সাধ করে অনেক পদ তৈরি করবেন, অথচ জামাই কিছুই খেতে না পারলে তো মুশকিল! ছবি: সংগৃহীত
বাঙালির ঘরোয়া পার্বণের মধ্যে সব থেকে জনপ্রিয় বোধ হয় জামাইষষ্ঠী। জামাইকুল এ দিন শ্বশুরবাড়ির পথ ধরেন। কখনও নতুন বিয়ে হওয়া মেয়ে-জামাই, কখনও খানিক পুরনো মেয়ে-জামাই নাতিপুতি নিয়ে ঘরে আসছে। শ্বশুরবাড়িতে তত ক্ষণে সাজ সাজ রব। শ্বশুর ধড়ফড়িয়ে বাজারে ছুটছেন, শাশুড়ি গ্যাসের চুলোর পাশে গলগল করে ঘামছেন। কিন্তু তাতেও কি সব সময় সামাল দেওয়া যায়?
কিন্তু সামাল যে দিতেই হবে! জামাই আসছে বলে কথা! পঞ্চব্যঞ্জন না রাঁধলে কি চলে? সাধ করে অনেক পদ তৈরি করবেন, অথচ জামাই কিছুই খেতে না পারলে তো মুশকিল! এখন ঘরে ঘরে ডায়াবিটিসের রোগী। আর ডায়াবিটিস মানেই খাবারে নানা রকম বিধিনিষেধ। জামাই যদি ডায়াবেটিক হন, তা হলে তো তাঁর জন্য সাধারণ পদ রাঁধলে চলবে না। এমন কিছু রাঁধতে হবে, যা খেলে জামাইয়ের শরীরের কোনও ক্ষতি হবে না অথচ ভূরিভোজও হবে। ভাবছেন, এমন কী রাঁধা যায়? পুষ্টিবিদ এবং যাপনসহায়ক অনন্যা ভৌমিক জানালেন জামাইয়ের শরীরের খেয়াল রেখেও কী ভাবে উদ্যাপন করা যায় দিনটি। ডায়াবেটিক জামাইদের জন্য কী কী খাবার বানাতে পারেন, দিলেন সেই হদিস।
আসার সঙ্গে সঙ্গে জামাইকে দিতে পারেন ডাবের শরবত। দুপুরে খাবার পাতে ৩০ গ্রাম চালের ভাত কিংবা পোলাও, ২টি তাওয়া ভেটকি, সঙ্গে বেশি করে স্যালাড। জামাই মটন খেতে পছন্দ করলে বানাতে পারেন মটন কষা, তবে ২টি পিসের বেশি নয়। ডায়াবিটিস থাকলেও একেবারে মিষ্টিমুখ না করালে কি চলে! বানিয়ে ফেলতে পারেন কাঁচা আমের চাটনি। তবে চিনি নয়, ব্যবহার করুন কৃত্রিম চিনি। শেষপাতে দোকানের মিষ্টি নয়, ছানা আর কৃত্রিম চিনি দিয়ে তৈরি করুন সন্দেশ। তাতে সামান্য গোলাপজল দিয়ে দিন আর গোলাপের পাপড়ি দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন গোলাপ সন্দেশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy