Advertisement
E-Paper

ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত হতে পারে বাংলাদেশ, বোর্ড সভাপতিকে সরে যাওয়ার জন্য চাপ সরকারের

হঠাৎই সমস্যায় বাংলাদেশের ক্রিকেট। সভাপতি ফারুক আহমেদকে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দিল সে দেশের অন্তবর্তী সরকার। ফারুখ ইস্তফা দিতে রাজি নন। সরকার তাঁকে জোর করে সরালে আইসিসি নির্বাসিত করতে পারে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০২৫ ১৭:৩১
cricket

ফারুক আহমেদ। ছবি: সমাজমাধ্যম।

হঠাৎই সমস্যায় বাংলাদেশের ক্রিকেট। সভাপতি ফারুক আহমেদকে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দিল সে দেশের অন্তবর্তী সরকার। কিন্তু ফারুখ ইস্তফা দিতে রাজি নন। সরকার তাঁকে জোর করে সরিয়ে দিলে আইসিসি বাংলাদেশকে নির্বাসিত করতে পারে। সব মিলিয়ে, পরিস্থিতি মোটেই ভাল নয়।

বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের যুব এবং ক্রীড়া দফতরের পরামর্শদাতা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ফোন করেন ফারুককে। সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দেন। সেই ঘটনার পর ‘ক্রিকবাজ়‌’ ওয়েবসাইটে ফারুক বলেন, “পরামর্শদাতা বলেছেন ওঁরা আমাকে আর চান না। আমি কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি।”

বৃহস্পতিবার তিনি জানান, এখনই পদত্যাগ করতে রাজি নন। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’র প্রতিবেদন অনুযায়ী ফারুক বলেছেন, “আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি পদত্যাগ করব না। আমাকে বলা হয়েছে, সরকার নাকি আমাকে আর বোর্ড সভাপতি হিসেবে রাখতে চাইছে না। কেন রাখতে চাইছে না, তার কোনও কারণ আমাকে বলেনি। বিনা কারণে তো আমি পদত্যাগ করতে পারি না।”

জাতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক ফারুক পাশে পেয়েছেন সতীর্থদেরও। প্রাক্তন এক অধিনায়ক ‘প্রথম আলো’কে বলেছেন, “বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে কাউকে এই ভাবে ছেলেখেলা করতে দেওয়া যায় না। হঠাৎ ইচ্ছা হওয়ায় একজনকে সভাপতি করলাম, আবার ইচ্ছা হলে কোনও কারণ ছাড়াই তাকে সরিয়ে দিলাম। এ রকম হলে আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনেও প্রশ্নবিদ্ধ হবে বাংলাদেশের ক্রিকেট।”

ফারুক ইস্তফা না দিলে সরকার তাঁকে সরিয়ে দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে, ক্রিকেটে সরকারি হস্তক্ষেপের বিষয়টি রয়েছে। আইসিসি কোনও দেশের ক্রিকেট বোর্ডেই সরকারি হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করে না। ফলে বাংলাদেশকে নির্বাসিত করতে পারে তারা। অতীতে এই কারণে শ্রীলঙ্কা এবং জ়িম্বাবোয়েকে নির্বাসিত হতে হয়েছে।

পরবর্তী বোর্ড সভাপতি হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন প্রাক্তন জাতীয় নির্বাচক আমিনুল ইসলাম। এখন তিনি আইসিসি-র ডেভেলপমেন্ট অফিসার হিসাবে কর্মরত। তিন মাসের নোটিসে চাকরি ছেড়ে বাংলাদেশ বোর্ডে যোগ দিতে পারেন। চলতি সপ্তাহের শুরুতে আমিনুল ঢাকায় ফিরে বোর্ডের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সেখানেই সভাপতি হওয়া নিয়ে আলোচনা হয়।

পরে ‘প্রথম আলো’কে সাক্ষাৎকারে আমিনুল বলেন, “আমাকে বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব নিতে এখনও বলা হয়নি। ক্রীড়া পরামর্শদাতা ও বোর্ড সভাপতির মধ্যে হওয়া বুধবারের সভায় আমি ছিলাম না। তবে ১০-১৫ দিন আগে পরামর্শদাতার তরফে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ওঁরা আমাকে কোনও একটা ভূমিকায় কিছু সময়ের জন্য বাংলাদেশের ক্রিকেটে চাইছেন। আমিও রাজি হয়েছি।”

Bangladesh Cricket Faruque Ahmed Bangladesh Government
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy