কোনও দিনই হেঁশেলে ঢোকা হয়নি। চা-ডিম ভাজার বাইরে রান্নাও জানা নেই। এদিকে হঠাৎ করেই উচ্চশিক্ষার জন্য চলে যেতে হবে অন্য রাজ্যে। কিন্তু সেখানে গিয়ে খাবেন কী? টাকা দিয়ে বাইরের খাবার আনানো যায়, কিন্তু সবসময় রেস্তরাঁর খাবার খাওয়াও স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল নয়। তা ছাড়া ভিন রাজ্যের রন্ধন পদ্ধতি আলাদা। সেই খাবার মুখে রুচবে এমনটা না-ও হতে পারে। এ ক্ষেত্রে মুশকিল আসান হতে পারে বিদ্যুৎচালিত কেটলি হাতের কাছে থাকলে। খুব সহজে কেটলিতে বানিয়ে নেওয়া যায় নানা পদ।
খিচুড়ি: চাল, ডাল সব্জি দিয়ে কেটলিতেও খিচুড়ি বানানো যায় সহজেই। হাতের কাছে গোবিন্দ ভোগ চাল, মুগ, মুসুর ডাল থাকলেই হল। সব্জি কেনা সম্ভব হলে সেটাও যোগ করতে পারেন। প্রথমেই একটু ঘি বা সর্ষের তেল দিয়ে কেটলি গরম করে নিন। তাতে শুকনো লঙ্কা, হিং, গোটা জিরে ফোড়ন দিতে হবে। যোগ করুন সামান্য আদা কুচি। হালকা নাড়িয়ে নিয়ে তাতে ধুয়ে রাখা চাল, ডাল, সব্জি ঢেলে মাপ মতো জল, নুন, হলুদ যোগ করে মিনিট দশ-পনেরো রাখলেই তৈরি হয়ে যাবে খিচুড়ি। একটু ঘি ছড়িয়ে নিলেই সকাল হোক বা রাত, দারুণ খাওয়া হবে।
স্যুপ: বাজার চলতি বিভিন্ন স্বাদের স্যুপের প্যাকেট মেলে। কেটলিতে জল নিয়ে হালকা গরম করে নিতে হবে। তার মধ্যে স্যুপের গুঁড়ো মিশিয়ে দিন। পেট ভরা খাবার খেতে চাইলে তাতে যোগ করে দিন পছন্দের নুডলস। এরপর মিনিট পাঁচ-সাত ফুটতে দিলেই রাখলেই সমস্ত উপকরণ মিলেমিশে তৈরি হয়ে যাবে স্যুপি নুডলস। উপর থেকে একটু মাখন, গোলমরিচ ছড়িয়ে নিলেই দারুণ খেতে হবে।
উপমা: কেটলিতে একটু ঘি দিয়ে সেটি গরম করে তাতে সর্ষে, কারিপাতা ফোড়ন দিতে হবে। তারপর পেঁয়াজকুচি, বাদাম, লঙ্কা কুচি যোগ করে দিয়ে দিন সুজি। অল্প নাড়া চাড়া করে স্বাদমতো নুন, চিনি যোগ করুন। তারপর অল্প করে জল দিয়ে সেদ্ধ হতে দিলেই তৈরি হয়ে যাবে উপমা।
বৈদ্যুতিক কেটলি রান্না করার জন্য ব্যবহার করতে হলে দেখেশুনে কেনাই ভাল। রান্নার জন্য একটু বড় ধরনের কেটলি পাওয়া যায়। রান্নার জন্য সিলিকনের খুন্তি কাজে আসবে।