Advertisement
E-Paper

ধর্ষণের মামলায় নির্যাতিতার সন্তানের ‘পিতৃত্ব’ জানা জরুরি নয়! ডিএনএ পরীক্ষার আর্জি খারিজ এলাহাবাদ হাই কোর্টে

নিম্ন আদালতেই নির্যাতিতা এবং তাঁর সন্তানের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছিলেন অভিযুক্ত। নিম্ন আদালত সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছিল। তার বিরুদ্ধেই অভিযুক্ত উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৭:৩৩

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

ধর্ষিতা এবং তাঁর সন্তানের ডিএনএ পরীক্ষা করানো রুটিন বিষয় হতে পারে না। ধর্ষণের মামলার বিচারে নির্যাতিতার সন্তানের পিতৃত্ব জানা জরুরিও নয়। স্পষ্ট জানিয়ে দিল এলাহাবাদ হাই কোর্ট।

নিম্ন আদালতেই নির্যাতিতা এবং তাঁর সন্তানের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছিলেন অভিযুক্ত। নিম্ন আদালত সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছিল। তার বিরুদ্ধেই অভিযুক্ত উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। হাই কোর্টের বিচারপতি রাজীব মিশ্র নিম্ন আদালতের রায় বহাল রেখে জানিয়ে দিলেন, এ ভাবে যখন তখন ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া যায় না। অন্তত বিচার প্রক্রিয়ায় একেবারে শেষ পর্যায়ে এসে তো নয়ই।

হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ডিএনএ পরীক্ষা হলে তার মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে নির্যাতিতার ব্যক্তিগত জীবনে। তাই ডিএনএ পরীক্ষা করানো কখনওই রুটিন বিষয় হতে পারে না। বিচারপতি মিশ্র বলেন, ‘‘ধর্ষণের মামলার বিচারে শিশুর পিতৃত্ব জানা জরুরি নয়। ডিএনএ পরীক্ষা নির্যাতিতা এবং তাঁর সন্তানের জীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। শুধুমাত্র অনিবার্য পরিস্থিতিতেই, যখন আর অন্য কোনও উপায় নেই, তখনই আদালত ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দিতে পারে।’’

এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। সেই মামলায় তদন্ত শেষ করে পুলিশ চার্জশিটও দাখিল করে। চার্জ গঠনের পর সম্প্রতিই মামলার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে নিম্ন আদালতে। ইতিমধ্যে পাঁচ জনের সাক্ষ্যগ্রহণও হয়ে গিয়েছে। এর পরেই নিম্ন আদালতে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছিলেন অভিযুক্ত। তাঁর যুক্তি, স্বাভাবিক সময়ের আগে জন্মেছে নির্যাতিতার শিশু। এখন সে অনেকটা বেড়েও উঠেছে। এ ক্ষেত্রে ঘটনার সময়কালকে হাতিয়ার করে অভিযুক্তের দাবি, তিনি নির্যাতিতার সন্তানের বাবা নন। সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্যই তিনি ডিএনএ পরীক্ষার আর্জি জানিয়েছিলেন।

নিম্ন আদালত তা খারিজ করেইছে। সেই পথে হেঁটেছে হাই কোর্টও। উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ, নিম্ন আদালতের উচিত, যে সব অভিযোগ উঠেছে, সেই সংক্রান্ত বিষয় তথ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখেই মামলার বিচার করা। তার বাইরে অন্য কোনও বিষয় দেখারই প্রয়োজন নেই নিম্ন আদালত। এ ক্ষেত্রে নির্যাতিতার সন্তানের পিতৃত্ব জানার জন্য আবেদন আসলে নিম্ন আদালতকে পথভ্রষ্ট করারই চেষ্টা।

সুপ্রিম কোর্টের একাধিক রায়ের উল্লেখ করে হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ‘‘ধর্ষণের মামলায় নির্যাতিতা এবং তাঁর সন্তানের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য আবেদন করা হলে, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে এবং সতর্ক হয়ে বিবেচনা করা উচিত।’’

DNA test DNA Rape Survivor
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy