মাথা খুঁড়েও টেনিস বিশেষজ্ঞরা এ বারের যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে ফেভারিট খুঁজে পাচ্ছেন না। জন ম্যাকেনরো থেকে প্যাট ক্যাশ প্রাক্তন মহাতারকাদের বক্তব্য প্রায় অনুরূপ। এ বছর অন্য তিনটে গ্র্যান্ড স্ল্যামে ছেলে-মেয়ে দুই সিঙ্গলসেই আলাদা-আলাদা চ্যাম্পিয়ন বেরিয়ে এসেছেন। এক দিকে ওয়ারিঙ্কা-নাদাল-জকোভিচ তো অন্য দিকে লি না-শারাপোভা-কিভিতোভা। সোমবার থেকে বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যামে আবার চোটের জন্য নেই লি না আর নাদাল। ফলে ফ্লাশিং মেডোয় নির্দিষ্ট ফেভারিট বার করা আরও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নিউইয়র্কে এই মুহূর্তে নতুন-নতুন স্থাপত্যের মধ্যে বিলি জিন কিং ন্যাশনাল টেনিস সেন্টার অন্যতম আলোচ্য বিষয়। স্টেডিয়ামে আরও তিনটে নতুন কোর্ট। ৪-৫-৬ নম্বর কোর্টের ম্যাচ একসঙ্গে দেখার অভিনব সুবিধেযুক্ত দোতলা গ্যালারি। টিভি কোর্টের (যেখানে দু’টো ভিডিও স্ক্রিন আর ইলেকট্রনিক লাইনকলের বন্দোবস্ত রয়েছে) সংখ্যা বেড়ে সাত এ রকম হরেক উন্নতিসাধন হয়েছে ফ্লাশিং মেডোর পরিমণ্ডলে। অনেকটা তারই মানানসই উন্নতি ঘটেছে ফেভারিটদের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জারদের লড়াইয়েও।
শীর্ষ বাছাই জকোভিচ প্রথম দিনই রাতের সেশনে আর্থার অ্যাশ সেন্টার কোর্টে এটিপি র্যাঙ্কিংয়ে ৮০ নম্বর আর্জেন্তিনীয় দিয়েগো সোয়ার্জমানের সঙ্গে খেলার চব্বিশ ঘণ্টা আগেও বলছেন, “রাফা নেই তো কী? হয়তো রাফার মতোই কেউ হয়ে উঠল!” ফেডেরার পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়ন হলেও ইউএস ওপেনে গত পাঁচ বছর কিন্তু ফাইনালের মুখ দেখেননি। অ্যান্ডি মারে ২০১৩ উইম্বলডন জেতার পর আর গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনাল খেলেননি। হয়তো সেই চাপ কাটাতে সোমবারই রবিন হাসের সঙ্গে প্রথম রাউন্ড ম্যাচের আগের দিনটা মারে কাটালেন রোরি ম্যাকিলরয়ের গল্ফ দেখে আর ম্যাডিসন স্কোয়ার গার্ডেনে বেরিয়ে। বরং সঙ্গা সম্প্রতি রজার্স কাপে জকোভিচ-মারে-ফেডেরারকে পরপর হারিয়ে খেতাব জিতে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে। উইম্বলডনে নাদালকে হারানো অস্ট্রেলীয় টিনএজার কিরগিওস সোমবার চোদ্দো বছরের সিনিয়র মিখায়েল ইউজনির বিরুদ্ধে নামার আগে বলে দিয়েছেন, “নতুন নায়ক হয়ে ওঠার ব্যাপারটা যেন বেশি উপভোগই করছি!”