গ্রীষ্মে যেমন হালকা স্বাদের পেট ঠাণ্ডা রাখা খাবার খেতে ইচ্ছে হয়, বর্ষায় কিন্তু তা নয়। বর্ষার ভিজে ভিজে বাদল দিনে ভাল লাগে মুচমুচে অথবা ঝাল ঝাল, মাখোমাখো খাবার খেতে। রান্নায় বেশি ঝোল পছন্দ হয় না অনেকেরই। তাঁদের জন্য বর্ষায় এই রান্নাটি যোগ্য সঙ্গত করবে দিনে কিংবা রাতে। ভাত, রুটি, লুচি অথবা পরোটার সঙ্গে।
খাবারটির নাম ডিংলার ঝাল। বাঁকুড়ার স্থানীয় জনপ্রিয় এই ব্যাঞ্জন লাউ, কুমড়ো, পেঁপে, আলু, এমনকি, ডালের বড়া দিয়েও বানানো যায়। পরিবার ভেদে বদলে যায় রন্ধন প্রণালী। কিন্তু সুস্বাদ অটুট থাকে।
কী ভাবে বানাবেন?
আরও পড়ুন:
উপকরণ: ২৫০ গ্রাম কুমড়ো
১০টি ছোট ছোলার ডালের বড়া
৩ টেবিল চামচ সর্ষের তেল
১ টেবিল চামচ ঘি
১/২ চা চামচ হলুদগুঁড়ো
১ চা চামচ লঙ্কাগুঁড়ো
১ চা চামচ ধনেগুঁড়ো
১ চা চামচ জিরেগুঁড়ো
১ চা চামচ কালো জিরে
২ টি শুকনো লঙ্কা
৩ টেবিল চামচ সর্ষে
২ টি কাঁচা লঙ্কা
৩ টেবিল চামচ নারকেল কোরানো
স্বাদমতো নুন
সামান্য চিনি
ছবি: ক্যাবি ইটস।
প্রণালী: সর্ষে জলে ভিজিয়ে রাখুন আধ ঘণ্টা। তার পরে ভেজানো সর্ষে, কোরানো নারকেল, কাঁচা লঙ্কা এবং এক চিমটে নুন দিয়ে ভাল ভাবে বেটে নিন। মিশ্রণটি একটি বাটিতে ঢেলে রাখুন। কুমড়ো ভাল ভাবে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে মাঝারি টুকরোয় কেটে নিন।
কড়াইয়ে সর্ষের তেল গরম করে তার মধ্যে দিন কেটে নেওয়া কুমড়ো। ভাল ভাবে কিছু ক্ষণ নাড়াচাড়া করে ওর মধ্যে দিন সমস্ত গুঁড়ো মশলা এবং নুন।
মশলার সঙ্গে কিছু ক্ষণ নাড়াচাড়া করার পরে একে একে দিন ছোলার ডালের বড়া, বেটে রাখা সর্ষের মিশ্রণ, কয়েক দানা চিনি এবং সামান্য জল। ভাল ভাবে নেড়ে নিয়ে ঢাকা দিয়ে রান্না হতে দিন।
এ বার আলাদা একটি প্যানে ঘি গরম করে তাতে কালো জিরে এবং শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিন সুগন্ধ বেরোলে আঁচ বন্ধ করুন। ঘি সমেত ফোড়ন ঢেলে দিন কুমড়োর কড়াইয়ে। হালকা নাড়াচাড়া করে নামিয়ে নিন।
তৈরি বাঁকুড়ার ডিংলার ঝাল। ভাত, রুটি অথবা পরোটার সঙ্গে পরিবেশন করুন।