Advertisement
E-Paper

টুকরো খবর

পর পর দু’রাত ধরে একই স্কুলে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে একটিই দাঁতাল। স্কুলের অফিস ঘর, রান্নাঘর সবই গুড়িয়ে গিয়েছে দাঁতালটির হানায়। তাই আতঙ্কের প্রহর কাটাচ্ছেন এলাকার মানুষ। গরুমারা জাতীয় উদ্যান লাগোয়া বিছাভাঙা বিএফপি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক-পড়ুয়ারাও আতঙ্কিত।

শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৪ ০২:৪৩

একই স্কুলে পরপর হাতির হামলা

নিজস্ব সংবাদদাতা • মালবাজার

ফের স্কুল ভাঙল হাতি। বিছাভাঙায়।

পর পর দু’রাত ধরে একই স্কুলে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে একটিই দাঁতাল। স্কুলের অফিস ঘর, রান্নাঘর সবই গুড়িয়ে গিয়েছে দাঁতালটির হানায়। তাই আতঙ্কের প্রহর কাটাচ্ছেন এলাকার মানুষ। গরুমারা জাতীয় উদ্যান লাগোয়া বিছাভাঙা বিএফপি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক-পড়ুয়ারাও আতঙ্কিত। রবিবারের পর ফের সোমবার গভীর রাতেও এই হামলা চালায় দাঁতালটি। রবিবার স্কুলের অফিসঘরের দেওয়াল ভেঙে ফেলে আলমারি, চেয়ার টেবিল তছনছ করে দিয়েছিল দাঁতালটি। সোমবার গভীর রাতেও ফের স্কুলে এসে রান্নাঘর গুড়িয়ে দিয়ে যায়। এদিন স্কুলের পরে গরুমারা জাতীয় উদ্যানের প্রকৃতি বীক্ষণ কেন্দ্রে ঢোকে দাঁতালটি। সেখানে তারজালির বেড়া ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাণ্ডব চালিয়ে ফের অন্য প্রান্তের বেড়া ভেঙে বেরিয়ে যায় সে। মহকুমাশাসক জ্যোতির্ময় তাঁতি বলেন, “দাঁতালের হামলা থেকে স্কুলটি বাঁচাতে হবে।”

হাতির হানা শিমুলতলায়, মৃত এক

নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি

হাতির হানায় মৃতের পরিজন। শিমুলতলায়

হাতির হানায় মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। শিলিগুড়ি লাগোয়া শিমুলতলা এলাকার বালাসন কলোনি এলাকার ঘটনা। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে ৬ টি হাতির একটা দল এলাকায় ঢুকে পড়ে। দলটি বেশ কয়েকটি ঘর ভাঙে। অমর কুমার সর্দার (৩৪) নামে এক ব্যক্তিকে সামনে পেয়ে শুঁড়ে পেঁচিয়ে আছাড় মারে। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। হাতির দলটি এরপরেও এলাকায় কিছুক্ষণ দাপিয়ে বেড়ায়। পরে জঙ্গলে ঢুকে যায়। তবে হাতিগুলি বেঙডুবি এলাকাতেই রয়েছে বলে বন দফতরের অনুমান। ওই দলে একটি বাচ্চা হাতিও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কার্শিয়াং ডিভিশনের ডিএফও শৈলেশ আনন্দ বলেন, “মৃতের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা ক্ষতি পূরণ দেওয়া হয়েছে। পরে আইনানুসারে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।” ১৫-২০ টি হাতির একটি দল ওই এলাকায় কয়েকদিন ধরেই ঘোরাফেরা করছে বলে বন দফতর সূত্রের খবর। ওই দলটিই দু-তিন ভাগে ভাগ হয়ে প্রায় রোজই হানা দিচ্ছে বলে খবর।

হাতির হানায় শস্যহানি পশ্চিমে

হাতির হানায় শস্যহানি চলছেই। ইতিমধ্যে পিঁড়াকাটা রেঞ্জ এলাকার বিভিন্ন গ্রামে প্রচুর ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ বার দলমার হাতির দল মাস খানেক আগে ওড়িশা থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরে ঢুকে পড়ে। পরবর্তী সময় দলটি কখনও ভাদুতলা, কখনও গোদাপিয়াশাল, কখনও পিঁড়াকাটা রেঞ্জ এলাকায় দাপিয়ে বেড়াতে শুরু করে। এখনও বড় দলটি পিঁড়াকাটা রেঞ্জ এলাকায় রয়েছে। দলটিতে প্রায় ৬০টি হাতি রয়েছে। দিন কয়েক আগে এই দলটি লালগড়ের দিকে চলে গিয়েছিল। পরে ঝিটকার জঙ্গল ঘুরে ফের এখানে ফিরে আসে। বন- কর্মীরা দলটিকে লালগড়- রামগড়ের দিকে পাঠাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তা হয়নি। বন- কর্মীদের অনুমান, শেষমেশ দলটি গোয়ালতোড়ের দিকেই যাবে। সেই ক্ষেত্রে নয়াবসত, হুমগড়, গোয়ালতোড় প্রভৃতি এলাকায় প্রচুর ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। শষ্যহানিও আরও বাড়তে পারে। মঙ্গলবার ভাতমোড়ের জঙ্গলে এসেছিল কয়েকটি হাতি। বন দফতরের এক কর্তার আশ্বাস, “উদ্বেগের কিছু নেই। দলটির গতিবিধির উপরে নজর রাখা হয়েছে।”

রসের সন্ধানে। কালনায়।

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy