দুর্গাপুজো এমন একটা উৎসব, যা প্রত্যেক বাঙালির জীবনে অপরিহার্যই বটে। এই পুজোয় নিজেকে সামিল করার নেশায় গোটা বাঙালি জাতি অপেক্ষা করে থাকে সারাটা বছর ধরে। আর প্রধান উৎসব বলে কথা! তাই থিম থেকে প্রতিমা, লাইটিং থেকে প্যান্ডেল, সব কিছু মিলিয়ে প্রতি বছরই থাকে কিছু না কিছু চমক। পুজোকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায় নানান ধ্যান-ধারণা, কলা-কৌশল, যা অবলম্বন করে নিজের নিয়মেই সময়ের সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে বয়ে চলে এই উৎসবের আখ্যান। কখনও পুরনো জমিদারি সংস্কৃতির কথা মাথায় রেখে, আবার কখনও মণ্ডপে মণ্ডপে হালফিলের থিম পুজো করে, পুজোকে নিত্য নতুন রূপে সাজানোর লক্ষ্যে বছরের পর বছর যে বিবর্তন দেখা যায়, এক কথায় তা অতুলনীয়।
বিশেষত এই সময় দাঁড়িয়ে থিম পুজোই বহুলাংশে বাঙালির মন জয় করছে। আর তাই এই থিম পুজো কমিটিগুলি নিজেদেরকে আরও-আরও ভাল করার জন্য বারংবার বদলে ফেলছে নিজেদের ভাবনা। যেখানে শিল্পীরা তাদের মনের ভাবনা, তাদের কারিগরিত্ব ব্যক্ত করতে পারছেন। বলা বাহুল্য এই থিম পুজোগুলি শিল্পীদের কাছে তাদের শিল্পকলার বহিঃপ্রকাশের একটি প্ল্যাটফর্ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকটা একটি প্লেটে সাজানো হরেক কিসিমের পদের মতো। এই দূর্গাপুজোই একমাত্র উপলক্ষ্য যেখানে সকল মানুষ এক ছাদের তলায় এসে মিলিত হয়। তবে এমনও অনেক বাঙালি আছেন যারা কর্মসূত্রে বা অন্যান্য কাজে দেশের বা রাজ্যের বাইরে থাকার কারণে ভীষণভাবে মিস করেন এই পুজোকে। কিন্তু এখন আর চিন্তা নেই। কারণ উৎসবের এই বিবর্তনের কথা মাথায় রেখেই টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ অসাধারণ একটি সমাধান নিয়ে হাজির হয়েছে সকলের দোরগোড়ায়, থুড়ি হাতের মুঠোয় যা সত্যিই অবাক করার মতো। এখানকার ছাত্ররা পুজোর জন্য তৈরি করেছে ৩৬০ ডিগ্রি ইন্টারেক্টিভ একটি অ্যাপ - অন্য পুজো। এটি এমন একটি অ্যাপ যার মাধ্যমে আপনি বিশ্বের যে কোনও প্রান্ত থেকে পুজোর আবেগকে উপভোগ করতে পারবেন ফোনের একটা ক্লিকের মাধ্যমেই।
টেকনো ইন্ডিয়ার গ্লোবাল অপারেশনের ডিরেক্টর মেঘদূত রায়চৌধুরীর মস্তিষ্ক প্রসূত এই অ্যাপটির ডিজাইন করেছে কলকাতার এক নামকরা সৃজনশীল সংস্থা - ঢিকচিক। যাদেরকে সম্পূর্ণভাবে সাহায্য করেছেন থাইল্যান্ডের ভিএফএক্স আর্টিস্ট ব্রিনলে ক্যাডম্যান। তবে বলা বাহুল্য এই অ্যাপটিকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যারা দিন রাত এক করে খেটেছেন তারা হলেন টেকনো ইন্ডিয়ার ছাত্রদেরই তৈরি ব্লুপারহাউস স্টুডিও দল।
আরও পড়ুন: গতি বাড়িয়ে এগিয়ে আসছে ঘুর্ণিঝড় ‘তিতলি’
এই দলের নেতৃত্বে থাকা তুহিন সাহা, এই অ্যাপটি নিয়ে অত্যন্ত আশান্বিত। তার মতে টেকনোলজি এবং বাঙালি সংস্কৃতির মেলবন্ধনে তৈরি অন্য পুজো অ্যাপটি বাঙালিদের একদম অন্যরকম স্বাদ দেবে। দলের আরও এক সদস্য সুস্মিত পাত্র জানিয়েছেন এই অ্যাপটিতে তার কাজ করার অভিজ্ঞতা একদম অন্যরকম। তার মতে এই অন্য পুজো, বিশ্বব্যাপী বাঙালিদের এক সুতোয় বেঁধে দেবে। দলের আরেক সদস্য অরিত্র মনে করেন যে এই অ্যাপ তাদের রাতের ঘুম উড়িয়ে দিলেও, এটি তাদের কাছে একদম অনন্য এক পাওনা।
বিশ্বের যে কোনও জায়গায় থেকে আপনি ব্যবহার করতে পারবেন এই অ্যাপটি। এবার বাইরে থেকেও মা দূর্গা এবং তার সন্তানদের সঙ্গে ছবি তোলা জাস্ট সময়ের অপেক্ষা মাত্র। ছবি তুলুন এবং তা আপলোড করে দিন স্যোশাল মিডিয়াতে হ্যাশট্যাগ #onyopujo লিখে। সেরার সেরা ছবিগুলি সমাদৃত হবে বিশ্বজুড়ে।
গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন - https://play.google.com/store/apps/details?id=com.TechnoIndiaGroup.OnyoPujoAR
অ্যাপল স্টোর থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন - https://itunes.apple.com/fr/app/onyo-pujo-ar/id1438714905?l=en&mt=8
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy