Advertisement
E-Paper

টুকরো খবর

বাইসনের হামলায় আহত এক জন মারা গেলেন বৃহস্পতিবার। সেই দিনই ফের বাইসনের আতঙ্ক ছড়াল ঘোকসাডাঙায়। এ দিন বিকেলে মাথাভাঙা মহকুমার ওই এলাকায় খবর চাউর হয়ে যায়, বেলাকোবা এলাকার ধান খেতে বাইসন দেখা গিয়েছে। তার জেরেই বেলাকোবা-সহ লাগোয়া নবীনেরদোলা, বড়শিমুলগুড়ি, লতাপোতার মত এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে বন দফতরের পাশাপাশি পুলিশকর্মীরাও ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। তবে সন্ধ্যে পর্যন্ত কোনও বাইসনের সন্ধান পাননি বনকর্মীরা।

শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০১৪ ০২:১১

বাইসনের হামলায় আহতের মৃত্যু

নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার

বাইসনের হামলায় আহত এক জন মারা গেলেন বৃহস্পতিবার। সেই দিনই ফের বাইসনের আতঙ্ক ছড়াল ঘোকসাডাঙায়। এ দিন বিকেলে মাথাভাঙা মহকুমার ওই এলাকায় খবর চাউর হয়ে যায়, বেলাকোবা এলাকার ধান খেতে বাইসন দেখা গিয়েছে। তার জেরেই বেলাকোবা-সহ লাগোয়া নবীনেরদোলা, বড়শিমুলগুড়ি, লতাপোতার মত এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে বন দফতরের পাশাপাশি পুলিশকর্মীরাও ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। তবে সন্ধ্যে পর্যন্ত কোনও বাইসনের সন্ধান পাননি বনকর্মীরা। রাজ্যের বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, “লোকালয়ে বাইসন ঢুকেছে বলে খবর পেয়ে বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। কিন্তু সন্ধে পর্যন্ত কোনও বাইসনের সন্ধান মেলেনি। এলাকায় নজরদারি চলছে।” কোচবিহারের ডিএফও কৌশিক সরকার সন্ধ্যায় জানান, “খবর পেয়ে আধিকারিকরা গিয়েছেন। এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।” গত মঙ্গলবারের বাইসনের হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল তিন। বুধবার রাতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্‌সাধীন প্রসন্ন বর্মনের (৬০) মৃত্যু হয়। তিনি বড়শিমুলগুড়ি এলাকার বাসিন্দা। গত মঙ্গলবার জলদাপাড়া জঙ্গল থেকে ঢুকে পড়া তিনটি বাইসন দিনভর দাপিয়ে বেড়ায় ওই গ্রামে। বাইসনের হামলায় মারা যান বড়শিমুলগুড়ির বাসিন্দা এক দম্পতি কালীমোহন বর্মন (৬০) ও মনিমালা বর্মন (৫৫)। প্রসন্নবাবুকে প্রথমে কোচবিহার জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। জখম নবীনেরদোলার বাসিন্দা ধীরেন্দ্রকুমার বর্মনের অবশ্য শারীরিক অবস্থার অনেকটা উন্নতি হয়েছে। আত্মরক্ষা করতে বাইসনের শিং ধরে প্রায় ১০ মিনিট লড়াই করেছিলেন তিনি। কোচবিহার জেলা হাসপাতালে তাঁর চিকিত্‌সা চলছে। এ দিন বন দফতরের তরফে বাইসনের হামলায় মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়। বনমন্ত্রী জানিয়েছেন, বাইসনের হামলায় মৃতের সংখ্যা হল তিন জন। মৃতের আত্মীয়রা ১ লক্ষ টাকা করে সাহায্য পাবেন। এ দিন প্রাথমিকভাবে তাঁদের ৫০ হাজার টাকা করে তুলে দেওয়া হয়েছে।

চোরাশিকারে ধৃত সাত

নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি

গত তিনমাসে ডুয়ার্সের গরুমারা জাতীয় উদ্যান এবং জলদাপাড়া অভয়ারণ্যে তিন দফায় চোরাশিকারির হানার ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই গন্ডারের শৃঙ্গ কেটে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। উদ্ধার হয়েছে উত্তরবঙ্গের জঙ্গলের গর্ব বলে পরিচিত গন্ডারের নিথর দেহগুলি। তদন্তে নেমে দুই ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এরমধ্যে একজন অসমের এক বাসিন্দাও রয়েছে। বাকিরা সকলেই স্থানীয় বাসিন্দা। পুলিশ এবং বন দফতরেরা অফিসারেরা জানান, জঙ্গল লাগোয়া এলাকার গ্রামগুলিতে ঘাঁটি গেড়ে ওই চোরা শিকারীর সক্রিয় হয়ে উঠেছিল। তাই জঙ্গল লাগোয়া গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে গন্ডার সংরক্ষণ নিয়ে সচেতনতার প্রচার চালাতে এগিয়ে এল হিমালয়ান নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশন (ন্যাফ)। সহযোগিতায় অসমের গুয়াহাটির স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘আরণ্যক’। দুই দিন ধরে গরুমারা এবং জলদাপাড়ার চারটি এলাকায় পথনাটিকা থেকে শুরু সচেতনতার প্রচারের কাজ হবে। ন্যাফের মুখপাত্র অনিমেষ বসু বলেন, “গোটা দেশে উত্তরবঙ্গ এবং অসমের এক শৃঙ্গ গন্ডার বিখ্যাত। দেশ বিদেশের বহু পর্যটক এর আকর্ষণে এলাকায় আসেন। সেখানে বর্তমান পরিস্থিতি দাঁড়িয়ে গন্ডার সংরক্ষণ জরুরি হয়ে পড়েছে। আমরা তাই জলদাপাড়া অভয়ারণ্য এবং গরুমারা জাতীয় উদ্যান লাগোয়া এলাকায় সচেতনতা প্রচারের কাজ করা হবে।” বন দফতরের বন্যপ্রাণ শাখার কয়েকজন অফিসার জানান, অগস্ট মাসের জলদাপাড়ার কোদালবস্তি এবং ফিফটি-ফিফটি বিটে চোরাশিকারিরা হানা দেয়। অক্টোবর মাসে গরুমারার ধূপঝোরায় এই ঘটনা ঘটেছে।

হাতির হানা

হাতির একটি দল দহ, গড়মাল ও তার আশপাশ এলাকায় ঢুকে পড়েছে। এই দলে ৩০- ৩৫টি হাতি রয়েছে বলে অনুমান। দলটি অবশ্য এখনও সেই ভাবে লোকালয়ে ঢোকেনি। বেশির ভাগ সময় জঙ্গলেই থাকছে। হাতির হানায় এই সব এলাকায় সামান্য ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে। হাতির হানা নিয়ে গ্রামবাসীরা আতঙ্কে রয়েছেন। দলটির গতিবিধি কখন কী হবে, তা ভাবতে গিয়েই চিন্তা বাড়ছে তাঁদের। বন দফতর অবশ্য জানিয়েছে, উদ্বেগের কিছু নেই। দলটির গতিবিধির উপর নজর রাখা হয়েছে। লোকালয়ে হাতি ঢুকলে গ্রামবাসীদের সাহায্য নিয়ে তাড়ানোর চেষ্টা করা হবে।

পাতায় পাতায়। রামপুরহাটে।

brief story jibjagat tukro
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy