চুক্তিতত্ত্ব নিয়ে গবেষণার জন্য চলতি বছরের (২০১৬) অর্থনীতির নোবেল পেলেন অলিভার হার্ট এবং বেঙ্গট হলমস্ট্রম। উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে কোনও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের চুক্তির শর্ত কী হওয়া উচিত, মূলত তা নিয়ে গবেষণার জন্যই যৌথ ভাবে নোবেল দেওয়া হয়েছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির এই দুই অর্থনীতিবিদকে।
কাজের মানের ভিত্তিতে বেতন, সংস্থার দেওয়া বিমা-সহ একটি চুক্তির বিভিন্ন দিক উঠে এসেছে অলিভার এবং হলমস্ট্রমের গবেষণায়। দীর্ঘদিন ধরেই যা শুধুমাত্র ব্যবসায়িক সংস্থার ক্ষেত্রেই নয়, ব্যবহার করা হয়েছে বিভিন্ন নীতি তৈরির মূল হিসেবেও। তাঁদের বিভিন্ন তত্ত্ব ইতিমধ্যেই আধুনিক দেউলিয়া আইন এবং রাজনৈতিক সংবিধান তৈরির মূল সূত্র হিসেবে জনপ্রিয়।
৮০ লক্ষ সুইডিশ ক্রোনার (প্রায় ৯.২৮ লক্ষ ডলার) এই পুরস্কার ঘোষণার পরে রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কোন কোন সংস্থার সংযুক্তি হওয়া উচিত এবং সে জন্য মূলধন জোগাড়ের ধরন কেমন হওয়া প্রয়োজন, তা নিয়েই গবেষণা চালিয়েছেন জন্মসূত্রে ব্রিটিশ হার্ট। তাঁর গবেষণায় উঠে এসেছে কোনও বিদ্যালয় সরকারি, নাকি বেসরকারি হাতে থাকা উচিত সেই প্রসঙ্গও। অন্য দিকে, ফিনল্যান্ডের হলমস্ট্রম কাজ করেছেন সংস্থার এগজিকিউটিভ পদে থাকা কর্তাদের চুক্তি এবং তার সমস্যা নিয়ে। ‘‘ভোর ৪.৪০-এ ঘুম ভেঙেই মনে হলো, এ বারও হয়তো (নোবেল) হলো না। কিন্তু ভাগ্য ভাল ফোনটা বাজল।’’ নোবেল পাওয়ার প্রাথমিক অনুভূতিকে এ ভাবেই ব্যাখ্যা করেছেন ৬৮ বছর বয়সী হার্ট। নিশ্চিত হওয়ার পরে প্রথম কাজই ছিল স্ত্রী এবং ছোট ছেলেকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে খবরটা দেওয়া। আর ৬৭ বছরের হলমস্ট্রমের কথায়, ‘‘পুরো বিষয়টাই স্বপ্নের মতো।’’ অর্থনীতি নিয়ে চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত পাঁচটি ক্ষেত্রে নোবেল পুরস্কার প্রাপকদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। চিকিৎসা, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, এবং শান্তির জন্য পুরস্কার ঘোষণা হয়েছে গত সপ্তাহেই। আগামী বৃহস্পতিবার জানা যাবে সাহিত্যের বিজয়ীর নাম।