Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

সাইনার ব্রোঞ্জ, ফাইনালে সিন্ধু

ইতিহাস পি ভি সিন্ধুর। এশিয়ান গেমসে ব্যক্তিগত ইভেন্টে দেশের প্রথম ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় হিসেবে ফাইনালে ওঠার কৃতিত্ব দেখালেন ২৩ বছর বয়সি তারকা। সোমবার জাকার্তা এশিয়াডের সেমিফাইনালে দ্বিতীয় বাছাই জাপানের আকানে ইয়ামাগুচিকে হারান সিন্ধু। তৃতীয় বাছাই সিন্ধুর পক্ষে ফল ২১-১৭, ১৫-২১, ২১-১০। 

ব্যাডমিন্টনে ফাইনালে উঠে সিন্ধুর উল্লাস। সোমবার। রয়টার্স

ব্যাডমিন্টনে ফাইনালে উঠে সিন্ধুর উল্লাস। সোমবার। রয়টার্স

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৮ ০৪:১৩
Share: Save:

ইতিহাস পি ভি সিন্ধুর। এশিয়ান গেমসে ব্যক্তিগত ইভেন্টে দেশের প্রথম ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় হিসেবে ফাইনালে ওঠার কৃতিত্ব দেখালেন ২৩ বছর বয়সি তারকা। সোমবার জাকার্তা এশিয়াডের সেমিফাইনালে দ্বিতীয় বাছাই জাপানের আকানে ইয়ামাগুচিকে হারান সিন্ধু। তৃতীয় বাছাই সিন্ধুর পক্ষে ফল ২১-১৭, ১৫-২১, ২১-১০।

আগের দিনই সেমিফাইনালে উঠে ১৯৮২ এশিয়ান গেমসে কিংবদন্তি সৈয়দ মোদীর পরে ব্যাডমিন্টনের সিঙ্গলসে ভারতের প্রথম পদক নিশ্চিত করেছিলেন সিন্ধু এবং সাইনা নেহওয়াল। তবে ভারতীয় সমর্থকদের জন্য খারাপ খবর। সিন্ধু ফাইনালে উঠলেও সাইনা ছিটকে গিয়েছেন। সেমিফাইনালে তিনি হারেন বিশ্বের এক নম্বর তাইওয়ানের তাই জু ইংয়ের বিরুদ্ধে ১৭-২১, ১৪-২১। ব্রোঞ্জ নিয়েই তাঁকে সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে।

ফলে ফাইনালে সিন্ধুর সামনে কঠিন লড়াই। ভারতীয় তারকা অবশ্য সোনা জেতার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। তিনি বলেছেন, ‘‘নিশ্চিত ভাবে ফাইনালের লড়াইটা খুব কঠিন। তাই জু খুব ভাল খেলোয়াড়। দারুণ খেলছেও। তবে দেশের হয়ে ফাইনালে নামাটাই বিরাট গর্বের। আমি নিজেকে উজাড় করে দেব। আশা করি দেশের জন্য সোনা জিততে পারব।’’

তাই জু ইংয়ের বিরুদ্ধে মুখোমুখি লড়াইয়ে সিন্ধু ৩-৯ পিছিয়ে। যার মধ্যে শেষ পাঁচ বারই হেরেছেন সিন্ধু। তাইওয়ানের তারকাকে সিন্ধু শেষ হারান দু’বছর আগে রিও অলিম্পিক্সে। এবং শেষ বার সিন্ধুকে তিনি হারান জুনে মালয়েশিয়া ওপেনে।

এ রকম এক জন প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে মঙ্গলবার নামার আগে সিন্ধুর কৌশল কী হবে? সিন্ধু বলেন, ‘‘কৌশল নিয়েই শুধু ভাবছি তা নয়। আমি তাইয়ের খেলা জানি। ও জানে আমার খেলা। তবে কোর্টে ওই দিনটায় কে কেমন খেলছে সেটাই ঠিক করে দেবে কে জিতবে।’’

নিজের পারফরম্যান্স নিয়েও খুশি সিন্ধু। সোমবার প্রথম গেমে জিতলেও দ্বিতীয় গেমে তিনি পিছিয়ে গিয়েছিলেন। তবে তৃতীয় গেমে দাপটে ফিরে আসেন। ইয়ামাগুচি প্রায় দাঁড়াতেই পারেননি এই গেমে। সিন্ধু বলেন, ‘‘সেমিফাইনালের প্রথম গেমটা বেশ ভাল হয়েছিল। দ্বিতীয় গেমে ইয়ামাগুচি ফিরে আসে। তবে আমি তৃতীয় গেমে যে ভাবে খেলেছি তাতে খুশি। এ রকম নয় যে এগিয়ে থাকা মানেই কারণ আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে থাকবে আর কেউ পিছিয়ে থাকা মানেই সে আর ফিরে আসতে পারবে না। তাই প্রত্যেকটা পয়েন্টে সতর্ক থাকতে হয়।’’

যে ভাবে গোটা প্রতিযোগিতায় আমি পারফর্ম করছি তাতে সন্তুষ্ট। আসলে ধারাবাহিক ভাবে ভাল খেলা অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। কতটা বিশ্রাম নিতে পারছি, কত দ্রুত ক্লান্তি কাটিয়ে উঠতে পারছি, সবচেয়ে বড় কথা, কোন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে খেলতে হচ্ছে সেটাও দেখতে হয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE