Advertisement
E-Paper

যুক্তরাষ্ট্র বনাম বিশ্বের লড়াইয়ে অনির্বাণ

ঐতিহ্যের প্রেসিডেন্টস কাপের যোগ্যতা অর্জন করলেন অনির্বাণ লাহিড়ী। ভারতীয় গল্ফারদের মধ্যে যে কৃতিত্ব অন্য কারও নেই। বিশ্বের প্রথম প়ঞ্চাশে থাকাকালীন জীব মিলখা সিংহ এই নজিরের খুব কাছাকাছি চলে গেলেও চোটের জন্য শেষ পর্যন্ত ছিটকে যান।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০২:২৩
ছবি: ইউএসএ টুডে স্পোর্টস।

ছবি: ইউএসএ টুডে স্পোর্টস।

ঐতিহ্যের প্রেসিডেন্টস কাপের যোগ্যতা অর্জন করলেন অনির্বাণ লাহিড়ী। ভারতীয় গল্ফারদের মধ্যে যে কৃতিত্ব অন্য কারও নেই। বিশ্বের প্রথম প়ঞ্চাশে থাকাকালীন জীব মিলখা সিংহ এই নজিরের খুব কাছাকাছি চলে গেলেও চোটের জন্য শেষ পর্যন্ত ছিটকে যান।

১৯৯৪ সালে প্রেসিডেন্টস কাপের সূচনা। ঐতিহাসিক ভাবে এটা দুটো দলের লড়াই— মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপ ছাড়া বাকি বিশ্ব। ইউরোপের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের গল্ফ-যুদ্ধ রাইডার কাপের জন্য তুলে রাখা হয়। দু’বছরে এক বার বসে প্রেসিডেন্টস কাপের আসর। এক বছর যুক্তরাষ্ট্রে, পরের বার আন্তর্জাতিক টিমের সদস্য দেশে। এ বারের টুর্নামেন্ট অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হবে কোরিয়ায়।

আন্তর্জাতিক টিমে যোগ্যতা অর্জন করার শেষ দিন ছিল সোমবার। বিশ্বের ৪০ নম্বর গল্ফার আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডিংয়ে সাতে শেষ করে সরাসরি টিমে ঢুকে পড়েন। যার পর তিনি বলে দিচ্ছেন, ‘‘এই অনুভূতিটা কেমন, বলে বোঝাতে পারব না। ছোটবেলা থেকে রাইডার কাপ দেখতাম আর মন খারাপ হত যে আমাদের জন্য কেন এ রকম কোনও টুর্নামেন্ট হয় না। তবে ভাগ্য ভাল যে প্রেসিডেন্টস কাপের মতো একটা লক্ষ্য আমাদের সামনে আছে। এই টিমে সুযোগ পাওয়াটা বড় কৃতিত্ব।’’

ঠিক কতটা বড়, বোঝা যাবে আর এক গল্ফারের কথায়। কোরিয়া-জাত অস্ট্রেলীয় গল্ফার ড্যানি লির বক্তব্যে। আন্তর্জাতিক টিমে ঢোকার সময় শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে যিনি এই টুর্নামেন্টের যোগ্যতা পান, বস্টনের ডয়েচ ব্যাঙ্ক চ্যাম্পিয়নশিপে মাত্র এক শট বাকি থাকতে। নিজের জন্মভূমিতে প্রেসিডেন্টস কাপ খেলতে এতটাই মরিয়া ছিলেন লি যে, ছাড়পত্র পেয়েই বলে ফেলেন, ‘‘এ বার অন্তত আমি শান্তিতে মরতে পারব!’’

তবে একটা সময় আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডিংয়ের প্রথম দশ থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন অনির্বাণ। কিন্তু পিজিএ চ্যাম্পিয়নশিপে পাঁচ নম্বরে শেষ করে ফের প্রথম দশে জায়গা করে নেন এই বাঙালি গল্ফার। ‘‘ভারতীয় গল্ফারদের উৎসাহ এতে অনেক বেড়ে যাবে। এই টুর্নামেন্ট প্রচুর দর্শক পায়। যুক্তরাষ্ট্রের সবাই দেখে,’’ বলেছেন অনির্বাণ। তাঁর মতোই নজির গড়লেন তাইল্যান্ডের থংচাই জাইদি। নিজের দেশ থেকে প্রথম প্রেসিডেন্টস কাপের টিকিট পেয়ে।

অনির্বাণ এবং থংচাই ছাড়া টিমে রয়েছেন চার অস্ট্রেলীয় (অ্যাডাম স্কট, জেসন ডে, মার্ক লিশম্যান এবং ড্যানি লি), তিন দক্ষিণ আফ্রিকান (লুইস উস্থুইজেন, ব্র্যান্ডেন গ্রেস এবং চার্ল স্কোয়ার্টজেল) এবং জাপানের হিদেকি মাতসুয়ামা। যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে খেলবেন জর্ডান স্পিয়েথ, বুব্বা ওয়াটসন, জিমি ওয়াকার, জ্যাক জনসন, জিম ফুরিক, রিকি ফাউলার, ডাস্টিন জনসন, প্যাট্রিক রিড, ম্যাট কুচার এবং ক্রিস কার্ক। দুই টিমেই পরে দু’জন করে গল্ফার নেবেন টিমের নন-প্লেয়িং ক্যাপ্টেন। আন্তর্জাতিক টিমের দায়িত্বে আছেন জিম্বাবোয়ের ৫৮ বছরের নিক প্রাইস। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপ্টেন জে হাস।

anirban lahiri presidents cup rest of world anirban lahiri presidents cup golf abpnewsletters
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy