আগ্রাসী: মিকুর গোলে প্রথম ম্যাচে জয় পেল বেঙ্গালুরু। আইএসএল
বেঙ্গালুরু ১ চেন্নাইয়িন ০
শাপমুক্তি! এক দিকে ঘরের মাঠে প্রথম বার চেন্নাইয়িন এফসির বিরুদ্ধে জয়। অন্য দিকে গত বার আইএসএল ফাইনালে হারের বদলা। রবিবার রাতে বেঙ্গালুরু এফসি শিবিরে উৎসবের আবহ। দেখা গেল ম্যাচের শেষে গ্যালারির সামনে সুনীল ছেত্রীদের তালি উৎসবের দৃশ্যও।
বেঙ্গালুরুর কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে এ দিন দক্ষিণ ভারতের ডার্বিতে সুনীল বনাম জেজে লালপেখলুয়া দ্বৈরথ নিয়ে ফুটবলপ্রেমীদের আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। যদিও দুই তারকার কেউ-ই গোল করতে পারেননি। সুনীল, জেজে-দের মঞ্চে গোল করে নায়ক বেঙ্গালুরুর নিকোলাস ফেদর ফ্লোরেস (মিকু)। গত মরসুমেও বেঙ্গালুরুর সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন ভেনেজ়ুয়েলা জাতীয় দলের স্ট্রাইকার। কুড়ি ম্যাচে ১৫ গোল করেছিলেন মিকু। কিন্তু সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে ১৮ গোল করে আইএসএলের সর্বোচ্চ গোলদাতা হন এফসি গোয়ার ফেরান কোরোমিনাস।
রবিবার ম্যাচের প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার চার মিনিট আগে গোল করে বেঙ্গালুরুকে এগিয়ে দেন মিকু। চেন্নাই শিবিরের দাবি, অফসাইডে ছিলেন বেঙ্গালুরু স্ট্রাইকার। রেফারি সন্তোষ কুমার অবশ্য তাদের দাবি নাকচ করে দেন। ম্যাচের চব্বিশ ঘণ্টা আগে সুনীলদের নতুন কোচ কার্লোস কুদ্রাত জানিয়ে দিয়েছিলেন, ঘরের মাঠ কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে কখনও জিততে না পারার ইতিহাস বদলাতে মরিয়া তাঁরা। এ দিন তাই শুরু থেকেই অঙ্ক করে ফুটবল খেলেন সুনীলেরা। যে কারণে বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে থাকলেও গোল করতে পারেননি জেজেরা। যদিও প্রথমার্ধে তিনি বেঙ্গালুরু ডিফেন্ডারদের ভুলে গোলের সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি।
চেন্নাই কোচ জন গ্রেগরি চিন্তিত ছিলেন চোট পেয়ে ধনপাল গণেশের ছিটকে যাওয়া নিয়ে। তিনি বলেছিলেন, গণেশের না থাকাটা দলের পক্ষে বিরাট ক্ষতি। গত মরসুমে দলের দুর্দান্ত সাফল্যের নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন এই মিডফিল্ডার। রবিবার কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে মর্যাদার লড়াইয়ে প্রথম বার হারের পর গণেশের অভাব নিশ্চয়ই বেশি করে অনুভব করবেন গ্রেগরি।
আইএসএলে বেঙ্গালুরুর পরের ম্যাচ ৭ অক্টোবর ঘরের মাঠে জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে। এক দিন আগে চেন্নাইও ঘরের মাঠে খেলবে এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy