকর, সমবেদনার কাজ।’’

মেরিল স্ট্রিপ তাঁর ভাষণ শেষ করেছিলেন তাঁর বন্ধু, সদ্যপ্রয়াতা ক্যারি ফিশারের একটা কথা উদ্ধৃত করে।

যে-হলিউডে দু’চার বছর বাদে বাদেই অভিনেত্রীর বাজার বদলে যায়, সেখানে মেরিল স্ট্রিপের চল্লিশ বছরের জমানা (এবং এখনও অটুট) সম্ভব হল কীসে?

না, খুব জটিল প্রশ্ন নয় এটা।

প্রথমত, দ্বিতীয়ত এবং তৃতীয়ত ওঁর প্রতিভা।

দ্য ডেভিল ওয়্যারস্ প্রাদা

চতুর্থত, কোনও এক টাইপের মধ্যে নিজেকে গেঁথে না ফেলা।

পঞ্চমত, বিষয়বৈচিত্রের প্রতি প্রশ্রয়। খোলা মনে নতুন নতুন বিষয়ে অভিনয়ের পরিসর আবিষ্কারের ক্ষমতা।

ষষ্ঠত, এবং গুরুত্বপূর্ণভাবে— মেজাজে, ভাবনায়, নিজের স্বাতন্ত্র্য সংরক্ষণে আধুনিক থেকে যাওয়া। কারণ শিল্পকলায় নিজের জায়গায় স্থির থাকতে হলে ক্রমাগত দৌড়তে হয়।

সপ্তমত এবং শেষত, সাফল্য সাফল্য এবং আরও সাফল্যের পরও নিউ জার্সির সেই সামিট পল্লির মেরিল স্ট্রিপ থেকে যাওয়া।

গোল্ডেন গ্লোবের জীবনকৃতি সম্মানের উত্তরে যে-সংযত, মূল্যবান ভাষণটি দিলেন, তাতেই স্পষ্ট ব্রডওয়ের স্টেজে অভিনয় করা মেয়েটি দিনে দিনে কী প্রবল দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন নিজের কাঁধে। বুঝেছেন, গোটা পৃথিবী একটা মঞ্চ হলেও সময়-সময় অভিনয় থেকে জীবনে প্রবেশও বাধ্যতামূলক হয়। ‘অ্যাক্ট’ অর্থাৎ অভিনয়কে ‘অ্যাক্ট’ অর্থাৎ দায়িত্ব পালন করে যেতে হয়।

এই ভাবনা থকে স্ট্রিপ প্রয়োজনে রাজনীতির রঙ্গমঞ্চে যাওয়া-আসা করেছেন। পছন্দের প্রার্থীর জন্য ক্যাম্পেন করেছেন। ‘পোস্টকার্ডজ ফ্রম দ্য এজ’ (সীমান্ত থেকে পত্রাবলি) ছবির নায়িকা ঠিক সময়ে, সঠিক কারণে, নির্দিষ্ট মঞ্চের মাঝখানে দাঁড়িয়ে নিজের প্রতিবাদ শুনিয়েছেন।

দেখিয়েছেন, অভিনয় তেমন আলাদা কোনও শিল্প নয়।

জীবনকে ব্যবহারেরই একটা নিয়ম।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Meryl Streep
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE