চিতাবাঘের হানায় আতঙ্ক চা বাগানে
নিজস্ব সংবাদদাতা • শামুকতলা
গরু চ়রাতে গিয়ে চিতাবাঘের হানায় জখম হলেন এক আদিবাসী তরুণ। বুধবার দুপুরে শামুকতলা থানার কার্তিক চা বাগানের ৩২ নম্বর সেকশনে ঘটনাটি ঘটে। বনদফতর সুত্রে জানা গিয়েছে জখম তরুণের নাম অরবিন্দ কুজুর। বাড়ি কার্তিক ডিভিশনেরই শ্রমিক মহল্লায়। সহপাঠি বিকি এক্কাকে সঙ্গে নিয়ে এদিন দুপুরের পর মাঠ থেকে গরু আনতে গিয়েছিলেন অরবিন্দ। চা বাগানের ভিতর দিয়ে যাওয়ার সময় একটি চিতাবাঘ অরবিন্দের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। শ্রমিকরা ছুটে আসতেই চিতাবাঘটি পালিয়ে যায়। বন দফতরের কর্মীরা ওই যুবককে উদ্ধার করে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে ভর্তি করান। এদিকে গত মঙ্গলবার দুপুরে রায়ডাক চা বাগানে কাজ করার সময় চিতাবাঘের হানায় গীতা বরাইক নামে এক চা শ্রমিক গুরুতর জখম হন। এই দু’টি ঘটনায় রায়ডাক ও কার্তিক চা বাগানে চিতাবাঘের আতঙ্কে ছড়িয়ে পড়েছে। শ্রমিকরা খাঁচা পাতার দাবি তুলেছেন। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের সাউথ রায়ডাক রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার জয়ন্ত মণ্ডল জানিয়েছেন, ‘‘খাঁচা পাতার বিষয়টি খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’’
বাঘের হানায় মৃত
নিজস্ব সংবাদদাতা • গোসাবা
বাঘের আক্রমণে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। বুধবার পীরখালি ২ জঙ্গলের ঘটনা। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প সূত্রের খবর, মৃত বিষ্ণুপদ মণ্ডলের (৪২) বাড়ি গোসাবার বালি সত্যনারায়ণপুরে। মঙ্গলবার বিষ্ণুপদ মণ্ডল-সহ এলাকার আরও তিন জন সুন্দরবনের গুন্ডি নদীর কাছে খালে কাঁকড়া ধরছিলেন। সে সময় পীরখালি ২ জঙ্গল থেকে একটি বাঘ বেরিয়ে এসে বিষ্ণুপদবাবুকে আক্রমণ করে। সঙ্গীরা তাঁকে ছাড়িয়ে আনেন। কিন্তু ঘটনাস্থলেই মারা যান ওই ব্যক্তি। ব্যাঘ্র প্রকল্পের ডেপুটি ফিল্ড ডিরেক্টর কিশোর মানকার বলেন, ‘‘এখন সুন্দরবনে মাছ ধরতে যাওয়ার জন্য কাউকে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। ওই দলটি চুরি করে মাছ ধরতে গিয়েছিল। ঠিক কী হয়েছে তা খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’
কাজ বন্ধ হাতি করিডরে
গুয়াহাটিতে হাতির যাতায়াতের রাস্তায় নির্মাণকাজ নিষিদ্ধ করল প্রশাসন। পাশাপাশি, দিপর বিল এলাকায় হাতি করিডরে পাঁচটি এলাকা দখলমুক্ত করা হল। কামরূপের মিলমিলিয়া জঙ্গলে বন দফতরের নির্দেশ অমান্য করে বিদ্যুৎস্তম্ভ নির্মাণ করায় রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হল। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, দিপর বিলের আশপাশে কয়েকটি এলাকায় বেআইনি নির্মাণকাজ চলছিল। হাতিরা নির্দিষ্ট রাস্তায় যাতায়াত করতে না পেরে লোকালয়ে ঢুকে পড়ছিল। রানি ও গড়ভাঙা সংরক্ষিত অরণ্যের মধ্যবর্তী এলাকায় মাটিয়া থেকে দেওচাতাল পর্যন্ত এলাকায় জবরদখল বেশি হয়েছে। বন দফতরের সাহায্য নিয়ে দু’দিন ধরে প্রশাসন পাঁচটি জায়গায় দেওয়াল বা নির্মীয়মান বাড়ি ভাঙে। হাতিদের খাদ্যের জোগান রাখতে রানি অরণ্যের আশপাশে বনসৃজন করা হবে। অন্য দিকে, নিষেধ না মেনে পশ্চিম কামরূপ বনাঞ্চলের মিলমিলিয়া সংরক্ষিত অরণ্যে বিদ্যুৎস্তম্ভ বসানোয় রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে বন বিভাগ। সম্প্রতি টহলদার বনকর্মীরা জঙ্গলের মধ্যে ট্রান্সফর্মার-সহ স্তম্ভটি দেখে রেঞ্জারকে খবর দেন। রেঞ্জ অফিস থেকে বিদ্যুৎ বিভাগকে স্তম্ভটি সরাতে বলেও লাভ হয়নি। বনকর্তাদের অভিযোগ, ওই ট্রান্সফর্মার বসাতে অনুমতি ছাড়া ১০টি শাল গাছ কাটা হয়েছে। কাটা গাছের কয়েকটি গুঁড়ি প্রমাণ হিসেবে পুলিশকে দেওয়া হয়েছে।