রবিবার আইপিএলে শেষ ম্যাচ খেলে ফেলল চেন্নাই। ফলে প্রশ্নটা যে উঠবে এটা প্রত্যাশিত ছিল। উঠলও। বরাবরের মতো নিজের অবসর নিয়ে এ বারও ধোঁয়াশা জিইয়ে রাখলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। স্পষ্ট কোনও উত্তর তাঁর মুখ থেকে পাওয়া গেল না।
গুজরাত-চেন্নাই ম্যাচ শেষ হওয়ার পর ক্যামেরা যে ভাবে শুধু ধোনির উপরেই নজর রেখেছিল, যে ভাবে তাঁকে নিয়ে টিভিতে বিভিন্ন ‘গ্রাফিক্স’ দেখানো হচ্ছিল, তাতে ধোনির অবসরের ভাবনা অনেকেরই মাথায় ঘুরতে শুরু করেছিল। আদতে সে সব কিছুই হল না।
পুরস্কার বিতরণীর সময় সঞ্চালক হর্ষ ভোগলে দ্বিতীয় প্রশ্নটাই করেছিলেন অবসর নিয়ে। হালকা হেসে ধোনির উত্তর, “সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আমার কাছে এখনও চার-পাঁচ মাস সময় রয়েছে। কোনও তাড়াহুড়ো নেই। শরীরটা ঠিক রাখতে হবে। নিজের সেরাটা দিতে হবে। যদি ক্রিকেটীয় পারফরম্যান্সের বিচারে খেলোয়াড়দের অবসর নিতে হত, তা হলে অনেকেই ২২ বছরে অবসর নিয়ে নিত। আপাতত রাঁচীতে ফিরে যাব। বাইক-টাইক চালিয়ে সময়টা উপভোগ করব। তার পর দেখা যাবে।”
সঞ্চালক এই উত্তরে সন্তুষ্ট হননি। তিনি আবার ধোনিকে সরাসরি প্রশ্ন করেন অবসর নিয়ে। ধোনির উত্তর, “আমি বলছি না যে আমার সময় শেষ হয়ে গিয়েছে। এটাও বলছি না যে পরের বছর ফিরবই। আমার কাছে সময়ের বিলাসিতা রয়েছে। ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেব।”
ধোনি অবশ্য এটা মেনে নিয়েছেন যে তিনি ‘বুড়ো’ হয়ে গিয়েছেন। আগের ম্যাচে ধোনির পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেছিলেন রাজস্থানের ১৪ বছরের ক্রিকেটার বৈভব সূর্যবংশী। সেই প্রসঙ্গে ধোনি বলেন, “মাঝেমাঝে মনে হয় অনেক বয়স হয়ে গিয়েছে। ডাগআউটে সবার পিছনে বসি আমি। আমার আসনের ঠিক আগেই বসে আন্দ্রে (সিদ্ধার্থ)। সে দিন জিজ্ঞাসা করেছিলাম, ওর বয়স কত? শুনলাম, আমার থেকে ঠিক ২৫ বছর ছোট!”
আরও পড়ুন:
অবসর নিয়ে ধোঁয়াশা রাখলেও একটা বিষয়ে ধোনি নিশ্চিত। পরের বার চেন্নাই আরও শক্তিশালী দল হয়ে ফিরবে। ধোনির কথায়, “মরসুম শুরু হওয়ার সময় প্রথম ছ’টার মধ্যে চারটে ম্যাচই খেলতে হয়েছিল চেন্নাইয়ে। আমরা টসে জিতেও পরে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছিলাম। রান তাড়া করতে গিয়ে অকারণে চাপে পড়ছিলাম। দলের ব্যাটিং বিভাগকে নিয়ে বেশ চিন্তায় ছিলাম। এখন দেখছি প্রত্যেকে অবদান রাখছে। কয়েকটা শূন্যস্থান ভরাট করা ছাড়া বাকি সব ঠিকঠাকই রয়েছে। পরের বছর রুতুরাজ (গায়কোয়াড়) ফিরে এলে ওর খুব একটা চিন্তার কিছু থাকবে না।”