বাইরে বেরোলেই খুদের একটাই বায়না, তাকে চকোলেট কিনে দিতে হবে। কখনও বকাবকি করে বিষয়টি সামাল দেওয়া গেলেও, বেশির ভাগ সময়েই তাদের জেদের কাছে হার মানতে বাধ্য হন অভিভাবকেরা। স্কুলের টিফিনে হোক বা বাড়িতে, চকোলেট না পেলে অনেক শিশুরই মেজাজ বিগড়ে যায়। অথচ শিশুর চিকিৎসকের কড়া নির্দেশ, একেবারেই কেনা চকোলেট দেওয়া যাবে না তাদের। খুদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে একটু সময় খরচ করে যে কোনও ছুটির দিনে ওর জন্য বাড়িতেই বানিয়ে ফেলতে পারেন স্বাস্থ্যকর চকোলেট। শিখে নিন, কী ভাবে তিনটি পদ্ধতি মেনে বাড়িতেই স্বাস্থ্যকর চকোলেট বানাতে পারেন।
পদ্ধতি ১
প্রথমে কাজু, পেস্তা, কাঠবাদাম, কিশমিশ কুচিয়ে নিন। এ বার ডার্ক চকোলেট গলিয়ে তার মধ্যে জ্যাগারি পাউডার (গুঁড়ো করা গুড়), আর খানিকটা মাখন মিশিয়ে নিন ভাল করে। চকোলেট মোল্ডে মিশ্রণটি ঢেলে ফ্রিজে রেখে দিন সারা রাত। তা হলেই তৈরি হয়ে যাবে স্বাস্থ্যকর চকোলেট।
স্বাস্থ্যের কথা ভেবে আর চকোলেট খাওয়া বন্ধ করতে হবে না। ছবি: শাটারস্টক।
পদ্ধতি ২
কাঠবাদাম, কাজু, মাখানা প্রথমে শুকনো তাওয়ায় কিছু ক্ষণ নাড়াচাড়া করে নিন। এ বার একটি মিক্সারে সেগুলি ভরে তার সঙ্গে মিশিয়ে দিন বেশ খানিকটা খেজুর আর কিশমিশ। এ বার মিশ্রণটি বেটে নিন ভাল করে। এ বার একটি থালায় ঢেলে মিশ্রণটি থেকে ছোট ছোট বল বানিয়ে নিন।খানিকটা ডার্ক চকোলেট গলিয়ে নিন। একটি ট্রে-র উপর বাটার পেপার রেখে দিন। ড্রাই ফ্রুটের বলগুলি চকোলেটে ডুবিয়ে ট্রেতে সাজিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন সারা রাত।
পদ্ধতি ৩
একটি ননস্টিক পাত্রে সামান্য ঘি দিয়ে মাখানা ভেজে নিন লালচে করে। এ বার ডার্ক চকোলেট গলিয়ে তার মধ্যে মিশিয়ে দিন খানিকটা খেজুর বাটা। এ বার মাখানাগুলি চকোলেটের মিশ্রণে ঢেলে দিন। এর পর চামচ দিয়ে একে একে তুলে ট্রে-র উপর রাখুন। উপর থেকে ছড়িয়ে দিন ভাজা চিনেবাদামের গুঁড়ো। এর পর ফ্রিজে রেখে দিন সারা রাত।