পারেননি মিলখা সিংহ। পারেননি পি টি ঊষা বা অশ্বিনী নাচাপ্পারা। শেষ পর্যন্ত পারলেন অসমের অখ্যাত গ্রামের এক কৃষকের মেয়ে! বিশ্ব অ্যাথলেটিক্সের ট্র্যাক ইভেন্টে প্রথম সোনা! কিন্তু দিলখোলা অভিনন্দন নয়, খোদ ভারতীয় অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের তরফেই হিমার ইংরেজি বলার অক্ষমতা নিয়ে ব্যঙ্গ করা হল। তীব্র সমালোচনার মুখে অবশ্য পরে ক্ষমা চাইল ফেডারেশন।
ফিনল্যান্ডে অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপের ৪০০ মিটারের ফাইনালে ওঠার পরে হিমার সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। যেখানে ভাঙা ইংরাজিতে সাধ্যমতো জবাব দেন তিনি। সেই ভিডিয়ো-সহ এএফআই টুইট করে, ‘‘হিমা ইংরেজিতে তেমন সড়গড় নয়, কিন্তু সেখানেও সেরাটাই দিয়েছে।’’ যেখানে দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, অমিতাভ বচ্চন, সচিন তেন্ডুলকর, বিরাট কোহালি থেকে শুরু করে গোটা দেশ হিমাকে শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিচ্ছে,, সেখানে এএফআইয়ের এমন মন্তব্যে কড়া সমালোচনা শুরু হয়। শুক্রবার এএফআই দুঃখপ্রকাশ করে হিন্দিতে টুইট করে, ‘‘সকলকে দুঃখ দেওয়ায় আমরা ভারতবাসীর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আমরা কাউকে ছোট করতে চাইনি। বরং বলতে চেয়েছিলাম, আমাদের প্রিয় হিমা কোনও চ্যালেঞ্জের সামনেই দমে যায় না। ট্র্যাক হোক বা বিদেশি সাংবাদিকদের দেওয়া ইংরেজি সাক্ষাৎকার— সর্বত্রই ছোট্ট গ্রাম থেকে আসা মেয়েটি সমান সাহসী
ও স্বচ্ছন্দ।’’
চলতি বছর মার্চ থেকে জুলাই—একের পর এক নজির গড়ে ইতিহাসে ঢুকে পড়া অসমের নগাঁও জেলার ধিঙের দরিদ্র পরিবারের মেয়েটি আগে গ্রামের মাঠে ফুটবল পেটাতেন। অ্যাথলেটিক্স শুরু মাত্র দু’বছর আগে। ৪০০ মিটারে হাতেখড়ি গত বছর। দরিদ্র কৃষক রঞ্জিৎ দাস ও তাঁর স্ত্রী জোমালি দাসের পাঁচ সন্তানের মধ্যে সব চেয়ে ছোট হিমাকে দৌড়ের তালিম দেওয়া তো দূরের কথা, ভাল খাদ্য জোগানোর সামর্থ্যও তাঁর বাবার ছিল না। বাবা ফুটবল খেলতেন। তাই হিমাও বড় হয়ে ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। ২০১৬ সালে অ্যাথলেটিক্সের কোচ নিপন দাস হিমাকে বোঝান, এখানে মহিলা ফুটবলের যা পরিকাঠামো তাতে জাতীয় পর্যায়েই যাওয়া দুরাশা। বরং হিমার পায়ের পেশি মজবুত, গতি ভাল, তাই দৌড়ে মন দিক।
আরও পড়ুন: কাতারে বিশ্বকাপ শীতে, বার্তা ফিফার
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy