E-Paper

জলের উপর লালচে আভায় চেনা যেত ইলিশের ঝাঁক

আর থাকত জলের বিশেষ গন্ধ। তা হলেই ইলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে যেতেন অভিজ্ঞ ধীবররা। আবার খোকা ইলিশের ঝাঁক থাকলে অন্য রকম হত জলের রং। সাতটি নৌকা আর একটি লঞ্চ নিয়ে গভীর সমুদ্রে ইলিশ-অভিযানে যাওয়ার নাম ছিল কোঁচালভেটি। এক একটি নৌকার এক এক রকম নাম। এক দশক আগেও হেসেখেলে উঠত দেড়-দু’কেজি ওজনের পাঁচ-সাতশো মন ইলিশ।

সুদীপ মাইতি

শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০২৫ ১০:০৩
Share
Save

হেই রে! মাছ রে, মাছের ঝাঁক রে, ইলিশের ঝাঁক রে!— মাঝসমুদ্রে এমন ডাক শুনতে পেলেইকোঁচালভেটিতে যাওয়া ষাট-সত্তর জন মৎস্যজীবী নিমেষে ইলিশ ধরার প্রস্তুতি শুরু করে দিত। সেই ডাক বুঝিয়ে দিত, সমুদ্রের ওই এলাকায় নিশ্চিত ভাবে প্রায় বিঘাখানেক মতো এলাকা জুড়ে ইলিশ ভেসে থাকতে দেখা গেছে। সে এক হইহই ব্যাপার!” বলছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের শঙ্করপুর এলাকার সত্তর বসন্ত পার হওয়া মৎস্যজীবী বিধান মাঝি। আজকের এই খোকা ইলিশের যুগে দেড়-দু’কেজির পাঁচ-সাতশো মন ইলিশ এক সঙ্গে সমুদ্র থেকে তুলে আনা গল্পকথা মনে হতে পারে। তবে সত্তর-আশির দশকে তো বটেই, নব্বই দশকের প্রথম দিকেও বঙ্গোপসাগরের সমুদ্র-উপকূলে এমন ঘটনা ছিল একেবারে স্বাভাবিক।

একটি লঞ্চ। সঙ্গী সাতটি নৌকা। কাছি দিয়ে লঞ্চের সঙ্গে সেগুলি পর পর বাঁধা। বেশ মজার মজার সব নাম নৌকাগুলির। জাল নৌকা। পাশি নৌকা। খেদানো নৌকা। এ রকম সাতটি নৌকা পিছু পিছু নিয়ে লঞ্চ পাড়ি দিত বঙ্গোপসাগরের গভীরে। ইলিশ ধরতে। প্রায় ষাট-সত্তর জনের একটি টিম। মৎস্যজীবীদের ভাষায় এই ভাবে ইলিশ ধরার পুরো বিষয়টির নাম হচ্ছে ‘কোঁচালভেটি’। কখনও কখনও এই ব্যবস্থাকে তাঁরা ‘সাবাড়ভেটি’ বলতেন। ইলিশের কোনও একটি ঝাঁককে শেষ বা সাবাড় করে দিয়ে আসা হত বলে সম্ভবত সাবাড়ভেটি নামটি এসেছে। দুই-তিন-চার বা পাঁচ দিন পরে সেই লঞ্চ পাঁচ-সাতশো মন (এক মন= ৩৭ কিলোগ্রামেরও একটু বেশি) বা তারও বেশি ইলিশ নিয়ে ফিরে যেত মূলত ডায়মন্ড হারবারে।

কথা হচ্ছিল, বঙ্গোপসাগর উপকূলে অবস্থিত শঙ্করপুরের বিধান মাঝি, দাদনপাত্রবাড়ের (মন্দারমণির গায়ে) শ্রীকান্ত পাত্র, শৌলার ধনঞ্জয় প্রামাণিক, পেটুয়াঘাটের (এটিও একটি মৎস্য বন্দর) গুরুপদ ধাড়া, দিলীপ মেটা, বাপি শ্যামল-সহ বিভিন্ন মৎস্যজীবীর সঙ্গে। এঁদের প্রত্যেকেরই মত, রুপোলি মাছ পাওয়ার সেই সোনালি দিনগুলি হারিয়ে গেছে। এখন এসেছে বড় বড় ট্রলার। তারা কোনও বিধিনিষেধ মানে না। ছোট-বড় সব মাছ ধরছে। তাদের কাছে অপ্রয়োজনীয় বেশ কয়েক রকমের মাছ তারা ধরেও ফেলে দিচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। এমনকি মাছের ডিম-সহ সমুদ্রের গভীরে থাকা শেওলা, ছোট ছোট সামুদ্রিক জলজ উদ্ভিদও ট্রলিংয়ের ফলে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। অন্য দিকে সমুদ্র-লাগোয়া এলাকাগুলিতে অবৈজ্ঞানিক ভাবে চলছে ভেনামি বা বাগদা চিংড়ির চাষ। প্রয়োগ হচ্ছে বিষাক্ত ঔষধ, যা মিশে যাচ্ছে সমুদ্রের জলে। ফলে ইলিশ-সহ বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ আজ অপ্রতুল। কিনারা বা উপকূলের কাছে তো বটেই, গভীর সমুদ্রে পুরো মরসুমে ইলিশের দেখা পাওয়া ভাগ্যনির্ভর হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কিন্তু সে সব দিন এ রকম ছিল না। সে সময় একশো-দেড়শো বড় বড় ট্রে, বরফ সহযোগে প্রায় ১২-১৫ জন মৎস্যজীবী নিয়ে লঞ্চ তৈরি থাকত। সঙ্গে সাতটি নৌকা বা বোট। দাঁড় ও পাল-সহ এই বোটগুলির প্রত্যেকটিতে থাকতেন মোটামুটি সাত জন করে মৎস্যজীবী— এক জন মাঝি যিনি হাল ধরায় অভিজ্ঞ, চার-পাঁচ জন দাঁড়ি যাঁরা দাঁড় বেয়ে নৌকা নিয়ে যেতে পারেন সমুদ্রে, আর এক জন রাঁধুনি। রান্নার পর বাকি সময়ে তিনি অন্য কাজে যুক্ত হয়ে যেতেন। তবে কোঁচালভেটির সময় এই বোটগুলি পাল তুলে, দাঁড় বেয়ে সমুদ্রে যেত না। কিনারা বা উপকূলের কাছ থেকে এগুলিকে এক সূত্রে বেঁধে লঞ্চটি টেনে নিয়ে যেত।

প্রথম যে বোটটি লঞ্চের সঙ্গে বাঁধা হত, তার নাম ‘জাল নৌকা’। কারণ তাতে থাকত প্রায় আধ মাইল লম্বা জাল, যা দিয়ে সমুদ্রে ভাসমান ইলিশের ঝাঁক ঘিরে ফেলা হবে। জাল নৌকার ঠিক পরেই থাকত ‘পাশি নৌকা’। জাল নৌকার ঠিক পাশে থাকার জন্য এর এই নাম। এর কাজ নির্দেশ পেলেই জাল নৌকা থেকে অর্ধেক জাল নিয়ে সমুদ্রে জাল বিছিয়ে দেওয়ার কাজে লেগে যাওয়া। আর যে পাঁচটি নৌকা সঙ্গে যেত, তাদের নাম খেদানো নৌকা। তাদের কাজ ছিল ইলিশ খেদানো, অর্থাৎ তাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া। এ ভাবেই এক দিন-দু’ দিন-তিন দিন কিংবা চার-পাঁচ দিন সমুদ্রে ঘোরাঘুরি করতে করতে লঞ্চে থাকা দূরবিন দিয়ে লঞ্চের মাঝির বা অন্য নৌকার মাঝিদের চোখে পড়ে যেত ইলিশের ‘ঝালা’। ‘ঝালা’ অর্থে ঝাঁক। আসলে ইলিশ সমুদ্রে বড় ঝাঁকেই ঘুরে বেড়ায়। তবে এঁদের সবারই মতে, সমুদ্রের জলের বর্ণ, গন্ধ দেখে অভিজ্ঞ মৎস্যজীবীরা ঠিক আন্দাজ করতে পারেন ইলিশের ঝাঁকের অবস্থান। একটা বিস্তীর্ণ এলাকার লাল আভাযুক্ত সমুদ্রের জল এবং জলের বিশেষ গন্ধ ইলিশের উপস্থিতির ইঙ্গিত দেয়। ইলিশের মুখ একটু লাল হয় বলে একে সোনামুখী নামেও ডাকা হয়। এ ছাড়া সমুদ্রে এক ধরনের ছোট ছোট শিকড়জাতীয় ঈষৎ লালচে শেওলা দেখতে পাওয়া যায়। সেগুলি খেতেই ঝাঁক বেঁধে ইলিশ ঘুরে বেড়ায়। তাই সমুদ্রে ভেসে থাকা ইলিশের ওই এলাকা থেকে লালচে রং ছড়ায়। এ ছাড়া ইলিশ মাছের একটা স্বভাব হল জলের নীচ থেকে মুখ দিয়ে জল উপরে ছুড়ে দেওয়া। এটা দেখতে পেলেই অভিজ্ঞ মাঝিরা বুঝতে পারেন, এখানে ইলিশ আছে। তবে আড়াইশো গ্রাম থেকে আধকেজি বা ছ’শো গ্রামের ছোট ইলিশের ঝাঁক হলে, সমুদ্রের জলের রং দেখায় সাদা দুধের মতো।

এর সঙ্গে সমুদ্রে ইলিশ দেখতে পাওয়ার বিষয়ে ঝিরঝিরে বৃষ্টি আর পুবালি বাতাস অঙ্গাঙ্গি জড়িত। এ ছাড়া প্রচুর বৃষ্টির ফলে বিভিন্ন ছোট-বড় নদী বেয়ে মিষ্টি জল সমুদ্রে এসে মিশতে শুরু করলে তার টানে ইলিশ উপকূলের সেই নদী বা খালের মুখের দিকে এগিয়ে যায় ডিম পাড়তে। কিন্তু এখন সমুদ্রের আশপাশে পুরনো খাল-বিল যেমন বুজে যাওয়ার মুখে, তেমনই নদীর বিভিন্ন জায়গায় বাঁধ, সেতু-সহ বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা তৈরি হওয়ায় নদীর সেই স্রোত আর নেই। এ সব কারণেও সমুদ্র-উপকূলে ইলিশ এখন অপ্রতুল।

ফিরে যাই কোঁচালভেটির গল্পে। বিধানবাবুদের মতে, মধ্য-আশ্বিন থেকে মধ্য-মাঘ পর্যন্ত ছিল কোঁচালভেটির ইলিশ পাওয়ার সময়। ইলিশের সন্ধান পেয়ে মাঝির ‘ইলিশের ঝাঁক রে!’ চিৎকার শুনতে পেলেই ইলিশের ঝাঁককে খুব দ্রুত ঘিরে ফেলতে সবাই যে যার নির্দিষ্ট কাজে লেগে পড়তেন। কারণ ইলিশ খুব দ্রুত স্থান বদল করতে পারে। প্রথমেই লঞ্চ থেকে সব নৌকাগুলিকে আলাদা করে দেওয়া হত। জাল নৌকা ও পাশি নৌকা ইলিশের ঝাঁকের গতির ঠিক বিপরীত দিকে পরস্পর বেশ একটু দূরত্বে থেকে দু’টি গোলপোস্টের মতো দাঁড়িয়ে পড়ত। জাল নৌকায় থাকা জালটি এই দুই নৌকার মৎস্যজীবীরা তত ক্ষণে অর্ধেক অর্ধেক করে ভাগ করে নিয়েছেন। বাকি খেদানো নৌকাগুলি দ্রুত সামনের দিকে অর্থাৎ ইলিশের গতির সামনের দিকে চলে যেতে থাকে। এবং ইলিশের ঝালাকে কেন্দ্র করে চার দিকে কিছুটা দূরত্ব অন্তর অন্তর তারাও প্রায় অর্ধচন্দ্রাকৃতি হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। দশ-পনেরো মিনিটের মধ্যে ‘নৌ-বাহিনী’ সাজানোর কাজ শেষ হয়ে গেলে জাল নৌকা থেকে গামছা উড়িয়ে সিগনাল বা ‘যুদ্ধ’ শুরুর সঙ্কেত দিয়ে দেওয়া হত! সেই সঙ্কেত পেয়ে ইলিশ ঝাঁকের চার দিকে প্রায় গোলাকারে দাঁড়িয়ে থাকা বাকি নৌকাগুলির রাঁধুনিরা নৌকায় রাখা বড় বাঁশের লগি দিয়ে ঝাঁকের দিকের জলে জোরে জোরে পিটতে শুরু করে দিতেন। আর বাকি মৎস্যজীবীরা নৌকায় রাখা টিন-ক্যানেস্তারা খুব জোরে জোরে বাজাতে শুরু করে দিতেন। উদ্দেশ্য, ইলিশ যেন তার সামনের দিকে যাওয়ার গতিপথ পাল্টে ঠিক উল্টো পথে দৌড়তে শুরু করে।

এর পর শুরু হত ইলিশকে জালবন্দি করার কাজ। খেদানো নৌকাগুলির তাড়া খেয়ে ইলিশের ঝাঁক ফিরত বিপরীত মুখে। তত ক্ষণে সমুদ্রে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে ‘ছয় তার সুতো’র তৈরি আলকাতরা-মাখানো ভারী জাল, মৎস্যজীবীদের পরিভাষায় যার নাম ‘দেহ জাল’। সেই জালগুলির উচ্চতা বা গভীরতা সাধারণত থাকত ছাপ্পান্ন ‘বাম’, মানে হাত মাপে ছাপ্পান্নর চার গুণ, মানে প্রায় দু’শো চব্বিশ হাতের মতো। ভারী হওয়ার কারণে দ্রুত সমুদ্রের অনেক গভীরে তা পৌঁছে যেত। দেহ জালের উপরের অংশে কিছুটা অন্তর অন্তর শোলা লাগানো থাকত, যাতে উপরের অংশটি ভেসে থেকে দৃশ্যমান হয়। সেই অর্থে জালটির উপরের অংশকে স্থানীয় পরিভাষায় ‘শোলপাড়ি’ বা ‘শুলপাড়ি’ বলা হয়ে থাকে। জালের নীচের অংশটিকে মৎস্যজীবীরা বলেন ‘গোড়পাড়ি’। এই লম্বা দেহ জালের ঠিক মাঝের বেশ কিছুটা অংশ আরও মোটা সুতো অর্থাৎ ‘নয় তার সুতো’র জাল দিয়ে তৈরি হত। মৎস্যজীবীদের ভাষায় সেই আরও শক্তপোক্ত জালের অংশটিকে ‘গুণ জাল’ বলা হয়। চার দিক থেকে ইলিশের ঝাঁককে এমন ভাবে তাড়ানো হত, যাতে ইলিশরা এই গুণ জালের মধ্যে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। কারণ এই শক্তপোক্ত গুণ জাল ছিঁড়ে ইলিশ বেরিয়ে যেতে পারবে না। অন্য দিকে ধীরে ধীরে বাকি খেদানো নৌকার মৎস্যজীবীরা হাতে হাত লাগিয়ে জালও গুটিয়ে নিয়ে আসত। ইলিশের আর বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার পথ থাকত না। তবে এত বড় ইলিশের ঝাঁক ঘেরায় পড়ে যাওয়ায় সময় বিশাল সমুদ্রের মাঝে ইলিশ লাফানোর সেই সব নয়নাভিরাম দৃশ্যের সঙ্গে কোনও কিছুরই তুলনা চলে না, জানাচ্ছিলেন বয়স্ক মৎস্যজীবীরা। অন্য দিকে জ্যোৎস্না রাতে শান্ত সমুদ্রে দূর থেকে ইলিশের লেজের ঝাপটার শব্দ শোনা— সে আর এক আনন্দানুভূতি।

তবে এতেই ইলিশ ধরার কাজ শেষ হয়ে যেত না। গভীর সমুদ্রে থাকে হাঙররাও। তারাও সুযোগ বুঝে সেই সময় আশপাশে ঠিক পৌঁছে যেত। জালের বাইরের দিক থেকে জাল কেটে তারা লুটপাট করে ইলিশ খাওয়ার চেষ্টায় থাকত। আর তাতে তারা সফল হলে ফের ইলিশের ঝাঁকও সেই গর্ত দিয়ে আবার সমুদ্রে পালিয়ে যেত। তাই হাঙরের আক্রমণ আটকাতে দাঁড়িয়ে থাকা লঞ্চটি এই গোল অংশটার চার পাশে ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে গাঁকগাঁক শব্দ করে ঘুরতে শুরু করে দিত। যাতে হাঙররা সেই অঞ্চলে ভয়ে ঘেঁষতে না পারে। মোটামুটি ভাবে সময়ের সঙ্গে সতর্ক ও সুনিপুণ ভাবে, হিসেব কষে কাজ করতে পারলে এত বড় ইলিশের ঝাঁকের বেশ বড় অংশকেই জালবন্দি করা সম্ভব হত। তবে ইলিশের ঝাঁক দেহ জালের আয়তনের চেয়ে অনেক বেশি হয়ে গেলে অনেকটা ইলিশ সাবধানে জাল থেকে বার করে দিতে হত। না হলে সেই ইলিশের ঝাঁক জাল ছিঁড়ে বেরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হত।

এর পর দ্রুত গুণ জাল থেকে ‘গোলা কাটানো’ পদ্ধতিতে এক-দেড় মন করে ইলিশ ধাপে ধাপে একটি নৌকায় তোলা শুরু হত। এ ভাবে একটি নৌকায় পঁচিশ-তিরিশ মন ইলিশ তোলা হয়ে গেলে সেটি রওনা দিত কাছে দাঁড়িয়ে থাকা সেই লঞ্চের দিকে। লঞ্চে সেই ইলিশ ওজন হয়ে বরফ সাজানো ট্রে-তে আশ্রয় নিত। এ ভাবেই ছোট নৌকাগুলির মাধ্যমে ওই পাঁচ-সাতশো মন ইলিশ লঞ্চে চেপে বসত। তার পর সেই লঞ্চ এই সাতটি নৌকাকে আবার বেঁধে কিছুটা কিনারার দিকে পৌঁছে দিয়ে সোজা পৌঁছে যেত ডায়মন্ড হারবারে। নিলামের জন্য। তার পর এক-দু’দিন পরে ইলিশ বিক্রির টাকা নিয়ে এসে এই নৌকাগুলির মালিকের হাতে তাদের প্রাপ্য তুলে দেওয়া হত। তার পর আবার কোঁচালভেটিতে বেরিয়ে পড়া।

সেই সব অপূর্ব স্বাদগন্ধের সেই ইলিশ ছিল দশ-বারো টাকা কেজি। আজকের দেড় হাজার-দু’হাজার টাকা কেজির ইলিশ কেনার বাজারে সেই দিনগুলোকে রূপকথা বলে মনে হয়!

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Hilsa Fish

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে আপনার সাবস্ক্রিপশন আপনাআপনি রিনিউ হয়ে যাবে

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।