Advertisement
E-Paper

টুকরো খবর

হাতির হানায় ফসলের ক্ষতি হওয়ায় মৌপাল বিট অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। দ্রুত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিতে রবিবার এই বিক্ষোভ কর্মসূচি হয়। দলমার হাতির দল সপ্তাহ দুয়েক আগে ওড়িশা থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরে ঢোকে। বড় দলটি রয়েছে পিড়াকাটা রেঞ্জের কালীবাসার জঙ্গলে। এই এলাকাটি মৌপাল বিটের অন্তর্গত। এখানকার হাতির দলে প্রায় ৭০টি হাতি রয়েছে। হুমগড় রেঞ্জের বারোমেসিয়ায় প্রায় ১০টি হাতির একটি দল রয়েছে। হাতির দল দ্রুত এলাকা না ছাড়ায় সমস্যা বেড়েছে। সঙ্গে সদ্যোজাত থাকায় দলটি ধীরে ধীরে এগোচ্ছে।

শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:৪৮

ফসলের ক্ষতি, বিক্ষোভ

হাতির হানায় ফসলের ক্ষতি হওয়ায় মৌপাল বিট অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। দ্রুত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিতে রবিবার এই বিক্ষোভ কর্মসূচি হয়। দলমার হাতির দল সপ্তাহ দুয়েক আগে ওড়িশা থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরে ঢোকে। বড় দলটি রয়েছে পিড়াকাটা রেঞ্জের কালীবাসার জঙ্গলে। এই এলাকাটি মৌপাল বিটের অন্তর্গত। এখানকার হাতির দলে প্রায় ৭০টি হাতি রয়েছে। হুমগড় রেঞ্জের বারোমেসিয়ায় প্রায় ১০টি হাতির একটি দল রয়েছে। হাতির দল দ্রুত এলাকা না ছাড়ায় সমস্যা বেড়েছে। সঙ্গে সদ্যোজাত থাকায় দলটি ধীরে ধীরে এগোচ্ছে। হাতির হানায় মৌপাল বিটের অন্তর্গত বিভিন্ন এলাকায় ফসলের ক্ষতি হয়েছে। নষ্ট হয়েছে ধান, আলু। ফসলের ক্ষতি হওয়ায় গ্রামবাসীরা ক্ষুব্ধ। বন দফতরের এক কর্তা বলেন, “ফসলের কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ওই এলাকা থেকে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা চলছে।” তিনি আরও জানান, সপ্তাহ খানেক ধরে হাতির দল ওই এলাকায় রয়েছে। এতগুলো হাতি একসঙ্গে জমির উপর দিয়ে চলে গেলেও ফসলের ক্ষতি হবে। সঙ্গে সদ্যোজাত থাকায় হাতির দল দ্রুত এলাকা ছাড়তে চাইছে না। তবে সকালে হাতির দল সে ভাবে লোকালয়ে আসছে না। বন দফতর জানিয়েছে, ক্ষয়ক্ষতির হিসেব চলছে। যাঁদের ফসলের ক্ষতি হয়েছে, তাঁরা ক্ষতিপূরণ পাবেন। হাতির দলের গতিবিধির উপর নজর রাখা হয়েছে। উদ্বেগের কিছু নেই।

হাতি বাঁচাতে ক্যামেরা বসানোর প্রস্তাব

নিজস্ব সংবাদদাতা • আলিপুরদুয়ার

ট্রেনের ধাক্কায় হাতি-মৃত্যু ঠেকাতে জঙ্গলে রেল পথের দু’ ধারে ক্যামেরা বসানোর প্রস্তাব দিয়েছিল কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রক। প্রস্তাব অবশ্য কার্যকর হয়নি। এ বার নড়ে চড়ে বসে রাজ্যের পাল্টা প্রস্তাব, শিলিগুড়ি জংশন থেকে আলিপুরদুয়ার, ১৬৮ কিলোমিটার লাইনে নজরদারিতে কতগুলি ক্যামেরা প্রয়োজন, তা জানতে রেলের সঙ্গেই রাজ্যের বন বিভাগ যৌথ সমীক্ষা করতে চায়। শনিবার দুপুরে, বন্যপ্রাণ দিবসে বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন এই প্রস্তাবের কথা জানান। বক্সার বাঘ বনে আদৌ শার্দুলেরা রয়েছে কিনা তা জানতে ইতিমধ্যেই ১০০টি ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বাঘ সুমারিতে বিষ্ঠা পরীক্ষা, ডিএনএ পরীক্ষার মতো পদ্ধতিতে বক্সায় বাঘের অস্তিত্ব জানা গেলেও বাঘের কোনও ছবি এখনও ক্যামেরাবন্দি করা যায়নি। বনমন্ত্রী বলেন, “কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রক থেকে আমাদের জানানো হয়েছে আলিপুরদুয়ার জংশন থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত ডুয়ার্সের রেলপথে হাতি মৃত্যুর উপর নজরদারি চালাতে ‘নাইটভিশন’ ক্যামেরা বসাতে হবে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। দ্রুত রেল বোর্ডের কাছেও প্রস্তাব পাঠানো হবে।”

ছাই-দূষণ বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুত্‌ কেন্দ্রে


চন্দ্রভাগা নদী। (ইনসেটে) গত ৫ নভেম্বরে নদীর হাল। ছবি: দয়াল সেনগুপ্ত

আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুত্‌ কেন্দ্র থেকে নির্গত ছাই-দূষণ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় পরিবেশ আদালত। দূষণ রোধ করতে না পারলে তাপবিদ্যুত্‌ কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটই বন্ধ করে দেওয়ার জন্য পদক্ষেপ করতে পারে আদালত। তার জেরে শনিবার থেকেই কর্তৃপক্ষ চন্দ্রভাগা নদীগর্ভ থেকে ছাই তুলে ফেলার কাজে পাঁচটি যন্ত্র লাগিয়েছে। ছাইপুকুর থেকে যাতে ছাই মিশ্রিত জল নতুন করে নদীতে না মেশে, তার ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। যদিও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই নদী কতটা ছাইমুক্ত করা যাবে, তা নিয়ে সংশয়ে এলাকাবাসী।

বাঘের থাবা, আহত ২

সাত সকালে মাঠে গিয়েছিলেন ধান কাটতে। শনিবার ভোরে সেখানেই দক্ষিণ রায়ের কোপে পড়েন তাঁরা। গুরুতর জখম চিত্তরঞ্জন সরকার এবং অজয় কয়াল নামে, দুই গ্রামবাসীকেই কলকাতায় চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বাঘ বেরনোর খবর রটতেই ভিড় বাড়তে থাকে। খবর যায় স্থানীয় বন দফতরের কাছেও। জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় মাঠ। বাঘ ধরতে পাতা হয় দু’টি খাঁচাও। তবে বাঘ আর সে পথ মাড়ায়নি।

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy