Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
সঙ্গীত সমালোচনা...

যখন পড়ল মনে

গান ও সুরে। লিখছেন শিখা বসু।গান ও সুরে। লিখছেন শিখা বসু।

শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০১৪ ১৬:৩২
Share: Save:

বসন্তের গোধূলি সন্ধ্যায় শ্রোতারা মাতোয়ারা যাঁকে নিয়ে তিনি বিশাল মঞ্চের এক কোণে হাসছেন। গানে-সুরে-কথার মেলবন্ধনে তিনিও আপ্লুত। কারণ সঙ্গীতের সব ধারাতেই তাঁর ছিল অনায়াস দক্ষতা। জনপ্রিয় সেই সঙ্গীত সম্রাট রাহুল দেব বর্মনের গানগুলি গাইলেন এই প্রজন্মের শিল্পীরা। ‘এ ট্রিবিউট টু পঞ্চম’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের শুরুতেই শিবাজী চট্টোপাধ্যায় নস্টালজিয়া গানের একটি সুর তুলেই মুগ্ধ করলেন শ্রোতাদের। কী অপূর্ব অনুভূতি। শিবাজীর কণ্ঠের সতেজতা এখনও অটুট। রাঘব চট্টোপাধ্যায় বলতে চাইলেন ‘তুমি যে কত দূরে’। গানে প্রাণ আছে। ঠিক গানই নির্বাচন করেছিলেন তিনি। পরের গান ছিল ‘বল কে’।

এর আগেও এই শিল্পীর কণ্ঠে মান্না দে’র কয়েকটি গান শোনার অভিজ্ঞতা হয়েছিল এই প্রতিবেদকের। সব ধরনের গানেই তিনি যে বেশ পারদর্শী, তা নিজেই তার প্রমাণ রাখলেন। সেই রেশ ধরে রাখলেন জোজো ‘কেউ জানে না তুমি যে আমার’। এ ছাড়াও শিল্পীদের মধ্যে ছিলেন গৌতম ঘোষ, ইমন চট্টোপাধ্যায়, সুজয় ভৌমিক, মাধুরী দে, গার্গী ঘোষ প্রমুখ। এর মধ্যে ইমনের ‘তুমি যে কত দূরে’, সুজয়ের ‘মন মাঝিরে’ মন ভরিয়ে দেয়। কৌশিক ভট্টাচার্য, রুথলীন সাহার সঞ্চালনায় পার্থপ্রতিম সাহা ও ভোলা ভট্টাচার্যের ব্যবস্থাপনায় এই অনুষ্ঠানে কলকাতার বিশিষ্ট চিকিৎসকদের সম্মানিত করা হয়। যা বেশ অভিনব। অনুষ্ঠান শেষ হয় মঞ্চে উপস্থিত সব শিল্পীর সমবেত গানে। আয়োজক ছিলেন থিজ্ম।

গানের গভীরতা

শতরূপা চক্রবর্তী

সম্প্রতি রবীন্দ্রসদনে গাইলেন শিখা চৌধুরী। শিল্পী রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন করলেন। তাঁর নিবেদনে ছিল কয়েকটি প্রেম পর্যায়ের গান। ‘একটুকু ছোঁয়া লাগে’, ‘এ কী লাবণ্যে পূর্ণ প্রাণ’ গানগুলি তাঁর পরিণত গায়কির স্বাক্ষর রাখে। এছাড়াও ‘ওগো আমার চির’, ‘অচেনা পরদেশী’, ‘বাসন্তী হে ভুবনমোহিনী’ গানগুলি হৃদয় স্পর্শ করে।

প্রেম ও বিরহ

শিশিরমঞ্চে সোনার তরী কলাকেন্দ্রের রবীন্দ্রসঙ্গীত ও কবিতার অনুষ্ঠানে শুরুতেই সংস্থার শিশুশিল্পীরা শোনাল সমবেত আবৃত্তি। পরে মাধবী দত্তের ‘চিরসখা হে’ যথাযথ। এ ছাড়াও সুছন্দা ঘোষ ও মৌসুমী কর্মকার শোনালেন বেশ কয়েকটি রবীন্দ্রসঙ্গীত। এই সুন্দর গানের রেশ বজায় রইল পরবর্তী শিল্পীদের কণ্ঠেও। তাঁরা হলেন বাসবী বাগচি, মধুছন্দা চক্রবর্তী, মধুছন্দা ঘটক, অমিতেশ চন্দ, উমা ঘোষ, দীপান্বিতা ভৌমিক ও সুতপা হালদার। এ দিন আবৃত্তি শোনালেন ঈশিতা দাস অধিকারী, উষসী সেনগুপ্ত, দীপক মুখোপাধ্যায় ও দেবাশিস হালদার। সব শেষে ছিল ‘শেষের কবিতা’-র সংক্ষিপ্ত শ্রুতিনাট্যরূপ। অমিত ও লাবণ্যের প্রেম ও বিরহের যথাযথ অভিব্যক্তি ঘটে দেবাশিস মিত্র ও অসীমা ভড়ের কণ্ঠে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE