প্রয়াত মিলিন্দ রেগে। মুম্বইয়ের প্রাক্তন অধিনায়ক এবং প্রাক্তন নির্বাচক বুধবার সকালে নিজের বাড়িতে প্রয়াত হয়েছেন। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। রেখে গেলেন স্ত্রী রাজ এবং দুই সন্তানকে। সুনীল গাওস্করের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন মিলিন্দ। তাঁর মৃত্যুতে শোকাহত গাওস্কর এবং মুম্বই ক্রিকেট মহল।
২৬ বছর বয়সে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন মিলিন্দ। সেই ঘটনার পর তাঁর ক্রিকেটজীবন শেষ হয়ে গিয়েছিল। গত রবিবারই ৭৬ বছর পূরণ করেছিলেন তিনি। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত কাজ করেছেন মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার (এমসিএ) পরামর্শদাতা হিসাবে।
তিন দশক ধরে মুম্বইয়ের ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন মিলিন্দ। প্রধান নির্বাচক, নির্বাচক পদে কাজ করা ছাড়াও ক্রিকেট উন্নয়ন কমিটির সদস্য ছিলেন। ১৯৮৮-৮৯ সালে মিলিন্দ নির্বাচক থাকার সময়েই প্রথম বার মুম্বইয়ের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন সচিন তেন্ডুলকর।
মুম্বইয়ের সোনালি যুগের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার ছিলেন মিলিন্দ। অফস্পিনিং অলরাউন্ডার হিসাবে খেলতেন। ১৯৬৭-৬৮ থেকে ১৯৭৭-৭৮ পর্যন্ত টানা ৫২টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছিলেন। ১২৬টি উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি করেছিলেন ১৫৩২ রান। মুম্বই যে সময়ে টানা ১৩ বার রঞ্জি জিতেছিল, সেই সময়ের ক্রিকেটার হলেন মিলিন্দ।
মুম্বইয়ের প্রভাদেবী এলাকার বাসিন্দা মিলিন্দ পড়াশোনা করেছেন সেন্ট জেভিয়ার্স হাইস্কুল এবং সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে। দু’টি জায়গাতেই সহপাঠী হিসাবে পেয়েছিলেন গাওস্করকে। আজীবন তাঁরা একে অপরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। আন্তঃবিদ্যালয় খেলার সময় মিলিন্দের কথাতেই গাওস্কর ওপেনার হিসাবে খেলা শুরু করেছিলেন।
মিলিন্দের মৃত্যুতে এমসিএ সভাপতি অজিঙ্ক নায়ক বলেছেন, “মিলিন্দ রেগে স্যরের প্রয়াণে গভীর ভাবে শোকাহত। মুম্বই ক্রিকেটের একজন সত্যিকারের তারকা ছিলেন। ক্রিকেটার, নির্বাচক এবং মেন্টর হিসাবে ওঁর অবদানের তুলনা হয় না। ওর পরামর্শে বিভিন্ন প্রজন্ম থেকে ভাল ক্রিকেটারেরা উঠে এসেছে। ওঁর অবদান সারাজীবন মনে রাখা হবে। পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের সান্ত্বনা জানাই।”
আরও পড়ুন:
কিছু দিন আগে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এমসিএ-র তরফে কিছু ক্রিকেটারকে সম্মান জানানো হয়। ওয়াংখেড়েতে মুম্বইয়ের প্রথম রঞ্জি ম্যাচে যাঁরা খেলেছিলেন তাঁরা সেখানে ছিলেন। সেই দলে ছিলেন মিলিন্দও। শুধু তাই নয়, সেই ম্যাচে অর্ধশতরানও করেছিলেন তিনি।