Advertisement
০৪ মে ২০২৪
Breastfeeding

Breast Milk: অনলাইনে মাতৃদুগ্ধ বিক্রি বাড়ছে, কেনার আগে জেনে নিন এতে কী ক্ষতি হচ্ছে শিশুদের

অনলাইনে কার বিক্রীত মাতৃদুগ্ধ কার কাছ থেকে সংগৃহিত হচ্ছ, তা জানার কোনও উপায় নেই।

  -ফাইল ছবি।

-ফাইল ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১২:২১
Share: Save:

অনলাইনে আর সব পণ্যের মতো মাতৃদুগ্ধও কেনা হচ্ছে দেদার। উত্তরোত্তর তা বেড়েই চলেছে। চটজলদি মাতৃদুগ্ধের বোতল ঘরে ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে ডোর বেল বাজিয়ে। বহু দেশে।

কিন্তু এতে যে শিশুর মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে, সে সম্পর্কে হুঁশিয়ার করে দিলেন বিজ্ঞানীরা। জানালেন, যা চাইছি অর্থের বিনিময়ে তা খুব সহজে মিলছে বলে যার প্রয়োজনে সেই মাতৃদুগ্ধ কেনা হচ্ছে সেই শিশুদেরই সর্বনাশ ডেকে আনা হচ্ছে। কারণ, অনলাইনে বিক্রি হওয়া মাতৃদুগ্ধের বোতলে থাকছে নানা ধরনের অপকারী ব্যাক্টেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক। শিশুদের পক্ষে ক্ষতিকর নানা ধরনের রাসায়নিক, ওষুধ। এমনকি, এডস ভাইরাসও। থাকছে সিফিলিস ও হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসও।

বডিবিল্ডারদের জন্য অনলাইনে মাতৃদুগ্ধ বিক্রি করে ব্রিটেনে এক মহিলা মাসে ১০ হাজার পাউন্ড রোজগার করছেন এই খবর সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তার পরেই এ ব্যাপারে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে এর বিপদ-আপদ সম্পর্কে জানাতে উদ্যোগী হয়ে পড়েছেন বিজ্ঞানীরা।

কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জনস্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সারা স্টিলে বলেছেন, ‘‘গোড়ার দিকে এই ভাবে অনলাইনে মাতৃদুগ্ধ বিক্রির বিজ্ঞাপনে নীচে খুব ছোট আকারে হলেও এর ব্যবহারের বিপদ-আপদ সম্পর্কেও বিধিসম্মত সতর্কীকরণ করা হতো। এখন সেই সবও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে, যাঁরা অনলাইনে এই মাতৃদুগ্ধ কিনছেন তাঁরা জানতে পারছেন না, এগুলি সদ্যোজাতের পক্ষে কতটা ক্ষতিকর।’’

কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, অনলাইনে কার বিক্রীত মাতৃদুগ্ধ কার কাছ থেকে সংগৃহিত হচ্ছে, তা জানার কোনও উপায় নেই। যাঁর স্তন্যদুগ্ধ কেনা হচ্ছে তাঁর শরীরে কোন কোন রোগ রয়েছে তা জানা সম্ভব হচ্ছে না। আর এটিই বিপজ্জনক হয়ে উঠছে যাদের জন্য মাতৃদুগ্ধ কেনা হচ্ছে সেই সদ্যোজাতদের পক্ষে।

বিজ্ঞানীরা এ-ও জানিয়েছেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অনলাইনে বিক্রি হওয়া মাতৃদুগ্ধের কাঙ্ক্ষিত গুণমান বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের কোনও ব্যবস্থা থাকছে না। তার ফলে, সেই মাতৃদুগ্ধ অবাঞ্ছিত ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়ায় ভরে যাচ্ছে।

ব্রিটেন-সহ কয়েকটি দেশে মাতৃদুগ্ধ বিনামূল্যে দেওয়ার ব্যাঙ্ক রয়েছে। কিন্তু সেখানে তা দেওয়ার আগে নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে রক্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে যেমনটা হয়।

এই সব পরীক্ষা-নিরীক্ষার কোনও ব্যবস্থা নেই বলে অনলাইনে বিক্রি হওয়া মাতৃদুগ্ধ শিশুদের পক্ষে খুব বিপজ্জনক হয়ে উঠছে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। অনলাইনে বিক্রি হওয়া মাতৃদুগ্ধে সাইটোমেগালোভাইরাস অথবা সিএমভি-ও থাকছে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, বিড়ালের দেহে থাকা এই ভাইরাস সদ্যোজাতদের পক্ষে খুবই বিপজ্জনক। তাদের দেহের স্বাভাবিক প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে জন্মের পর থেকেই দুর্বল করে দেয়। তার ফলে, জন্মের ছ'মাসের মধ্যে বা তার সামান্য পরেই নানা ধরনের জটিল রোগের শিকার হয়ে পড়ছে শিশুরা। এই মাতৃদুগ্ধে থাকছে গ্রাম-নেগেটিভ ব্যাক্টেরিয়াও। যা শিশুদের স্বাস্থ্যের পক্ষে খুব ক্ষতিকর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Breastfeeding
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE