চন্দ্রযান-৩ ছবি: সংগৃহীত।
চাঁদে নামার প্রস্তুতি শুরু করে দিল চন্দ্রযান। ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর তরফে জানা গিয়েছে, রবিবার দ্বিতীয় এবং শেষ বারের জন্য স্বয়ংক্রিয় ভাবে গতি কমাবে ল্যান্ডার ‘বিক্রম’। উপবৃত্তাকার কক্ষপথে চাঁদ থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরত্বে থাকলেও গতি কমিয়ে ৩০ কিলোমিটারের কক্ষপথে আসবে ‘বিক্রম’। তার পর ক্রমশ নীচের দিকে নেমে আসবে সেটি। ইসরো আগে থেকেই ঘোষণা করে রেখেছে, আগামী ২৩ অগস্ট চাঁদের মাটি স্পর্শ করবে ল্যান্ডার। কিন্তু অনেকেই মনে করছেন, নির্ধারিত সময়ের আগে চাঁদে নেমে পড়তে পারে ‘বিক্রম’।
গত শুক্রবারই ইসরো তাদের টুইটার (অধুনা এক্স) হ্যান্ডলে জানিয়েছিল, ল্যান্ডারের স্বাস্থ্য এখনও অবধি ভাল রয়েছে এবং চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের পথে যাবতীয় পরিকল্পনা সফল হয়েছে। চাঁদের উপবৃত্তাকার কক্ষপথে ঢোকার জন্য শুক্রবার সকালেই এক বার গতি নিয়ন্ত্রণ করে ‘বিক্রম’। বৃহস্পতিবার চন্দ্রযানের মূল অংশ থেকে ল্যান্ডার আলাদা হয়ে যায়। আগামী বুধবার ল্যান্ডার ‘বিক্রম’-এর পাখির পালকের (সফ্ট ল্যান্ডিং) মতো চাঁদে নামার কথা। বৃহস্পতিবার চন্দ্রযান-৩ থেকে ‘বিক্রম’ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পরেই আনুষ্ঠানিক ভাবে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। ল্যান্ডার ‘বিক্রমে’র সঙ্গে লাগানো রয়েছে বেশ কিছু স্বয়ংক্রিয় ক্যামেরা। তেমনই একটি ক্যামেরা থেকে চন্দ্রপৃষ্ঠের ছবি তুলে ধরেছে সে। সেই ছবির কোলাজ শুক্রবার দুপুরে ইসরোর তরফে টুইট করা হয়।
‘বিক্রম’-এর মূল গন্তব্য চাঁদের দক্ষিণ মেরু। সেখানে এখনও পর্যন্ত কোনও দেশের কোনও মহাকাশযান নামতে পারেনি। ইসরো চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল ভাবে ল্যান্ডার নামাতে সক্ষম হলে ইতিহাস তৈরি করবে ভারত। ইতিহাস তৈরির দিকে এগোচ্ছে রাশিয়াও। তাদের মহাকাশযান লুনা-২৫, ২১ তারিখ চাঁদের বুকে নামতে পারে। বিক্রমের থেকে আর একটু দক্ষিণে, চাঁদের ৭২ ডিগ্রি অক্ষাংশে নামার কথা এটির। চাঁদের দক্ষিণ মেরু এখনও অনাবিষ্কৃত। সেখানে যে আগে পা রাখবে, সে-ই ইতিহাস সৃষ্টি করবে। এই দৌড়ে ভারত রাশিয়াকে হারাতে পারে কি না, সে দিকেই নজর বিশ্ববাসীর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy