Advertisement
E-Paper

পঞ্চাশে অ্যাপোলো ১১, চন্দ্র-উৎসবে ওয়াশিংটন

আজ থেকে ৫০ বছর আগে ১৯৬৯ সালের ১৬ জুলাই ‘স্যাটার্ন ৫’ রকেটে চেপে চাঁদে পাড়ি দিয়েছিল ‘অ্যাপোলো ১১’।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০১৯ ০৩:১৯
মহালাফ: চাঁদে পাড়ি। ফ্লরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে রওনা দিচ্ছে অ্যাপোলো ১১। চাঁদে আর্মস্ট্রং ও অলড্রিন (ডান দিকে)।

মহালাফ: চাঁদে পাড়ি। ফ্লরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে রওনা দিচ্ছে অ্যাপোলো ১১। চাঁদে আর্মস্ট্রং ও অলড্রিন (ডান দিকে)।

তৈরি হচ্ছে লঞ্চপ্যাড! ফের উড়বে ৩৬৩ ফুট দীর্ঘ রকেট ‘স্যাটার্ন ৫’। তবে পর্দায়, প্রোজেক্টরের মাধ্যমে।

ওয়াশিংটন ডিসিতে বিখ্যাত ওয়াশিংটন মনুমেন্টের সামনে সাজো সাজো রব। ‘অ্যাপোলো ১১’-এর ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ১৬ জুলাই এই আয়োজন। ঘটনাচক্রে আগের দিনই, ১৫ জুলাই পাড়ি দিচ্ছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরোর ‘চন্দ্রযান ২’।

‘স্মিদসোনিয়ান’স ন্যাশনাল এয়ার অ্যান্ড স্পেস মিউজ়িয়াম’-এর পক্ষ থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে ঘোষণা করা হয়েছে ওয়াশিংটন মনুমেন্টে তাদের আয়োজনের কথা। আজ থেকে ৫০ বছর আগে ১৯৬৯ সালের ১৬ জুলাই ‘স্যাটার্ন ৫’ রকেটে চেপে চাঁদে পাড়ি দিয়েছিল ‘অ্যাপোলো ১১’। সেই ঘটনাই পুনর্নির্মাণ করা হবে। ১৬, ১৭ ও ১৮ জুলাই, তিন দিন রাত সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত মনুমেন্টের পূর্ব দিকে ফুটে উঠবে পূর্ণ আকারের ‘স্যাটার্ন ৫’। ১৯ ও ২০ জুলাই চলবে ১৭ মিনিটের শো। দেখানো হবে কেনেডি স্পেস সেন্টারে সে দিনের কাউন্ট ডাউন, ‘স্যাটার্ন ৫’-এর উৎক্ষেপণ, ‘অ্যাপোলো ১১’-এর দুষ্প্রাপ্য সব ছবি। মিউজ়িয়ামের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গোটা উৎসব বিনামূল্যে দেখতে পাবেন লোকজন। অনুষ্ঠানের নাম রাখা হয়েছে, ‘অ্যাপোলো ৫০: গো ফর দ্য মুন’।

দেশজুড়ে আরও বহু আয়োজন হয়েছে। কেনেডি স্পেস সেন্টারেও দেখানো হবে কেমন ছিল সে দিনের ‘স্যাটার্ন ৫’। চাঁদে যাওয়া ও চাঁদের মাটিতে পা ফেলার অনুভূতি কেমন ছিল, তা-ও আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে দেখানো হবে। প্রকাশ করা হবে আর্মস্ট্রংয়ের ছবি-সহ ডাকটিকিট। গুগলও নয়া প্রযুক্তির মাধ্যমে ‘অ্যাপোলো ১১’ অভিযান থ্রি-ডি প্রযুক্তিতে পুনর্নির্মাণ করবে।

আগামী ২০ জুলাই সদবি’জ নিলামে তুলছে ‘অ্যাপোলো ১১’-এর অভিযাত্রী বাজ় অলড্রিনের ১১টি জিনিস। ওই দিনই চাঁদে নেমেছিল অ্যাপোলো। ১১টি জিনিসের মধ্যে রয়েছে অভিযানের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র। তাতে মহাকাশযানের যান্ত্রিক গোলযোগ থেকে অভিযানের বিভিন্ন জটিল হিসেব রয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে নথিগুলির দাম উঠবে ৩০ হাজার থেকে ৫০ হাজার ডলার। এগুলো বাদ দিয়ে অভিযানের ফাইলের প্রথম ও শেষ পাতাটিও আলাদা করে নিলামে উঠছে। প্রথম পাতাটির প্রথম শব্দ ছিল ‘লিফ্টঅফ’। শুধু এই পাতাটির ৫০ হাজার ডলার দাম উঠবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। শেষ পাতাটিতে আছে অভিযানের শেষ দু’ঘণ্টার কাজকর্মের বর্ণনা। দু’টি পাতার নীচেই অলড্রিনের স্বাক্ষর রয়েছে। নিলামে শেষ পাতাটির দাম উঠতে পারে ৩৫ হাজার ডলার। অলড্রিন একটি বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘আমাদের অভিযান মানব সভ্যতার জয়। এমন একটি ঐতিহাসিক ঘটনার নথিপত্র নিজের কাছে সযত্নে রাখতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি। অভিযানের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, নতুন প্রজন্মের কেউ এ বার ওগুলির দায়িত্ব নিক।’’

NASA Moon Apollo 11 Neil Armstrong Buzz Aldrin
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy