• আমার অঙ্কে ভাল ফল হচ্ছে না। আর বাংলায় অসংখ্য বানান ভুল হচ্ছে। ফলে পরীক্ষার রেজাল্ট খারাপ হচ্ছে। কী ভাবে পড়ব?
মৌমিতা দাস। অষ্টম শ্রেণি, অক্সিলিয়াম কনভেন্ট স্কুল, ব্যান্ডেল
মৌমিতা, আমার মনে হচ্ছে পরীক্ষার হলে তোমার অঙ্ক খারাপ করার কারণ নার্ভাসনেস। নার্ভাসনেস থেকেই তোমার যাকে আমরা ‘silly mistakes’ বলি, তাই হচ্ছে। অঙ্কে মাস্টারি আনতে পারলে, এটা তোমার অনেকটা কেটে যাবে। বিশেষজ্ঞরা অঙ্কে ভাল করার জন্য যে নিয়মগুলি বলেছেন, আমি সেগুলো বলে দিচ্ছি। করে দেখো নিশ্চয়ই উপকার পাবে।
১) যতক্ষণ না অঙ্ক বুঝতে পারছ, ততক্ষণ পরের পরিচ্ছদে যাবে না। অঙ্কের ক্ষেত্রে অঙ্ক বোঝা খুব দরকার। ২) আগের পরিচ্ছেদের বিষয় ভাল করে না বুঝলে, সেই অনুশীলনী সম্পূর্ণ না করে, পরের পরিচ্ছেদে যাবে না। অঙ্কের পরিচ্ছেদগুলি সিঁড়ির মতো সাজানো থাকে। আগের সিঁড়ি না পেরিয়ে, পরের সিঁড়িতে উঠতে হয়। ৩) অঙ্কটা পড়েই মনে মনে কষতে শুরু করবে না। অঙ্কটা খাতায় লিখবে। ৪) প্রতিটা স্টেপ পরিষ্কার করে লিখবে— পাশাপাশি নয়, প্রতিটি লাইনের নীচে পরের লাইন লিখবে। এতে পরীক্ষকের বুঝতে সুবিধে হবে এবং অঙ্ক ভুল হলেও, ঠিক-ঠিক স্টেপের জন্য আংশিক নাম্বার পেতে পারো। ৫) খুব পরিষ্কার করে লিখবে। ৬) পেন্সিল দিয়ে লিখবে এবং ভাল রবার দিয়ে ভুলগুলি মুছবে। ৭) খুব শান্ত জায়গায় অঙ্ক প্র্যাক্টিস করবে। ৮) প্র্যাক্টিস খুব দরকারি। অঙ্ক কখনও পড়ে বুঝলে আয়ত্তে আসে না। অঙ্ক করতে হয়। প্রতিদিন অন্তত ১২টা অঙ্ক করা দরকার। ৯) হাস্যকর শোনালেও অঙ্কটার বিষয়বস্তু এঁকে নিয়ো। তা হলে সব জিনিস সহজ হয়ে যাবে।
বাংলা বানানের ব্যাপারেও তোমাকে বানান মুখে বলা শিখতে হবে আর বাক্যরচনা করে ওই বানান ব্যবহার করতে হবে। যত বাংলা বই পড়বে, বানানও তত শিখবে। কারণ, বইয়ে লেখা বানান তোমার চোখের সামনে ভাসবে। চেষ্টা করো, নিশ্চয় পারবে।
• আমি ক্লাসে মনিটার হতে চায়। কিন্তু আমার বাবা-মা তাতে রাজি নন। অনেক চেষ্টার পর আমি ক্লাসের মনিটারকে সাহায্য করার দায়িত্ব পেয়েছি, কিন্তু ভয়ে বাবা-মাকে বলতে পারছি না। কী করব?
অর্চিস্মান দত্ত। ষষ্ঠ শ্রেণি, সেন্ট অ্যালিয়াসিস স্কুল, ভট্টনগর, হাওড়া
অর্চিস্মান, তোমার বাবা-মা হয়তো মনে করেন, তুমি মনিটার হলে তোমার পড়াশোনার ক্ষতি হবে। তা যদি হয়, তুমি ওঁদের বোঝাও যে তুমি মনিটারকে সাহায্য করবে, কিন্তু তুমি পড়াশোনায় অবহেলা করবে না। এবং পরীক্ষায় ভাল ফল করে দেখাও। তা হলে, তোমার বাবা-মা বারণ করবেন বলে মনে হয় না। তাই, আমি বলব, তুমি বাবা-মাকে নিশ্চয় জানাবে। তুমি তো অন্যায় কিছু করছ না।
খামে ভরো মুশকিল
পড়াশোনা, শিক্ষক বা বন্ধুদের নিয়ে তোমার যা মুশকিল, জানাও আমাদের। চিঠির উত্তর দেবেন সাইকো-অ্যানালিস্ট পুষ্পা মিশ্র, বেথুন কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ।
চিঠিতে তোমার নাম আর ক্লাস জানাতে ভুলো না। খামের উপরে লেখো:
ইসকুলে মুশকিল,
রবিবারের আনন্দমেলা, আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy