নববর্ষ, তা সে বাংলা হোক বা ইংরেজি, পাতে বাঙালিয়ানা না চলকালে মন ভরে না সাবেক বাঙালির। গরম ভাতে গাওয়া ঘি, একটু শাক, শুক্তুনি ছুঁয়ে মুগ ডাল ভাজাভুজি সেরে মাছের পর্বে এলেই মনের বাঙালিয়ানা বেশ কিছুটা আয়েশ করে। মাছের রকংফেরে বর্ষবরণ করতে চাইলে বাড়ির হেঁশেলও পাল্লা দিতেই পারে নামজাদা রেস্তরাঁদের সঙ্গে।
চিংড়ি মাছ আর ডাব। মূলত দরকার এই দুটো উপকরণই। এর সঙ্গে যোগ হয় কিছু প্রচলিত মশলাপাতি। এতেই তৈরি মনের মতো পদ। ডাব-চিংড়ির স্বাদু স্বাদ পোলাও, ভাত বা জিরা রাইসের সঙ্গে অনায়াসে খেতে পারেন।
ডাব বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কী মনে রাখবেন, কেমন ভাবেই বা তৈরি হবে এই পদ, রইল সে সবের হালহদিশ।
আরও পড়ুন: মাছে-ভাতে বাঙালির কালিয়ায় ভোজ, রইল রেসিপি
উপকরণ
গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।
আরও পড়ুন: খুদে সদস্যের হালকা খিদে সামাল দেবে চিংড়ির এই পদ, রইল রেসিপি
পদ্ধতি
ডাবের মধ্যেই রান্নাটি পরিবেশিত হবে, তাই ডাব বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও হতে হবে যত্নবান। খুব কচি নয় আবার জমাট বাঁধা শক্ত শাঁসওয়ালা ডাবও নয়, পাতলা শাঁসওয়ালা ডাবই বাছুন এ ক্ষেত্রে। ডাবের নীচের দিক ও উপরের দিকটা কেটে নিন প্রথমে। উপরটা এমন করে কাটতে হবে, যাতে রান্নার পর চিংড়িটা গ্রেভি-সহ এতে ভরে রাখা যায়। নীচের দিকটা সমান করে কাটলে পরিবেশনেরও সুবিধা হবে। এ বার আভেনে তেল গরম করে তার মধ্যে দিয়ে দিন পেঁয়াজবাটা। হেডলেস করে রাখুন চিংড়ি। পুরো চিংড়ির কোলা ছাড়িয়েও রাখতে পারেন, তাতে খাওয়ার সময় সুবিধা হয়।
এ বার পেঁয়াজ সোনালি হয়ে এলে এতে চিংড়িগুলো ছেড়ে দিন। চিংড়িতে সোনালি রং ধরা অবধি পেঁয়াজের সঙ্গে কষুন। পেঁয়াজ লালচে হয়ে আসবে। এ বার এতে গরম মশলা চিনি ও নুন যোগ করুন স্বাদ অনুযায়ী। এ বার এতে নারকেলের দুধ ও গরম জল একসঙ্গে মেশান। ভাল করে ফুটিয়ে ফেলুন। জল কমে এলে ডাবের শাঁসবাটা যোগ করুন এতে। এ বার এতে ঘি ও গরমমশলা যোগ করে একটু চাপা দিয়ে দিন। মিনিট দুয়েক ফোটার পর ঘি ও গরম মশলার গন্ধ রান্নাটিতে মিশে গেলে ঢাকা খুলে ক্রিম ছড়িয়ে আভেন বন্ধ করুন। গ্রেভি-সহ চিংড়ির রান্নাটা পুরোটা নারকেলের খোলের ভিতর রাখুন। গরম গরম পরিবেশন করুন ভাত, পোলাও বা জিরা রাইসের সঙ্গে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy