Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
ব্যক্তিগত আক্রোশ মেটাতে ষড়যন্ত্র হয়েছিল বাড়িতে ডাকাতিরও। তবু বালিকা বিদ্যালয় তুলে দেওয়ার কথা ভাবেননি। জলের মতো অর্থব্যয় করে স্থাপন করেন হিন্দু হস্টেল, চালাতেন চোরবাগান অন্নসত্র। তাঁর ফার্স্ট বুক পড়ে বড় হয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও। প্রেসিডেন্সি কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রথম ভারতীয় অধ্যাপক প্যারীচরণ সরকারের দ্বিশতবর্ষের সূচনা হয়েছে এ বছরই।
Bengali Story

মেয়েদের স্কুল প্রতিষ্ঠার ফল প্রাণনাশের হুমকি

হিন্দু হস্টেল নামে ওই আবাস ভবনটির স্থাপয়িতা প্যারীচরণ সরকার, সে কথা আজকের দিনে ক’জনই বা জানেন! তিনি তখন হেয়ার স্কুলের প্রধান শিক্ষক।

মাস্টারমশাই: প্যারীচরণ সরকার। ছবি: উইকিমিডিয়া কমন্স

মাস্টারমশাই: প্যারীচরণ সরকার। ছবি: উইকিমিডিয়া কমন্স

শুভাশিস চক্রবর্তী
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৮:৪২
Share: Save:

রাত তখন গভীর। জানালায় মৃদু করাঘাতের শব্দে ঘুম ভেঙে গেল প্যারীবাবুর। এত রাতে কে হতে পারে! জানালা না খুলে ঘর থেকে সাড়া দিলেন। বাইরে থেকে যে উত্তর দিল, তার কণ্ঠস্বর অচেনা। প্যারীবাবুকে সে বাইরে আসতে অনুরোধ করছে। এলেন তিনি বাইরে। ঘুটঘুটে অন্ধকার, নিস্তব্ধ চার পাশ। লোকটা কাতর কণ্ঠে বলল, এখানে দাঁড়িয়ে কথা বলার বিপদ আছে। সে যেখানে যেতে চাইছে সেই জায়গাটা খুব একটা দূরে নয়। সরকারি বিদ্যালয়ের হেডমাস্টার প্যারীচরণ সরকার ভাবতেও পারেন না, এই বারাসত সদরে কেউ তাঁর অনিষ্ট করতে পারে। তাই বিনা দ্বিধায় অচেনা লোকটির সঙ্গে বেরিয়ে পড়লেন। খানিক দূর গিয়ে লোকটি বলল, সেই রাতের তৃতীয় প্রহরে তাঁর ও কালীকৃষ্ণবাবুর বাড়িতে ডাকাতি হবে। এই দু’জনের উপর ব্যক্তিগত রাগই ডাকাতির উদ্দেশ্য, রাগের কারণ বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন। খবর যে দিতে এসেছে, সে নিজে ওই ডাকাত দলের এক জন সদস্য। কিন্তু তার পিতা কালীকৃষ্ণ মিত্রের মাতামহের অন্নে প্রতিপালিত। তাই মিত্রমশাইদের ক্ষতি আটকাতে এক প্রহর রাতে সে এসেছে সতর্কবার্তা দিতে।

মেয়েদের জন্য বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ব্যাপারটি বারাসতের উচ্চবিত্ত মহল সে কালে ভাল ভাবে নেয়নি। প্যারীচরণ সরকার ও কালীকৃষ্ণ মিত্রকে এর জন্য প্রকাশ্যে অজস্র কটূক্তি শুনতে হয়েছে, সমাজচ্যুত হতে হয়েছে; কিন্তু ডাকাতির ঘটনা সাজিয়ে প্রাণনাশের ষড়যন্ত্র হতে পারে, এটা দুই বন্ধুর পক্ষে কল্পনাতীত! কোনও জমিদার তাঁদের হত্যা করার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেছেন— এ রকম রটনার ফলে ম্যাজিস্ট্রেট সাহেব দু’জনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ প্রহরার ব্যবস্থা করেন। তবু দুই বন্ধু বালিকা বিদ্যালয়টি তুলে দেওয়ার কথা মনেও আনেননি। কালীকৃষ্ণের অগ্রজ নবীনকৃষ্ণের কন্যা কুন্তীবালা এর প্রথম ছাত্রী। ঠিক ১৭৫ বছর আগে মিত্রদের বসতবাড়িতে এই মহিলা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু। ‘বারাসত কালীকৃষ্ণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়’ নামে আজও সেই যাত্রা অব্যাহত। এটাই কি বঙ্গদেশে সম্পূর্ণ ভারতীয়দের দ্বারা পরিচালিত প্রথম মেয়েদের স্কুল? বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক থাকলেও ‘বঙ্গমহিলা’ পত্রিকার ১২৮২ বঙ্গাব্দের কার্তিক সংখ্যায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করা যেতে পারে এখানে— “বোধ হয় হিন্দুসমাজ মধ্যে বালিকা বিদ্যালয়ের ইহাই প্রথম সূত্রপাত।… স্মরণীয় বেথুন সাহেব এই বালিকা বিদ্যালয়টীর বিশেষ যত্ন করিতেন এবং বোধ হয় ইহার দৃষ্টান্তেই তাঁহার নামখ্যাত বালিকা বিদ্যালয় স্থাপিত হয়।”

ডেভিড হেয়ারের প্রত্যক্ষ ছাত্র ছিলেন প্যারীচরণ সরকার। স্কুল সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত একাধিক পাঠশালার মধ্যে কর্নওয়ালিস স্ট্রিটের সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরের কাছে যে পাঠশালাটি ছিল, হেয়ার সাহেব সেখানে নিজে পড়াতেন। চোরবাগানের বাড়ি থেকে পায়ে হাঁটা পথ বলে বালক প্যারীচরণ একাই যেতেন ইস্কুলে। হেয়ার সাহেব হস্তধৃত ‘লক্ষ্মীমণি’ দিয়ে ‘আদর’ করতেন ছাত্রদের! সেই ‘আদর’ ওই পাঠশালার কেউ খায়নি, তা হতে পারে না। বিশেষ করে দুরন্ত বাচ্চাদের শায়েস্তা করতে ‘লক্ষ্মীমণি’ই পারত। সাহেবের এক গাছি চাবুকের সাঙ্কেতিক নাম ছিল ‘লক্ষ্মীমণি’। তবে এর আঘাত মর্মান্তিক ছিল না, কারণ হেয়ার সাহেব ভয় দেখানোর জন্য মূলত লক্ষ্মীমণিকে হাতে রাখতেন। বালক প্যারীচরণও দু’-চার ঘা খেয়েছেন, যমের মতো ভয় পেতেন হেয়ারের দণ্ডটিকে।

পাঠশালা ছেড়ে দেওয়ার পরও শিক্ষক ও ছাত্রের সম্পর্কের সোনালি বন্ধন অটুট ছিল। পথেঘাটে দেখা হত প্রায়শ, তা ছাড়া শিক্ষকের বাড়িতে ছাত্রের প্রবেশ ছিল অবাধ। হেয়ার সাহেব হঠাৎ এক দিন প্যারীচরণকে বললেন, “প্যারী, তুমি এখন যেখানে ইচ্ছে যেতে পারো। আমার কোনও আপত্তি নেই তাতে।” প্যারীচরণ অপ্রত্যাশিত এমন কথায় একটু বিস্মিত হলেন। আসলে ডেভিড হেয়ার দীর্ঘ দিন ধরে অনেক ছাত্রই তো পড়িয়েছেন, তাঁদের মধ্যে প্রতিভাবান খুব কম ছিল না। কিন্তু সুরা আর নিষিদ্ধপল্লির প্রতি আসক্তি তাদের জীবন ধ্বংস করে দিয়েছে চোখের সামনে। তাই হেয়ার সাহেব চেষ্টা করতেন পছন্দের ছাত্রদের বিধিনিষেধের মাধ্যমে, এক রকম শাসন করেই, ঠিক পথে রাখতে। অন্যদের মতো প্যারীচরণ যদি মদ্যপানে আসক্ত হয়ে পড়ে, তার থেকে আফসোসের কিছু থাকবে না। দুই বছর ধরে প্যারীকে তিনি গোপনে নজরে রেখেছেন। তাঁর পিছন পিছন ঘুরেছেন, বুঝতে দেননি তিনি অনুসরণ করছেন। অবশেষে স্নেহাস্পদ প্যারীচরণকে সে দিন জানিয়ে দিলেন নিজের সিদ্ধান্ত: “আমি সঙ্গোপনে তোমার বিষয়ে অনেক অনুসন্ধান করেছি। তোমার কোনও দোষ দেখতে পাইনি। তুমি চরিত্রের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছ।” হয়তো এরই খানিক অভিঘাতে প্যারীচরণ তাঁর কলকাতার কর্মজীবনে ‘সুরাপান নিবারণী’ আন্দোলনের সূত্রপাত করেছিলেন। ১৮৬৩ সালের নভেম্বর মাসে তাঁর প্রতিষ্ঠিত ‘বঙ্গীয় মাদকনিবারিণী সমাজ’-এর যাত্রা শুরু। এই সমাজের ছিল দু’টি মুখপত্র: ইংরেজিতে ‘ওয়েল উইশার’ এবং বাংলায় ‘হিতসাধক’। এই সভার সদস্য হতে হলে একটি প্রতিজ্ঞাপত্রে সই করতে হত, যেখানে মদ্যপান না করার প্রতিশ্রুতি লিপিবদ্ধ থাকত। প্যারীচরণ বঙ্গীয় যুবসমাজকে নেশামুক্তির আলোয় ফিরিয়ে আনার জন্য প্রাণপাত পরিশ্রম করেছিলেন। তাঁর সমুন্নত চরিত্র ও পর্যাপ্ত খ্যাতি এই অভিযানকে সাফল্যের মুখ দেখিয়েছিল। সমাজ সংস্কারের নানামুখী স্রোতে উনিশ শতক উজ্জ্বল। তার মধ্যে মাদকবিরোধী আন্দোলনের ব্যাপ্তি ও প্রভাব কতটা, তা বুঝতে গেলে পড়তে হবে দীনবন্ধু মিত্রের ‘সধবার একাদশী’ নাটক। সেখানে কাল্পনিক চরিত্র নিমচাঁদের প্রধান শত্রুই ছিল যেন বাস্তবের প্যারীবাবু! এ ছাড়া দীনবন্ধু ‘সুরধুনী কাব্য’ গ্রন্থে লিখেছেন: “চোরবাগানের পুষ্প পিয়ারীচরণ,/ যাহার ইংরাজী বই পড়ে শিশুগণ,/ করিতেছে সুযতনে ভাল নিবারণ,/ হীনমতি সুরাপান বিষম শমন।”

মিত্র-কবি বর্ণিত ‘শিশুগণ’-এর মধ্যে উজ্জ্বলতম নাম অবশ্যই রবীন্দ্রনাথ। মাস্টারমশাই অঘোরবাবুর কাছে রবির বাল্যশিক্ষার বিবরণ ‘জীবনস্মৃতি’-র একটি বহুপঠিত অংশ। সেজবাতির আলোয়, তন্দ্রাচ্ছন্ন হাই-ওঠা সন্ধ্যায় ইংরেজি শিক্ষার জন্য প্যারীচরণের ‘ফার্স্ট বুক’ পড়তে হত রবিকে। ছ’খণ্ডে সমাপ্ত সেই প্রাইমারের পুরো নাম ‘ফার্স্ট বুক অব রিডিং ফর নেটিভ চিলড্রেন’। বইটির খ্যাতি ভারত জুড়ে ছড়িয়েছিল: “কেবল বঙ্গদেশীয় বিদ্যালয় সমূহে নহে— ভারতের অপরাপর প্রদেশের বিদ্যালয় সমূহে সমাদরে প্রবর্ত্তিত হয়।” এটি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে ‘বর্ণপরিচয়’ লেখার অনুপ্রেরণা দিয়ে থাকতে পারে, কেননা ‘ফার্স্ট বুক’ আর ‘বর্ণপরিচয়’-এর প্রকাশ ব্যবধান পুরো পাঁচটি বছরের। এ ছাড়াও ছাত্রপাঠ্য ভূগোল ও অন্যান্য বই লিখেছেন। বন্ধুবর বিদ্যাসাগরের জন্মভূমি বীরসিংহ গ্রামের ছাত্রছাত্রীদের জন্য প্রতি বছর বিনামূল্যে সেই পাঠ্যপুস্তকাদি পাঠাতেন।

‘করুণাসাগর’ শব্দের অনন্যতা আমাদের মনে করিয়ে দেয় ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের নাম। তাঁর বন্ধু প্যারীচরণের দানশীলতাও ছিল অতুলনীয়। বারাসত ও কলকাতায় অসংখ্য দরিদ্র ছাত্র তাঁর আর্থিক সহায়তায় পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছে, প্রতিষ্ঠা পেয়েছে; অসুস্থ ছাত্রদের নিজের হাতে শুশ্রূষা করতেন, প্রয়োজনে চিকিৎসার ব্যয়বহন করাটাও যেন স্বাভাবিক ঘটনা ছিল। তাঁর জীবনীকার নবকৃষ্ণ ঘোষ লিখেছেন: “অনেক নিরুপায় ভদ্র ব্যক্তি, দীন ছাত্র, ও অনাথা ভদ্রবংশীয়া স্ত্রীলোক তাঁহার অর্থে জীবন যাপন করিত। এতদর্থে তিনি মাসে মাসে নিয়মিত রূপে তিন চারিশত টাকা ব্যয় করিতেন।” এই করুণাপূর্ণ হৃদয়ের উদ্ভাসিত রূপটি যেন আরও গভীর উদাহরণ রেখে গিয়েছে ১৮৬৬ সালের দুর্ভিক্ষের দিনগুলিতে। ওড়িশা এবং বাংলার নানা স্থান থেকে ক্ষুধার্ত মানুষের ঢল নেমেছিল সে দিন কলকাতার বুকে। নিজের বাড়ির সামনে একটি আটচালা তৈরি করে ‘চোরবাগান অন্নছত্র’ নাম দিয়ে অন্নযজ্ঞ খুলে ছিলেন প্যারীচরণ। নানা জনের কাছ থেকে অর্থভিক্ষা করে, নিজের সাধ্যাতীত দানে টানা তিন মাস ধরে প্রায় এক লক্ষ দুর্ভিক্ষতাড়িত মানুষের মুখে অন্ন তুলে দিয়েছিলেন তিনি। আরও দীর্ঘ দিন পারতেন এই সেবাকার্য চালাতে। কিন্তু কঙ্কালসার, পীড়াক্লিষ্ট মানুষগুলির সংক্রামক রোগের হাত থেকে নগর কলকাতাকে বাঁচানোর জন্য সরকার এদের চিৎপুরে পাঠিয়ে দেয়। সিদ্ধান্তটির তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন প্যারীচরণ। স্ব-সম্পাদিত সরকারি পত্রিকা ‘এডুকেশন গেজেট’-এ সরকারের প্রতি অনুরোধ করেন, বিফল হলে চোরবাগানে প্রতিবাদ সভা করে প্রচারপত্র বিলিও করেন। সরকার তার সিদ্ধান্তে অনড় থাকলে অন্যদের মতো প্যারীচরণকেও তাই অকালে এই অন্নছত্র বন্ধ করে দিতে হয়েছিল।

হিন্দু হস্টেল নামে ওই আবাস ভবনটির স্থাপয়িতা প্যারীচরণ সরকার, সে কথা আজকের দিনে ক’জনই বা জানেন! তিনি তখন হেয়ার স্কুলের প্রধান শিক্ষক। এর আগে বারাসতের সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ছাত্রাবাস চালু করে সুফল পেয়েছিলেন। কলকাতার মতো রাজধানী শহরে এর প্রয়োজন আরও অধিক। প্রস্তাব পেশ করলেন, কিন্তু সরকারি দফতর অর্থদানে অপারগ। তাতে কী! প্যারীচরণ লালবাজারের কাছে মাসিক চল্লিশ টাকা ভাড়া দিয়ে একটা বাড়ি নিয়ে নিলেন, সেখানে থাকতে পারবে পঁয়তাল্লিশটি ছাত্র। আবাসিকদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হলেও ‘স্থাপয়িতা স্বয়ং জলের ন্যায় অর্থব্যয় করিতেন’। এই উদ্যোগে তাঁর পাশে যাঁরা দাঁড়িয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে বিশেষ ভাবে উল্লেখ করতে হবে ভুবনমোহন সরকার, দীননাথ ধর এবং নীলমণি চক্রবর্তীর নাম। প্যারীচরণের জন্ম ১৮২৩ সালের ২৩ জানুয়ারি। আগামী বছরের ২৩ জানুয়ারি পূর্ণ হবে তাঁর দ্বিশতবর্ষ। মাত্র বাহান্ন বছর বয়সে তাঁর অকালপ্রয়াণ ঘটে, তারিখটা ৩০ সেপ্টেম্বর ১৮৭৫। প্রেসিডেন্সি কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রথম ভারতীয় অধ্যাপক, ‘আর্নল্ড অব দ্য ইস্ট’ অভিধায় ভূষিত এই শিক্ষাব্রতীকে নিয়ে লেখা সনেটে উঠে এসেছে ছাত্রদরদি সত্তার কথা: “পাঠ্যগ্রন্থ প্রণয়নে, কৃষিশিক্ষা দানে,/ ছাত্রাবাস প্রতিষ্ঠায় তুমিই অগ্রণী,/ স্ত্রীশিক্ষার প্রচলনে, রবে বঙ্গভূমি/ চিরঋণী তব কাছে— ভক্তিপূর্ণ প্রাণে…” শিক্ষাক্ষেত্রে সার্বিক অবক্ষয়ের সাক্ষী রাজ্যের মানুষ শিক্ষক দিবসের প্রাক্‌-মুহূর্তে আজ প্রকৃত শিক্ষকের চেহারা বিস্মৃত। সেই কারণেই আজ আরও বেশি করে স্মরণ করা প্রয়োজন এই প্রবাদপ্রতিম মাস্টারমশাইকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bengali Story school woman
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE