করলা দেখেই নাক সিঁটকিয়ে ওঠেন? কিন্তু শুক্তো থেকে করলা ভাজা, পাঁচমিশালি থেকে করলা বেসন, বাঙালির প্রিয় খাবারগুলির রসাস্বাদন থেকে বঞ্চিত হয়ে যাচ্ছেন যে! তেতো স্বাদের ভয়ে করলা বাদ দিলে আপনারই ক্ষতি। তা হলে উপায় কী? করলার তেতো স্বাদ খানিক নিষ্ক্রিয় করে দিলেই হল! জিভে তেতোর স্বাদও আসবে না, এ দিকে পদের রসনাতৃপ্তি মিলবে। শরীরে প্রবেশ করবে পুষ্টিও।
করলার তেতো স্বাদ কমানো যায় কী ভাবে?
নুনের টোটকা: স্বাদ তৈরিও করে, স্বাদ নষ্টও করে। সেই নুন দিয়েই করলার তেতো স্বাদ খানিক কমানো যেতে পারে। দিদা-ঠাকুরমায়েরা বলে থাকেন, টক-ঝাল কমানোর জন্য যেমন নুন ব্যবহার করা হয়, তেমনই তেতো কমানোর জন্যও সুপরিচিত নুন। পাতলা পাতলা করে করলা কেটে নিন। অল্প করে নুন মাখিয়ে দিন। ২০-৩০ মিনিট মতো রেখে দিন। যেই মুহূর্তে দেখবেন, জল বেরিয়ে আসছে করলা থেকে, বুঝবেন, তেতো ভাব কমতে শুরু করেছে। এর পর ৩-৪ বার জলে ধুয়ে নিন, যাতে নোনতা না হয়ে যায়। তার পর রান্নায় দিয়ে দিন।
করলার তেতো স্বাদ কমিয়ে ফেলুন সহজ কৌশলে। ছবি: সংগৃহীত।
ভিনিগার-চিনির প্রয়োগ: এক পাত্র ভর্তি জলে এক চা চামচ ভিনিগার এবং ২ টেবিলচামচ চিনি মিশিয়ে নিন। তার পর টুকরো করা করলাগুলি ঢেলে দিন সেই মিশ্রণে। আধ ঘণ্টা পরে জল দিয়ে ধুয়ে নিলেই নিশ্চিন্তে রান্নায় মেশাতে পারেন।
বীজ অপসারণ: করলার বীজই বেশি তেতো। তাই বীজকে আলাদা করে দিলেই করলায় তেতো ভাব কমে যাবে। তবে চিন্তা নেই, বীজ বার করে দিলেও করলার পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ণ থাকে।
দইয়ে ভেজানো: তেতোকে টেক্কা দিতে টকের প্রয়োগও কার্যকরী। দইয়ের প্রাকৃতিক অ্যাসিড এবং ক্রিমি ভাব করলা থেকে তেতোর পরিমাণ কমিয়ে দিতে পারে। আধ ঘণ্টা দইয়ে ভিজিয়ে রাখার পর রান্নায় ঢেলে দিন করলার টুকরোগুলি। উপরন্তু রান্নায় হালকা টক ভাব চলে এলে, খেতেও ভাল লাগবে।
ঝাঁঝের সঙ্গে যুগলবন্দি: পেঁয়াজ, টম্যাটো, রসুন, মশলাপাতির সঙ্গে মিশিয়ে দিলে অনেক সময়ে তেতো ভাব কমে যায়। ঝাঁঝালো সব্জি ও মশলার দাপটে করলার তেতো ভাব নিষ্ক্রিয় হয়ে যেতে পারে খানিকটা।