Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

টুকরো খবর

হুড়ার লধুড়কার মন্দিরে আশ্রয় নেওয়া তিনটি হনুমানের একটির মৃত্যু হয়েছে শনিবার। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার থেকে লধুড়কার একটি মন্দিরে তিনটি হনুমান আশ্রয় নিয়েছিল। তিনটি হনুমানকে একসঙ্গে মন্দিরে দেখে এলাকার বিভিন্ন গ্রাম থেকে শয়ে শয়ে মানুষ মন্দিরে ভিড় করেন।

শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৪ ০২:৫৭
Share: Save:

ভিড়ে হল না চিকিত্‌সা, মন্দিরে হনুমানের মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুরুলিয়া

হুড়ার লধুড়কার মন্দিরে আশ্রয় নেওয়া তিনটি হনুমানের একটির মৃত্যু হয়েছে শনিবার। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার থেকে লধুড়কার একটি মন্দিরে তিনটি হনুমান আশ্রয় নিয়েছিল। তিনটি হনুমানকে একসঙ্গে মন্দিরে দেখে এলাকার বিভিন্ন গ্রাম থেকে শয়ে শয়ে মানুষ মন্দিরে ভিড় করেন। একটি হনুমান অসুস্থ বলে সন্দেহ হওয়ায় বন দফতরে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে বন দফতরের লোকজন হনুমানগুলিকে উদ্ধার করতে গেল উপস্থিত মানুষজনের একাংশের বাধায় তা সম্ভব হয়নি। বনকর্মীদের দাবি, পরের দিন সকালে চিকিত্‌সকদের নিয়ে মন্দিরে গেলেও ভিড়ের কারণে ওই হনুমানের চিকিত্‌সা করা সম্ভব হয়নি। শনিবার মানুষজন দেখেন একটি হনুমানের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। মন্দির কমিটির সম্পাদক তড়িত্‌ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, “আমরাও বন দফতরকে খবর দিয়েছিলাম যাতে হনুমানটিকে চিকিত্‌সা করা হয়। কিন্তু এক দিন বনকর্মীরা এসে প্রচণ্ড ভিড়ের জন্য ফিরে গেলেন। আর এদিকে ভিড় বাড়ছিলই। শনিবার দেখা যায় একটি হনুমানের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে।” তাঁর আক্ষেপ, বন দফতর নিয়ে গিয়ে চিকিত্‌সা করলে হয়তো হনুমানটি বেঁচে যেত।

স্কুলে হরিণ
নিজস্ব সংবাদদাতা • মানবাজার

দোলাডাঙা প্রাথমিক স্কুলে শনিবার দুপুর ১২টা নাগাদ ঢুকে পড়ল চারটি হরিণ। ওই হরিণগুলি মুকুটমণিপুর জলাধারের পশ্চিমপ্রান্তে থাকা ডিয়ারপার্ক থেকে চলে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। মানবাজারের দোলাডাঙা গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ জানান, ডিয়ারপার্ক কাঁটা তারের বেড়া দিয়ে ঘেরা থাকলেও মেরামতির অভাবে কয়েক জায়গায় তার খুলে পড়েছে। ওই ফাঁক দিয়ে মাঝে মধ্যে হরিণ বেরিয়ে পড়ে। জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়েও ঢুকে পড়ে। শনিবার এ রকম একটি দল স্কুল চত্বরে ঢুকে পড়েছিল। মানবাজারের রেঞ্জার সুরেশ বর্মন বলেন, “খবর পেয়ে জেলা অফিসে জানিয়েছি। এলাকায় হরিণদের দেখা মিললে কর্মীদের সঙ্গে সঙ্গে জানাতে বলেছি।”

গাছের চারা রোপণ
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি

ইউনাইটেড ফরেস্ট এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের উদ্যোগে গাছ লাগানো হল সুকনা, সাত মাইল, আট মাইল-সহ নানা এলাকায়। রবিবার ওই সমস্ত এলাকায় পানিশাস, আকাশমণি, রুদ্রাক্ষ, হরিতকি, বয়রা, আমলকি, চালতা-সহ বিভিন্ন চারা গাছ লাগান এলাকার রেঞ্জার এবং সংগঠনের সদস্যরা। বাগডোগরা, কলাবাড়ি, পানিঘাটা, বামুন পোখরিতেও এ দিন চারা রোপন হয়।

বনমহোৎসবে কৃতী সম্মান

পড়ুয়াদের মিছিল গোয়ালতোড়ে।—নিজস্ব চিত্র।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বনমহোৎসব পালিত হল শনিবার। গোয়ালতোড়ের মহালিসাই জঙ্গল থেকে পদযাত্রা দিয়ে উৎসবের সূচনা হয়। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা। উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক জগদীশ প্রসাদ মিনা, বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো-সহ বন দফতরের জেলার আধিকারিকেরা। সকলেই বৃক্ষরোপণের পাশাপাশি বৃক্ষরোপণের গুরুত্বের উপর আলোকপাত করেন। অনুষ্ঠানে জঙ্গল তৈরির ক্ষেত্রে যাঁদের ভূমিকা সব থেকে বেশি সেই রকম ৬ জন বনাধিকারিক ও বনকর্মীকে পুরষ্কৃতও করা হয়। তার মধ্যে যেমন রেঞ্জ অফিসার, বিট অফিসার রয়েছেন তেমনি রয়েছেন বন মজদুরও। বন দফতরের কাজের সুবাদেই তাঁরা অবশ্য এই কাজে কৃতিত্ব দেখানোয় এই সম্মান পেলেন। কিন্তু যাঁদের সঙ্গে বন দফতরের কোনও যোগই নেই, এমন ব্যক্তিকেও এ দিন সম্মান জানানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে যেমন রয়েছেন হুমগড় স্কুলের শিক্ষিকা সাবিত্রী ষন্নিগ্রাহী, তেমনই রয়েছেন গোয়ালতোড় কলেজের এনএসএস বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষ গৌতম বর্মণ। রূপনারায়ণ বন বিভাগের ডিএফও রবীন্দ্রনাথ সাহা বলেন, “এই দুই শিক্ষক নিজেদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, রাস্তায়, বাড়িতে গাছ লাগানোর জন্য মানুষকে উৎসাহিত করেন। তাই তাঁদের সম্মান জানানো হয়েছে।” তিনটি বন সুরক্ষা কমিটিকে তাদের প্রাপ্য ২৫ শতাংশ অর্থও তুলে দেওয়া হয়।

অরণ্য সপ্তাহ পালন

অরণ্য সপ্তাহের শেষ দিনে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় দেড়শো গাছ সাধারণ মানুষের মধ্যে বিলি করল লালবাগের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। রবিবার সকালে লালবাগের ব্যস্ততম পাঁচরাহা বাজার মোড়ে ওই গাছ বিলি করা হয়। নতুনগ্রামের বেশ কয়েকটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের হাতেও ওই গাছ তুলে দেওয়া হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE