চাঁদের মাটিতে জাপানের চন্দ্রযান ‘স্লিম’। ছবি: পিটিআই।
চাঁদে পঞ্চম দেশ হিসাবে সম্প্রতি মহাকাশযান পাঠিয়েছে জাপান। তাদের চন্দ্র অভিযানের নাম স্মার্ট ল্যান্ডার ফর ইনভেস্টিগেটিং মুন (স্লিম)। আর জাপানের এই সফল চন্দ্র অভিযানে অবদান রয়েছে ভারতেরও। ইসরোর পরোক্ষ সাহায্যে চাঁদের মাটি ছুঁতে পেরেছে পূর্ব এশিয়ার দেশটি।
কী ভাবে সফল চন্দ্র অভিযানে জাপানকে সাহায্য করল ইসরো?
জানা গিয়েছে, ইসরোর তৈরি চন্দ্রযান-২ জাপানকে সাহায্য করেছে। এই চন্দ্রযানটির মাধ্যমে জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জাক্সা চাঁদের বেশ কিছু ছবি সংগ্রহ করেছে। তার মাধ্যমেই চাঁদের মাটিতে একটি উপযুক্ত ‘ল্যান্ডিং স্পট’ বা অবতরণের স্থান বাছাই করতে পেরেছে জাক্সা। চন্দ্রযান-২-এর প্রযুক্তি এবং অভিজ্ঞতা থেকেই গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা নিয়েছে জাপান।
ভারতের চন্দ্রযান-২ অবশ্য সফল হয়নি। চাঁদের মাটিতে নামার আগেই সেটি ভেঙে গিয়েছিল। তার পর নতুন করে চাঁদে মহাকাশযান পাঠায় ইসরো। ২০২৩ সালের অগস্ট মাসে ইসরোর তৈরি চন্দ্রযান-৩ সফল ভাবে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করেছে। চাঁদের যে দক্ষিণ মেরুর ধারেকাছে এখনও ঘেঁষতে পারেনি অন্য কোনও দেশ, তার একেবারে কাছেই ইসরোর ল্যান্ডার বিক্রম নেমেছে। এক চন্দ্রদিবস ধরে চাঁদের মাটিতে ঘুরে ঘুরে পর্যবেক্ষণ এবং পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়েছে চন্দ্রযান-৩-এর রোভার প্রজ্ঞান।
জাপানের চন্দ্র অভিযান প্রাথমিক ভাবে সফল হলেও তা পুরোপুরি মসৃণ হয়নি। শনিবার জাক্সা জানায়, ‘স্লিম’ চাঁদের মাটি ছুঁয়েছে। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে জাপানের মহাকাশযান ‘স্মার্ট ল্যান্ডার ফর ইনভেস্টিগেটিং মুন’ (স্লিম)-এ সৌরশক্তি পৌঁছচ্ছে না। চাঁদের মাটিতে কাজ করার জন্য সৌরশক্তিই ভরসা। জাপানি ল্যান্ডারটিতে সেই সৌরশক্তি ব্যবহারকারী যন্ত্রে ত্রুটি দেখা দেয়। ফলে অবতরণ সফল হলেও চাঁদে পরীক্ষা নিরীক্ষার উদ্দেশ্য সফল হয়নি জাপানের। যদিও জাক্সা জানিয়েছে, তাতে পঞ্চম দেশ হিসাবে চাঁদের মাটি ছোঁয়ার গরিমা ম্লান হচ্ছে না। চাঁদে নামার সঙ্গে সঙ্গে সেখানকার মাটির ছবি তুলে পাঠিয়েছে ‘স্লিম’। সেই ছবি জাপান গোটা বিশ্বের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছে। জানা গিয়েছে, মূল লক্ষ্যবিন্দু থেকে ৫৫ মিটার দূরে অবতরণ করেছে জাপানের চন্দ্রযান। চাঁদের মাটিতে পাখির পালকের মতো অবতরণ বা সফ্ট ল্যান্ডিংয়ের নজির এর আগে রয়েছে কেবল আমেরিকা, রাশিয়া, চিন এবং ভারতের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy