রাতের অন্ধকারে গাছ কেটে নষ্ট হাড়োয়ায়
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট
হাড়োয়া স্টেশন-সংলগ্ন রাস্তার পাশের জমি থেকে বেশ কিছু গাছ কেটে নিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা। বাধা দিতে গেলে এক গ্রামবাসীর হাতে দায়ের কোপ মেরে পালায় তারা। তিন জনের নামে অভিযোগ পেয়ে রাতেই পুলিশ তদন্তে যায়। বছর খানেক আগেও দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ওই এলাকা থেকে লক্ষাধিক টাকার গাছ কেটে নেয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত ১২টা নাগাদ এক গ্রামবাসী বাড়ি ফেরার সময়ে দেখেন, রাস্তার ধারের জমিতে আম, লম্বু-সহ নানা গাছ কেটে নেওয়া হচ্ছে। তিনি আরজি পার্টির সদস্যদের খবর দেন। গ্রামবাসীরা এসে দেখেন, চার দুষ্কৃতী গাছ কাটছে। গ্রামবাসীরা তাড়া করে একজনকে ধরে ফেলে। শুরু হয় গণধোলাই।
এখানেই কাটা হচ্ছিল গাছ।—নিজস্ব চিত্র।
বাকিরা পালায়। সে সময়ে দুষ্কৃতীদের দা-এর কোপ লাগে এক জনের হাতে। রাতের অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে ধরা পড়ে যাওয়া অন্য দুষ্কৃতীও সটকে পড়ে। আরজি পার্টির সম্পাদক রুহুল আমিন বলেন, “এলাকার কিছু দুষ্কৃতী রাস্তার পাশে সবুজয়ান ধ্বংস করতে গাছ কাটছে। তারা বিভিন্ন লোকের জমির গাছও নষ্ট করছে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানায়, কোনও প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে গাছ কাটছে দুষ্কৃতীরা।
পীরখালির জঙ্গলে বাঘের আক্রমণে মৃত্যু মত্স্যজীবীর
নিজস্ব সংবাদদাতা • গোসাবা
নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে বাঘের আক্রমণে মৃত্যু হল এক মত্স্যজীবীর। মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে সুন্দরবনের পীরখালিতে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সতীশ মণ্ডল (৪০)। বাড়ি গোসাবার ১২ নম্বর জেমসপুর। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, সোমবার সতীশ ও তাঁর ভাই ভূপতি এবং প্রতিবেশী বাপি মণ্ডল নদীতে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। বিকেলে জাল গুটিয়ে নৌকোয় মাছ তুলছিলেন তাঁরা। সে সময়ে পীরখালি ৬ জঙ্গল থেকে একটি বাঘ বেরিয়ে এসে সতীশবাবুকে আক্রমণ করে। তাঁর সঙ্গীরা লাঠি, বৈঠা নিয়ে বাঘকে তাড়া করেন। আশপাশের আরও দু’টি মাছ ধরার নৌকো থেকে চিত্কার করতে থাকেন অন্য মত্স্যজীবীরা। নৌকোর ছইয়ের উপরে লাঠি দিয়ে ঘা মেরে আওয়াজ করতে থাকেন সকলে। বাঘ একটা সময়ে সতীশকে ছেড়ে পালায়। উদ্ধার করা হয় তাঁকে। বুধবার সকালে ছোটমোল্লাখালি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিত্সকেরা ওই মত্স্যজীবীকে মৃত ঘোষণা করেন। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প দফতর জানায়, দলটির কাছে বৈধ কাগজপত্র ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
হাতির গুঁতোয় জখম পর্যটক
জঙ্গল সাফারির সময় ‘মস্ত্’ হাতির গুঁতোয় ছিটকে গেল অন্য একটি হাতি। আর তার পিঠ থেকে জঙ্গলে আছড়ে পড়লেন পশ্চিমবঙ্গের চার পর্যটক। কাজিরাঙার এই ঘটনা সম্পর্কে উদ্যান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বুধবার গীতা নামে একটি হাতিতে সওয়ার হন বিমল বসু, চন্দ্রা বসু, নির্মল বেরা ও রিনা বেরা। সাফারি চলাকালীন হুনতরা নামে অন্য একটি হাতি ওই গীতাকে সজোরে ধাক্কা মারে। আরোহীরা পিঠ থেকে ছিটকে পড়েন। এর মধ্যে দু-এক জন মুখ ও বুকে বেশি আঘাত পান। পর্যটকদের উদ্ধার করে প্রথমে বোকাখাট স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও পরে নগাঁও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পশুচিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে দেখেন, হুনতরা ‘মস্ত’ (হাতিদের উত্তেজক অবস্থা) অবস্থায় ছিল। সাফারিতে অংশ নেওয়া ভাগ্যবতী নামে অন্য একটি হাতিও ‘মস্ৎ’ ছিল। হুনতরা ও ভাগ্যবতীকে অবিলম্বে সাফারি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
হাতি ট্যাঙ্গাশোলে
দলদলি, খড়িকাশুলির পর এ বার ট্যাঙ্গাশোলে তাণ্ডব চালাল হাতির দল। দলটিতে প্রায় ১০টি হাতি রয়েছে। হাতির তাণ্ডবে গ্রামবাসীরাও আতঙ্কিত। বন দফতর সূত্রে খবর, হাতির দল বিষ্ণুপুরে চলে গিয়েছিল। সেখান থেকে ছোট একটি দল ফিরে এসেছে। বন দফতরের রূপনারায়ণ বিভাগের ডিএফও রবীন্দ্রনাথ সাহা অবশ্য বলছেন, উদ্বেগের কিছু নেই।
বড়দিনের উত্সবে। আরামবাগে