শীতে বাজারে ফুলকপি অফুরান। আর এই একটি সব্জি খাওয়ার ব্যাপারে আপত্তি করার মানুষ কম। ভালবেসেই খান অধিকাংশে। পছন্দের ওই সব্জি দিয়ে তরকারি তো হবেই। ফুলকপির রসা থেকে শুরু করে রেজ়ালা, কালিয়া হোক বা কোর্মা সবই রাঁধা হবে শীতে।
তবে চাইলে একটু স্বাদ বদলে ফুলকপি দিয়ে বানানো যেতে পারে সন্ধ্যার মুচমুচে জলখাবারও। যা সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি অন্য ভাজাভুজির তুলনায় স্বাস্থ্যকরও হবে।
রান্নার নাম ফুলকপির কাটলেট। এই রান্নাটি এমনই যে এতে পছন্দ মতো উপকরণ মিশিয়ে স্বাদ বার বার বদলে নেওয়া যেতে পারে। শুধু স্বাদের ‘প্যালেট’ বা ধাঁচটি এক ধরনের হলেই হল। চাইলে কারিপাতা শুকনো লঙ্কা সর্ষে ফোড়নের গন্ধ মেশানো যেতে পারে। চাইলে মেশানো যেতে পারে জিরে ভাজার সুঘ্রাণ। নীচের রেসিপিটি চিজ়, গোলমরিচ এবং সর্ষেগুঁড়ো দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
কী ভাবে বানাবেন?
উপকরণ: ১টি মাঝারি মাপের ফুলকপি খুব ছোট ছোট টুকরোয় কাটা
২-৩টি সেদ্ধ আলু
আধ চা চামচ সর্ষেগুঁড়ো
১টি পেঁয়াজ মিহি করে কুচিয়ে অল্প তেলে নেড়ে নেওয়া
৩-৪টি কাঁচালঙ্কা মিহি করে কুচনো
আধ কাপ ময়দা
আধ কাপ কোরানো পার্মেসান চিজ়
১/৪ চা চামচ গোলমরিচগুঁড়ো
স্বাদমতো নুন
প্রয়োজনীয় তেল
আরও পড়ুন:
প্রণালী: একটি পাত্রে জল গরম করে তার মধ্যে সামান্য নুন দিয়ে ফুলকপির টুকরোগুলো দিয়ে ফুটতে দিন প্রায় ১৫ মিনিট। ফুলকপি সম্পূর্ণ সেদ্ধ হয়ে গেলে আঁচ বন্ধ করে জল ঝরিয়ে ঠান্ডা হতে দিন।
ফুলকপি ঠান্ডা হলে তার মধ্যে সেদ্ধ আলু, চিজ়, ভাজা পেঁয়াজ, সর্ষেগুঁড়ো, গোলমরিচগুঁড়ো, নুন, কাঁচালঙ্কা কুচি দিয়ে ভাল ভাবে মেখে নিন। এর মধ্যে অল্প ময়দা দিতে পারেন। বাঁধুনির জন্য।
এ বার মিশ্রণটি থেকে ছোট ছোট বল বানিয়ে তাকে পছন্দের আকারে চ্যাপ্টা করে গড়ে নিন। ময়দা, জল, সর্ষেগুঁড়ো, নুন এবং গোলমরিচগুঁড়ো মিশিয়ে একটি পাতলা মিশ্রণ তৈরি করুন।
প্যানে তেল গরম করুন ফুলকপির কাটলেট গুলোকে ওই মিশ্রণে ডুবিয়ে মাঝারি আঁচে এপিঠ ওপিঠ করে ভাল ভাবে ভেজে নিন। যাতে ভিতরে কাঁচা ভাব না থাকে।
পছন্দের চাটনি বা রায়তার সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন।