কখনও রোদ, কখনও বৃষ্টি। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে ঘন ঘন ভোগান্তি। কখনও জ্বর, কখনও জ্বর ভাব, কখনও সর্দি, কখনও বা নাক বন্ধ, অথবা গলা খুসখুস। বার বার ওষুধ খাওয়াও তো ভাল নয়। তাই বাড়িতেই যদি পথ্য বানিয়ে নেন, উপকার পেতে পারেন। ঘরোয়া এই টোটকায় পেঁয়াজ, অলিভ অয়েল ও মধু মুখ্য উপাদান। খাদ্যরসিক এবং খাওয়া নিয়ে যাঁরা বায়না করেন, তাঁদের জন্য এই পথ্য হয়তো খুব একটা গ্রহণযোগ্য হবে না, কিন্তু ওষুধ ভেবে খেয়ে নিলে উপকার মিলবে বলেই জানাচ্ছেন অনেকে। সমাজমাধ্যমে এই স্যুপের রেসিপি জানিয়েছেন এক পুষ্টিবিদ। তার পর অনেকেই সেটি বানিয়ে খেয়ে উপকৃত হয়েছেন। সে কথা জানিয়েছেন সমাজমাধ্যমেই।
আরও পড়ুন:
পেঁয়াজের স্যুপটি গলার শ্লেষ্মা পরিষ্কার করে, ফুসফুস পরিষ্কার করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ফ্লু ও সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি দেয় এবং শরীরকে টক্সিনমুক্ত করতেও সাহায্য করে। কারণ এর উপাদানগুলি প্রত্যেকটিই উপকারী। হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধিতে পেঁয়াজ ভূমিকা রয়েছে। পাশাপাশি মধু অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ এবং অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল বৈশিষ্ট্যযুক্ত। উল্টো দিকে অলিভ হল প্রদাহবিরোধী। ফলে এই সময়ে পথ্য হিসেবে খেয়ে দেখতে পারেন। বাড়ির সকলকেই এই স্যুপের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিন।
পেঁয়াজের স্যুপটি স্বাদে জনপ্রিয় না হলেও স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। ছবি: সংগৃহীত।
কী ভাবে বানাবেন?
উপকরণ:
একটি বা দু’টি পেঁয়াজ
এক বা দু’কাপ ফিল্টার করা জল,
১ টেবিল চামচ মধু (অপরিশুদ্ধ হলেই ভাল)
১ টেবিল চামচ একস্ট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল
প্রণালী:
পেঁয়াজকে মোটা মোটা গোল গোল করে কেটে কয়েক মিনিট জলে ফুটিয়ে নিন। যত ক্ষণ না হালকা রং ধরছে, তত ক্ষণ সিদ্ধ হোক। এ বার রঙিন ওই জল একটি পাত্রে ছেঁকে কাপে নিন। তার পর অলিভ অয়েল আর মধু মিশিয়ে দিন। মধু সম্পূর্ণ মিশে যাওয়া পর্যন্ত নাড়াতে হবে। ব্যস, গরম গরম স্যুপ খেয়ে ফেলুন।