Advertisement
E-Paper

টুকরো খবর

হনুমানের কামড়ে জখম হলেন একই গ্রামের পাঁচ বাসিন্দা। শুক্রবার বিকাল থেকে শনিবার সন্ধ্যার মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে খয়রাশোলর কেন্দ্রগড়িয়া পঞ্চায়েত এলাকার বেলেডাঙাল গ্রামে। বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, কখনও দলে থেকে কখনও বা একাকী পথ চলতি বাসিন্দাদের উপর চড়াও হচ্ছে হনুমানটি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঘাড়ে কামড়ে দিচ্ছে সে।

শেষ আপডেট: ১২ মে ২০১৪ ০২:১৮

হনুমানের কামড়ে জখম ৫

নিজস্ব সংবাদদাতা • খয়রাশোল

হনুমানের কামড়ে জখম হলেন একই গ্রামের পাঁচ বাসিন্দা। শুক্রবার বিকাল থেকে শনিবার সন্ধ্যার মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে খয়রাশোলর কেন্দ্রগড়িয়া পঞ্চায়েত এলাকার বেলেডাঙাল গ্রামে। বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, কখনও দলে থেকে কখনও বা একাকী পথ চলতি বাসিন্দাদের উপর চড়াও হচ্ছে হনুমানটি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঘাড়ে কামড়ে দিচ্ছে সে। হনুমানের আক্রমণে জখম গ্রামের জগাই বাদ্যকর, বলরাম বাউড়ি, মনসা বাদ্যকররা তেমনটাই জানালেন। হনুমানের কামড়ে মারাত্মক জখম দুর্গাদাস গড়াই নামে এক ব্যক্তিকে বর্ধমানের উখড়ায় একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়েছে। বাকিরা স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা শুরু করিয়েছেন। এ দিকে, ওই হনুমানকে রুখতে রবিবার সকাল থেকে লাঠি, গুলতি নিয়ে পাহারা দিচ্ছিলেন গ্রামবাসীরা। বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে গ্রামে পৌঁছন বনকর্মীরা। জেলা বনাধিকারিক সন্তোষা জি আর জানিয়েছেন, হনুমানটিকে ধরতে খাঁচা নিয়ে বনকর্মীরা গ্রামে গিয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চেষ্টা চালালেও রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত হনুমানটিকে ধরতে পারেননি বনকর্মীরা।

হাতির হানায় অসমে মৃত ২
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি

হাতির আক্রমণে রাজ্যে দু’জনের প্রাণ গেল। প্রথম ঘটনাটি ঘটল নগাঁও জেলার কাঠিয়াতুলিতে। পুলিশ জানায়, গত রাতে হাতির পাল রেংবেং গ্রামে হানা দেয়। তাদের চলার পথে পড়ে পিষ্ট হন ৬০ বছরের সুখরাম কুর্মী। গত রাতেই গুয়াহাটির পাঞ্জাবাড়ি এলাকায় হাতির সামনে পড়ে মারা যান এক মহিলা। হাতি হানার খবর পেয়েও বনবিভাগ কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় স্থানীয় মানুষ বিক্ষোভ দেখান।

ঝোরায় দেহ চিতাবাঘের
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালবাজার

চা বাগানের ঝোরায় মিলল একটি পূর্ণ বয়স্ক পুরুষ চিতাবাঘের মৃতদেহ। বৃহস্পতিবার মালবাজার গুরজংঝোরা চা বাগান এবং টুনবাড়ি চা বাগানের সীমান্তবর্তী এলাকার সুখানি ঝোরায় দেহ পাওয়া যায়। বন কর্মীদের ধারণা, গত বুধবার রাতেই সম্ভবত বুনোটির মৃত্যু হয়েছে। কীভাবে সেটি মারা গেল তা এখনও পরিস্কার নয়। দেহে বুকের নীচে একটি পুরানো ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। বন দফতরের আধিকারিকেরা জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে পরই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হয়ে যাবে। এ দিন বিকালে গরুমারায় সেটির ময়নাতদন্ত হয়।

আবর্জনা সরাতে শুরু করল পুরসভা

পে লোডার দিয়ে রবীন্দ্রভবন চত্বরে জমে থাকা আবর্জনা সরাতে শুরু করল পুরসভা। জলপাইগুড়ির সমাজপাড়ায় রবীন্দ্রভবনের পাশ দিয়েই বয়ে গিয়েছে করলা নদী। ভবনে ঢোকার মূল গেটের পাশেই নিয়মিত ময়লা জড়ো করে রাখা হত বলে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। রবীন্দ্রজয়ন্তীর আগে বুধবার ভবনের সামনে উপচে পড়া জঞ্জালের স্তূপ এবং সেখানে কুকুর সহ গবাদি পশুর বিচরণ দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার সংবাদ প্রকাশের পরে আবর্জনা সরাতে উদ্যোগী হয় জলপাইগুড়ি পুর কর্তৃপক্ষ। পুরসভার তরফে পে লোডার দিয়ে জরুরি ভিত্তিতে জঞ্জাল সরানো হয়। পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভবিষ্যতে যাতে ওই এলাকায় জঞ্জাল জড়ো না করা হয় তা দেখা হবে।

পাহাড়ে কুকুর-প্রদর্শনী

চৌরাস্তায় সার দিয়ে হাঁটছে ওরা। অনেকটা দুলকি চালে। আর তা দেখতেই পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে। কখনও ভিড় থেকে ভেসে আসছে তুমুল হাততালি বা শিসের আওয়াজ। এমনই দৃশ্যের সাক্ষী থাকল রবিবার সকালের দার্জিলিং চৌরাস্তা। একটি বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে ‘ডগ শো’ আয়োজিত হল দার্জিলিং চৌরাস্তায়। আয়োজককারী সংস্থা জানিয়েছে, ১০টি প্রজাতির মোট ৫০টি কুকুর এ দিনের প্রদর্শণীতে অংশ নিয়েছিলেন। দার্জিলিং এবং লাগোয়া এলাকার বাসিন্দারাই পোষ্যদের নিয়ে প্রদর্শনীতে যোগ দেন। ডালমেশিয়ান, ল্যাব্রাডার, জার্মান শেপার্ড সহ জনপ্রিয় প্রজাতির কুকুরদের প্রদর্শনীতে আনা হয়েছিল। আয়োজককারী সংস্থার সভাপতি মণীশ লামা বললেন, “এই প্রথম ডগ শোয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। অর্থ সংগ্রহ করার জন্যই এই আয়োজন। মূলত পথ কুকুরদের টিকা দেওয়ার কাজ করতেই তহবিল তৈরির চেষ্টা চলছে।” চৌরাস্তার ভিড়ের মধ্যে কলকাতা থেকে আসা পর্যটক কল্পনা দাস বলেন, “যখনই দার্জিলিঙে আসি চৌরাস্তায় বসে বেশ কিছুটা সময় কাটাই। আজকের ডগ শো সেই আমেজের সঙ্গে বাড়তি পাওনা।” ডগ শো দেখে খুশি বিদেশী পর্যটকেরাও। লন্ডন থেকে আসা অনিতা আনন্দ বললেন, “দার্জিলিং সম্পর্কে অনেক কিছু শুনেছিলাম কিন্তু এখানকার বাসিন্দারা যে কুকুর এত ভালবাসেন তা জানতাম না। প্রশিক্ষিক কুকুরদের খেলা, আহ্লাদ দেখে খুব ভাল লাগল।” অংশগ্রহণকারী কুকুরদের জন্য একটি পুরস্কার এবং শংসাপত্রেরও ব্যবস্থা রেখেছিলেন উদ্যোক্তারা।


আপন মনে।—নিজস্ব চিত্র।


আরামের স্নান। জলপাইগুড়িতে সন্দীপ পালের তোলা ছবি।

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy