Advertisement
E-Paper

মহীনের সেই গানে

রবীন্দ্রসদনে পঞ্চম সহজিয়া উৎসবরবীন্দ্রসদনে পঞ্চম সহজিয়া উৎসব

শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০১৫ ০০:০৪

মহীনের ঘোড়াগুলি’। এটা শুনলেই যার কথা আগে মনে আসে তিনি হলেন প্রথম বাংলা ব্যান্ডের স্রষ্টা গৌতম চট্টোপাধ্যায়। তিনি না থাকলেও তাঁর গানের ধারা আজও থেকে গেছে। গৌতম চট্টোপাধ্যায় ও দীপক মজুমদার দু’জনেই আশির দশকে বাউল-ফকিরদের নিয়েও নতুন গানের দিশা দেখিয়েছিলেন। মহীনের অনেক গানে এই লোকায়ত জীবন ও সঙ্গীতের প্রভাব দেখা যায়। সম্প্রতি রবীন্দ্রসদনে হয়ে গেল পঞ্চম সহজিয়া উৎসব, যার শিরোনাম ‘মণি ছাড়া শূন্য লাগে।’

শুরুতেই দেবদাস বাউল গাইলেন ‘গুরু মহাজনে’। পরে কার্তিক দাস ‘বাঘের ডাকে অন্তর কাঁপে’, গৌরব চট্টোপাধ্যায় ‘টেলিফোন’, সুরজিৎ ‘আমি ডান দিকে রই’, সৌমিত্র ‘মনে আর নাই রে’, সিধু ‘কাঁপে কাঁপে’, রঞ্জন প্রসাদ ‘এসো হে বন্ধু আমার’, শুভেন্দু মাইতি ‘রাখতে নারি প্রেমজল’।

রূপম ও দেব চৌধুরী একসঙ্গে গাইলেন ‘পৃথিবীটা নাকি’। অনুষ্ঠানে সহজিয়া ব্যান্ডের ‘নদী দেখিয়া’ বেশ মনোরম। অনুষ্ঠানের শেষে বিশ্বনাথ দাস, কার্তিক দাস, আনন্দ দাস, দুর্গা ক্ষেপী এবং মনসুর ফকির একসঙ্গে গাইলেন ‘মিলন হবে কত দিনে’। অপূর্ব সেই গানের আবহ!

দ্বন্দ্ব শেষ হয় চিরন্তন প্রেমে

‘তপস্বী ও তরঙ্গিনী’ নাটকে

কসবা উত্তরণ প্রযোজিত বুদ্ধদেব বসুর ‘তপস্বী ও তরঙ্গিনী’। সম্প্রতি এ নাটকে ফুটে উঠেছে সময়ের সঙ্গে ছুটে চলার কিছু মুহূর্ত এবং সেই সব অবধারিত প্রশ্ন, যা কোনও না কোনও সময় ভাবায়।

এ গল্প রামায়ণের আগের সময়ের গল্প। এ গল্প যেন এক ঠান্ডা লড়াই-এর গল্প। যেখানে দাঁতে দাঁত চেপে ব্রাক্ষ্ম্যণ্যবাদ হারাতে চায় রাজতন্ত্রকে। এবং যেখানে কাম ব্যবহৃত হয় প্রেমকে ধ্বংস করতে।

কবি বুদ্ধদেব বসু তাঁর এই প্রিয় কাব্যনাটকটি রচনা করেছেন ঋষ্যশৃঙ্গ মুনির গল্পটিকে সামনে রেখে। যেখানে দৈববাণীর ছদ্মবেশে ব্রাক্ষ্মণ্যবাদ দখল করতে চায় অঙ্গ রাজ্যের সিংহাসন। আর সেই উদ্দেশ্যেই ব্যবহৃত হয় ঋষ্যশৃঙ্গ ও চম্পা নগরের সুন্দরী বারাঙ্গনা তরঙ্গিনী। এক দিকে ক্ষমতার লোভ, অন্য দিকে প্রেম, এক দিকে পরম ব্রক্ষ্মকে লাভ করার আকাঙ্খা অন্য দিকে অতৃপ্ত কাম। চিরকালের এই দ্বন্দ্বে শেষ পর্যন্ত জিতে যায় চিরন্তন প্রেম কিংবা মানবজন্মের সেই চিরায়ত গন্তব্য, যার সন্ধানে হেঁটে চলেছি আমরা সবাই।

এ নাটকের বড় সম্পদ অভিনয়। প্রত্যেকেই চেষ্টা করেছেন চরিত্রানুযায়ী নিজেকে মেলে ধরতে। তবুও উল্লেখযোগ্য প্রদীপ মণ্ডল, শক্তিব্রত চক্রবর্তী, স্বাতীশ্রী ঘোষ, গোবিন্দ সরকার, সৌরভ মুখোপাধ্যায় প্রমুখের অভিনয়। কন্ঠ সঙ্গীতে রেশমি ঘোষ, ঈষা ভট্টাচার্য ও শম্পা ঘোষ। সংযোজনায় কমল চক্রবর্তী।

দরবেশের দরবারে

সম্প্রতি রবীন্দ্রসদনে অনুষ্ঠিত হল নাজমুলের একক ‘দরবেশের দরবারে’। নাজমুল পরিবেশন করলেন লালন থেকে লালনোত্তর মহাজনী গান। শিল্পীর মূল ভাবনায় ছিল লোকসঙ্গীত এবং রাগসঙ্গীতের একক যুগলবন্দি। লালন-এর ‘প্রেম রসিকা’ গানটি দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা। ভবাপাগলা-র ‘আমি এসেছি হেথায়’ গানটিতে মৌমিতা বৈরাগীর কন্ঠে দরবারী বন্দিশ এক অন্য মাত্রা পায়। প্রচলিত ভাটিয়ালী ‘মাঝি যখন নৌকা চড়ে’ গানটিতে সমবেত কণ্ঠের প্রয়োগ এক নৈসর্গিক ও মাঝির অবিরাম নৌকা বাওয়ার এক ক্লান্তিকর পরিবেশ প্রেক্ষাগৃহ জুড়ে প্রতিধ্বনিত হয়। শাহ আব্দুল করীমের ‘তোমরা কুঞ্জ সাজাও গো’ গানটির সঙ্গে মৌমিতার ‘অ্যায়সী বেদর্দা কী হাল পরি গুইয়া’- দাদরাটির মিশ্রণ সহযোগে পরিবেশন এক নতুনত্বের দাবি করে।

নাজমুলের ‘হৃদমাঝারে রাখবো’ শ্রোতাদের ভাল লাগে। ভবা পাগলার গান দিয়েই শেষ হয় মহাজনী গানের মরমী সন্ধ্যা।

সবাই যখন মনে রাখে

আবৃত্তি উত্তম’ আয়োজিত অনুষ্ঠানে সেই সংস্থারই ছাত্র অগ্নিদীপকে মনে রেখে বাংলা অ্যাকাডেমিতে আয়োজিত হল দু’ দিনের আবৃত্তির আসর। নবীন ও প্রবীণ প্রায় সব শিল্পীই তাঁদের কণ্ঠে শুনিয়েছেন বিভিন্ন কবির নির্বাচিত কবিতার অংশ। শুরুতেই অর্ণব চক্রবর্তীর কন্ঠে রবীন্দ্রনাথের ‘দুঃসময়’ ও আলোকরঞ্জন দাশগুপ্তের ‘কোঙ্কনি ভাষা’ বিশেষ মাত্রা আনে। বিজয়লক্ষ্মী বর্মন, সুমন্ত্র সেনগুপ্ত, দেবব্রত দত্ত, পার্থ ঘোষ, সুবোধ সরকার, অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় ও অনিন্দিতা কাজীর আবৃত্তি পরিবেশনও ছিল শ্রোতাদের কাছে বাড়তি পাওনা। এ দিন সংস্থার অর্পিতা দাস, সায়ন্তনী মণ্ডলও নজর কাড়েন। শুরুতেই রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন করলেন সুছন্দা ঘোষ ও মাধবী দত্ত।

অন্যদুর্গা

সম্প্রতি নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হল ‘কোয়েল পায়েল’ সংস্থার উনত্রিশতম বার্ষিক নৃত্যানুষ্ঠান। পরিবেশিত হল বিভিন্ন আঙ্গিকের নৃত্য। তার মধ্যে নজর কাড়ে ‘অন্যদুর্গা’। বিষয় হিসেবে উঠে এসেছে এক প্রেমিকার জীবনে প্রেমিকের অবহেলা, অত্যাচার এবং তা থেকে উত্তরণ। নজর কেড়েছে একশো পঁচাত্তর জন শিল্পীর যৌথ নৃত্য।

patrika anandabazar music play mohiner ghoraguli mohin
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy