মনোজ তিওয়ারি। —ফাইল চিত্র
তৃতীয় দিন মাত্র ৩৪ ওভার খেলা হয়েছিল। আর চতুর্থ দিন তো খেলা শুরুই করা গেল না। তার ফলে পয়েন্ট নষ্ট হল বাংলার। প্রথম ইনিংসে বোলারদের দাপটে জয়ের যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল বাংলার তা মাঠে মারা গেল। উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হল মনোজ তিওয়ারিদের।
তৃতীয় দিনের মতো চতুর্থ দিনও সকাল থেকে কুয়াশার দাপট দেখা যায়। এত কুয়াশা ছিল যে খেলার পরিবেশ ছিল না। তাই আম্পায়ারেরা সিদ্ধান্ত নেন, কুয়াশা কমার অপেক্ষা করবেন। কিন্তু তা আর হয়নি। তখন উত্তরপ্রদেশেরই দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয়নি। বাংলার দ্বিতীয় ইনিংস বাকি ছিল। তাই একটা সময় পড়ে খেলা ড্র ঘোষণা করে দেন আম্পায়ারেরা। প্রথম ইনিংসে লিড নেওয়ার সুবাদে ৩ পয়েন্ট পান মনোজরা। নীতীশ রানার উত্তরপ্রদেশ পায় ১ পয়েন্ট। ম্যাচের সেরার পুরস্কার পেয়েছেন বাংলার বোলার মহম্মদ কইফ।
কুয়াশার দাপটে খেলা না হওয়ায় প্রশ্ন উঠছে রঞ্জির মাঠ নির্বাচন নিয়ে। শীতকালে উত্তরপ্রদেশে কুয়াশার দাপট বেশি হয়। ফলে দৃশ্যমানতা কমে যায়। এই ঘটনা নতুন নয়। সব জেনেও এই সময়ে উত্তরপ্রদেশে কেন খেলা দেওয়া হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
প্রথম দিন মাত্র এক সেশনে ৬০ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল উত্তরপ্রদেশ। বল হাতে দাপট দেখিয়েছিলেন মহম্মদ শামির ভাই মহম্মদ কইফ। তিনি ৪ উইকেট নিয়েছিলেন। জবাবে বাংলা প্রথম ইনিংসে করেছিল ১৮৮ রান। একাই ৮ উইকেট নিয়েছিলেন ভুবনেশ্বর কুমার। প্রথম ইনিংসে ১২৮ রানের লিড পায় বাংলা।
উত্তরপ্রদেশের দ্বিতীয় ইনিংস চলাকালীনই আবহাওয়ার জেরে খেলায় বিঘ্ন ঘটে। তৃতীয় দিনের শেষে ৪ উইকেটে ১৭৮ রান করেছিল তারা। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫০ রানে এগিয়ে ছিল উত্তরপ্রদেশ। চতুর্থ দিন ঠিক সময়ে খেলা শুরু হলে যদি উত্তরপ্রদেশের বাকি ছ’টি উইকেট তাড়াতাড়ি পড়ে যেত তা হলে বাংলার কাছে জেতার সুযোগ থাকত। কিন্তু সেটা হল না। ফলে ৩ পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল মনোজদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy