জনপ্রিয়তার নিরিখে যদি আনাজপতির একটা তালিকা বানানো যায়, তবে ঝিঙে সেই তালিকায় খুব উপরের দিকে থাকবে না। যদিও এই গরমে ঝিঙে খাওয়ার উপকার অনেক!
একে তো এই সব্জিতে জলের পরিমাণ বেশি। তাই তপ্ত এবং রুক্ষ আবহাওয়াতেও শরীরকে ভিতর থেকে আর্দ্র রাখে। তা ছাড়া এতে রয়েছে নানা জরুরি পুষ্টিগুণও। অথচ এত গুণ থাকা সত্ত্বেও ঝিঙে দেখলেই মুখ ফেরান অনেকে।
তার একটা কারণ অবশ্যই ঝিঙেকে সুস্বাদু তরকারি বানিয়ে খাওয়ার চেনা রন্ধনপ্রণালীর অভাব। ঝিঙের ভাল রান্না বললে সাধারণত ঝিঙে পোস্তর কথাই মাথায় আসে। কেউ কেউ আবার ছ্যাঁচড়া বা পাঁচমেশালি সব্জিতেও ঝিঙে দেন।
এর বাইরে ঝিঙের সুস্বাদু একটি রান্না ওপার বাংলায় জনপ্রিয়। ঝিঙে বাটা। গরম ভাতের সঙ্গে সর্ষের তেল ছড়িয়ে ঝিঙেবাটা এক বার খেলে স্বাদ ভোলা যাবে না।
কী ভাবে বানাবেন?
উপকরণ:
৭-৮ টি ঝিঙে
১ টি মাঝারি মাপের পেঁয়াজ টুকরো করে কেটে নেওয়া
৬-৭ টি কাঁচালঙ্কা
৮-১০ কোয়া রসুন সরু করে কেটে নেওয়া
৩-৪ টেবিল চামচ ধনেপাতাকুচি
৪ টেবিল চামচ সর্ষের তেল
১ চা চামচ কালোজিরে
৩টি শুকনো লঙ্কা ছোট টুকরোয় কেটে নেওয়া
১/৪ চা চামচ হলুদ
স্বাদমতো নুন
প্রণালী :
ঝিঙে ভাল ভাবে ধুয়ে মাঝারি মাপের টুকরোয় কেটে নিন। এ বার কড়াইয়ে দুই টেবিল চামচ সর্ষের তেল দিয়ে আঁচে বসান। তেল গরম হলে তাতে দিন ঝিঙে, পেয়াঁজ, কাঁচালঙ্কা, হলুদ এবং নুন। ভাল ভাবে নাড়াচাড়া করে ভাজা ভাজা হয়ে এলে কড়াই থেকে একটি পাত্রে ঢেলে ঠান্ডা হতে দিন। ঠান্ডা হওয়ার পরে মিক্সিতে বেটে নিন।
আরও পড়ুন:
আবার কড়াইয়ে এক চামচ তেল দিন। তেল গরম হলে একে একে দিন কালোজিরে, রসুন কুচি এবং শুকনো লঙ্কা কুচি। সুগন্ধ বেরোলে ওর মধ্যে দিয়ে দিন বেটে রাখা ঝিঙে। ভাল ভাবে ভেজে নেওয়ার পরে কড়াই থেকে তেল ছেড়ে এলে উপরে ধনেপাতা কুচি এবং বাকি সর্ষের তেল ছড়িয়ে নামিয়ে নিন।
গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।