বৃষ্টিবাদলার দিনে সারা দিন ধরেই ভাজাভুজি খেতে মন চায়। দুপুরে খিচুড়ির সঙ্গে পকোড়া, পাঁপড়ভাজা আর সন্ধ্যা হলেই ফিশ ফ্রাই, চপ, শিঙাড়া কিংবা ডিমের ডেভিল হাতছানি দেয়। তবে কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের অসুখের চোখরাঙানিতে লোভ হলেও ভাজাভুজি থেকে দূরে থাকেন অনেকেই। তবে তেলেভাজা স্বাস্থ্যকর করার উপায় আছে কি? তেলেভাজাকে কখনওই স্বাস্থ্যকর খাবার বলা যায় না। তেলে ভাজা খাবার বেশি খেলে অতিরিক্ত পরিমাণে স্নেহ পদার্থ শরীরে প্রবেশ করে। দোকানে যে ধরনের তেল ব্যবহার করা হয়, তা মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। কিন্তু বাড়িতে ভাজাভুজি করলে কিছু সতর্কতা অবশ্যই মেনে চলা যায়। মাঝেমধ্যে তেলেভাজা খেতে ইচ্ছে করলে ভাজাভুজিতে তেলের ব্যবহার কমানোর উপায় কী?
১) বেগুনি, আলুর চপ যে বেসনের মিশ্রণে ডুবিয়ে ভাজছেন, সেই মিশ্রণটি খুব ঘন হলে কিন্তু বেশি তেল টেনে নেয় ভাজাভুজি। মিশ্রণটি যতটা সম্ভব পাতলা রাখার চেষ্টা করুন।
২) বেগুন ছাড়া অন্য যে কোনও সব্জি, মাংস যদি আধসেদ্ধ করে তার পর ভাজা যায়, তা হলে তেলও কম লাগে, ভাজতে সময়ও কম লাগে।
৩) ছাঁকা তেলে ভাজা খাবার থেকে অতিরিক্ত তেল শুষে নেওয়ার জন্য অনেকেই এখন পেপার টাওয়েল ব্যবহার করেন। বাড়িতে তা না থাকলে বেশ কয়েকটি টিস্যু পেপার একসঙ্গে রেখেও কাজ চালিয়ে নিতে পারেন।
দোকানে যে ধরনের তেল ব্যবহার করা হয়, তা মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। ছবি: সংগৃহীত।
৪) এক বারে অনেকটা তেল কড়াইতে দিয়ে ভাজতে যাবেন না। যেটুকু প্রয়োজন, ততটুকু তেল নিয়ে রান্না শুরু করুন। পরে দরকার পড়লে আবার তেল নিতে পারেন। তেল ভাল ভাবে গরম হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। ঠান্ডা তেলে কোনও খাবার ভাজলে তার মধ্যে তেল জমে থাকার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। গরম তেলে এক চা চামচ নুন ছড়িয়ে দিলেও কাজ হবে।
৫) আগে ব্যবহার করা তেল বা পোড়া তেল দ্বিতীয় বার ব্যবহার করা যাবে না। পোড়া তেলে ভাজা খাবার খেলে অম্বল, গলা-বুক জ্বালার পরিমাণ বেড়ে যাবে।