Advertisement
E-Paper

প্রতি ম্যাচে বদলাচ্ছে দল, ব্যাটিং অর্ডার! প্রশ্নের মুখে ভবিষ্যৎ, তবু নিজের দর্শনে অটল ‘গবেষক’ গম্ভীর

একের পর এক সিরিজ় বা প্রতিযোগিতায় ব্যর্থ হলে কথা উঠবেই। বিশেষ করে ভারতের মতো ক্রিকেটজনপ্রিয় দেশে। পরীক্ষার দোহাই দিয়ে টানা ব্যর্থতা মানবেন না বোর্ড কর্তারা। সমর্থকেরাও।

picture of Gautam Gambhir

গৌতম গম্ভীর। —ফাইল চিত্র।

অভিরূপ দত্ত

শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২০:১২
Share
Save

এক দিনের বিশ্বকাপে রানার্স, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন। সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছে যাওয়া একটা দল হাতে পেয়েছিলেন গৌতম গম্ভীর। ভারতীয় দলের নতুন কোচের পছন্দ আগ্রাসী ক্রিকেট। দলের খেলার ধরন পাল্টাতে গিয়ে প্রথম থেকেই পরীক্ষা-নিরীক্ষার পথে হেঁটেছেন। তাতে সাদা বলের ক্রিকেটে ধাক্কা খেতে না হলেও, লাল বলের ক্রিকেট ভরাডুবি হয়েছে। ঘরের মাঠে নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে এবং বর্ডার-গাওস্কর ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারতে হয়েছে রোহিত শর্মাদের। তবু নিজের দর্শন বদলাচ্ছেন না গম্ভীর।

পূর্বসূরি রাহুল দ্রাবিড় ছিলেন ঘর আগলে আক্রমণে যাওয়ায় বিশ্বাসী। অকারণ পরীক্ষার পক্ষে ছিলেন না তিনি। কোচ হিসাবে তাঁর ক্রিকেটীয় দর্শন ভারতীয় দলকে প্রত্যাশিত সাফল্য এনে দিয়েছিল।

গম্ভীর দায়িত্ব নিয়েছেন প্রত্যাশার সেই বিপুল চাপ মাথায় নিয়ে। জানতেন ব্যর্থ হলে সমালোচনা ধেয়ে আসবে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) কর্তাদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তাঁকেও পরীক্ষায় বসতে হবে। ভারতীয় দল ভাল কিছু করতে না পারলে, চাকরি যেতে পারে গম্ভীরের। অস্ট্রেলিয়া থেকে ফেরার পরই তাঁকে সেই ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে বিসিসিআই। ফলে যথেষ্ট চাপ নিয়েই দুবাই যাবেন ভারতীয় দলের কোচ। গম্ভীর তবু অটল। ধারাবাহিক ভাবে পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছেন। ভারতীয় দল যেন কোচের ক্রিকেটীয় গবেষণাগার।

নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট

এই ম্যাচে ভারতের প্রথম একাদশে ছিলেন না শুভমন গিল। খেলেছিলেন লোকেশ রাহুল। তাঁকে ব্যাট করতে পাঠানো হয় সাত নম্বরে।

নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্ট

এই টেস্টে ফেরেন শুভমন। বাদ পড়েন রাহুল। প্রথম একাদশ থেকে বাদ দেওয়া হয় মহম্মদ সিরাজ এবং কুলদীপ যাদবকেও। দলে আসেন ওয়াশিংটন সুন্দর এবং আকাশ দীপ।

নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় টেস্ট

তৃতীয় ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া হয় জসপ্রীত বুমরাহকে। দলে ফেরেন সিরাজ।

অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট

লাল বলের ক্রিকেটে পরীক্ষিত আকাশ দীপকে খেলানো হয়নি। টেস্ট অভিষেক হয় হর্ষিত রানার। নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে সব ম্যাচ খেলা সরফরাজ খানকে রাখা হয়নি দলে। আবার কিউয়িদের বিরুদ্ধে শেষ দু’টি ম্যাচ না খেলা রাহুলকে দিয়ে ওপেন করানো হয়। বাদ দেওয়া হয় রবিচন্দ্রন অশ্বিনকেও।

অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্ট

রাহুল অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম টেস্টে রান পাওয়ায় রোহিতকে এই টেস্টে ব্যাট করিয়েছেন ছ’নম্বরে। সেই টেস্টে খেলান অশ্বিনকে।

অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তৃতীয় টেস্ট

অশ্বিনের বদলে রবীন্দ্র জাডেজাকে খেলান এই ম্যাচে। রোহিতকে ব্যাটিং অর্ডারে ছ’নম্বরে রেখে দেন। দ্বিতীয় টেস্টে হর্ষিত ভাল বল করতে না পারায় প্রথম একাদশে ফেরেন আকাশ।

অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চতুর্থ টেস্ট

এই ম্যাচে খেলানো হয় ওয়াশিংটন সুন্দরকে। রোহিতকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় ওপেনিং স্লট। বাদ পড়েন শুভমন গিল। তাঁর পরিবর্ত হিসাবেই খেলেন ওয়াশিংটন! রাহুলকে খেলানো হয় তিন নম্বরে।

অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পঞ্চম টেস্ট

এই ম্যাচে খেলেননি রোহিত। দলে ফেরেন শুভমন। চোট পাওয়া আকাশের জায়গায় খেলানো হয় প্রসিদ্ধ কৃষ্ণকে। ফেরানো হয়নি হর্ষিতকে।

অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিটি টেস্টে প্রথম একাদশ পরিবর্তন করেছেন গম্ভীর। পরিবর্তন করেছেন ব্যাটিং অর্ডার। বর্ডার-গাওস্কর ট্রফিতে ১-৩ ব্যবধানে হেরে দেশে ফেরার পর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সাদা বলের সিরিজ়েও গম্ভীরের পরীক্ষা অব্যাহত।

ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার অপেক্ষায় থাকা মহম্মদ শামিকে খেলানো হয়নি তাঁর ঘরের মাঠ ইডেনে। বিশেষজ্ঞ জোরে বোলার হিসাবে দলে রাখা হয় শুধু অর্শদীপ সিংহকে।

Picture of Mohammed Shami

মহম্মদ শামি। —ফাইল চিত্র।

ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ

চোটের জন্য ছিটকে যাওয়া নীতীশ কুমার রেড্ডির জায়গায় খেলানো হয় ওয়াশিংটনকে। অর্শদীপ এবং রবি বিশ্নোইয়ের ব্যাটিং অর্ডার রদবদল করা হয়। এই ম্যাচেও সাজঘরেই থাকতে হয়েছিল শামিকে।

ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ

এই ম্যাচে অর্শদীপের পরিবর্তে খেলানো হয় শামিকে।

ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চতুর্থ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ

আবার বাদ শামি। ফেরেন অর্শদীপ। বসিয়ে দেওয়া হয় ওয়াশিংটনকে। তাঁর জায়গায় খেলেন শিবম দুবে। তাঁর কনকাশন সাব হিসাবে নামিয়ে দেওয়া হয় হর্ষিতকে। এই ম্যাচেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেক হয় হর্ষিতের।

ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পঞ্চম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ

এই ম্যাচে অর্শদীপকে বিশ্রাম দিয়ে খেলানো হয় শামিকে।

জস বাটলারদের বিরুদ্ধে ৪-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ় জিতলেও প্রতি ম্যাচে প্রথম একাদশ এবং ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন করেছেন গম্ভীর। সূর্যকুমার যাদব এবং তিলক বর্মা দু’জনকেই ব্যাট করানো হয়েছে তিন এবং চার নম্বরে। বোলারদের ব্যাটিং অর্ডার নিয়েও নিরন্তর পরীক্ষা চালিয়েছেন গম্ভীর।

ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম এক দিনের ম্যাচ

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে থাকা অর্শদীপকে বসিয়ে রেখে খেলানো হয় হর্ষিতকে। ৫০ ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই ম্যাচেই অভিষেক তাঁর। এক দিনের ক্রিকেটে চার নম্বরে মানিয়ে নেওয়া শ্রেয়স আয়ার নাকি গম্ভীরের পরিকল্পনাতেই ছিলেন না! বিরাট কোহলি চোট না পেলে তাঁর খেলা হত না। নাগপুরে কোচ ভেঙে দিলেন ভারতের নিয়মিত এবং সফল ওপেনিং জুটিও। যশস্বী জয়সওয়ালকে ওপেন করতে পাঠিয়ে শুভমনকে পাঠানো হল তিন নম্বরে।

তিন ধরনের ক্রিকেট মিলিয়ে ভারতের খেলা শেষ ১৪টি ম্যাচেই বদলে গিয়েছে ভারতের প্রথম একাদশ। বদলে গিয়েছে ব্যাটিং অর্ডার। ব্যাটারদের পাশাপাশি বোলারদের ব্যাটিং অর্ডারও পাল্টে দিয়েছেন গম্ভীর। জোর দিচ্ছেন ২২ গজে বাঁহাতি-ডানহাতি কম্বিনেশনের উপর। যে কারণে রাহুল, হার্দিক পাণ্ড্যের আগে ব্যাট করতে পাঠানো হয় অক্ষর পটেলকে। আবার স্পিনারের পরিবর্তে দলে এসেছেন জোরে বোলার। জোরে বোলারের জায়গায় খেলেছেন অলরাউন্ডার। গম্ভীরের এই ক্রিকেটীয় দর্শন সমস্যায় ফেলছে ক্রিকেটারদেরও।

সমস্যা ১: ক্রিকেটারেরা বুঝতে পারছেন না খেলার সুযোগ পাবেন কিনা। কখনও কখনও জানতে পারছেন এক দম শেষ সময়ে। ফলে মানসিক প্রস্তুতি নেওয়ার পর্যাপ্ত সুযোগ পাচ্ছেন না তাঁরা।

সমস্যা ২: দলে থাকলেও ব্যাটিং অর্ডার বুঝতে পারছেন না ক্রিকেটারেরা। নতুন বল খেলতে হবে না পুরনো বল, তা নিয়ে দ্বিধায় থাকছেন।

সমস্যা ৩: নিয়মিত জুটি ভেঙে যাচ্ছে। ফলে ২২ গজে বোঝাপড়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। বিশেষত খুচরো রান নেওয়ার সময় সতীর্থের চোখ বা হাতের ইশারা বুঝতে পারছেন না অনেক সময়।

সমস্যা ৪: ক্রিকেটারদের মধ্যে সব সময় বাদ পড়ার আতঙ্ক কাজ করছে। আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি হচ্ছে। ঠিক মতো পরিকল্পনাই করতে পারছেন না তাঁরা।

সমস্যা ৫: প্রতি ম্যাচে প্রথম একাদশ বদলে যাওয়ায় মাঠে অধিনায়ককেও রণকৌশল পরিবর্তন করতে হচ্ছে।

এই সবের ফলে জন্ম নিচ্ছে ক্ষোভ, অসন্তোষ। অস্ট্রেলিয়া সফরের সময়ই গম্ভীর-রোহিত বিবাদ দেখা গিয়েছিল। গম্ভীরের প্রথম একাদশ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার আকাশ চোপড়া। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম এক দিনের ম্যাচে গম্ভীরের পরিকল্পনায় প্রথমে শ্রেয়স ছিলেন না জেনে বিস্মিত আকাশ বলেছেন, ‘‘কোন যুক্তিতে শ্রেয়সকে দলে না রাখার কথা ভাবা হয়েছিল বুঝতে পারছি না। কোহলি না খেললে তবে ওর জায়গা হবে! ২০২৩ সালের এক দিনের বিশ্বকাপে ও ভারতের প্রথম চার নম্বর ব্যাটার হিসাবে ৫০০ রান করেছিল। ওকে বসিয়ে রাখার যুক্তি কী? শ্রেয়স না খেললে কোহলিকে কি চার নম্বরে পাঠানো হত? তাতে কোহলির ব্যাটিং অর্ডারও পরিবর্তন হত। শুভমনকে তো আর নিচের দিকে পাঠানো যায় না।’’

Picture of Shreyas Iyer

শ্রেয়স আয়ার। —ফাইল চিত্র।

প্রশ্ন উঠছে। সমালোচনা হচ্ছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ক’দিন আগেও গম্ভীর পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছেন। এখনও প্রথম একাদশ ঠিক করতে পারেননি। টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ে সফল হওয়ায় বরুণ চক্রবর্তীকে ডেকেছেন দলে। তা হলে কেন তাঁকে নাগপুরে দেখে নেওয়া হল না, এই প্রশ্নও উঠছে। গম্ভীরের পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ক্রিকেট মহলের একাংশেই। বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘এত পরীক্ষা ঠিক নয়। এতে দলের ভারসাম্য নষ্ট হয়। ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস ঠিক থাকে না। সাদা বলের ক্রিকেটে তবু হয়। লাল বলের ক্রিকেট এ ভাবে খেলা যায় না। কারও চোট থাকলে আলাদা কথা। কিন্তু শেষ আটটা টেস্টে অকারণ কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। নিউ জ়িল্যান্ডের কাছে ঘরের মাঠে হার মেনে নেওয়া যায় না। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে আরও ভাল ফল হতে পারত। দলের দুই প্রধান ব্যাটার কোহলি আর রোহিতের ফর্মে না থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। দলের ক্ষতি হচ্ছে। সেটা ঢাকতে গিয়ে আরও সমস্যা হচ্ছে। নাম না দেখে ফর্ম দেখে খেলানো উচিত। যেটা অস্ট্রেলিয়া করে। এ ভাবে চললে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পারফরম্যান্সেও প্রভাব পড়তে পারে।’’

ভারতীয় দলের কোচের পক্ষেও মতামত রয়েছে। এখন সারা বছর খেলা হয়। কোনও না কোনও আইসিসির প্রতিযোগিতা প্রায় প্রতি বছর হচ্ছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জায়গা দ্বিপাক্ষিক সিরিজ়গুলিই। কারণ বড় প্রতিযোগিতায় এমন ঝুঁকি নেওয়া যায় না। ভারতীয় দলের কোচ হিসাবে গম্ভীর মেয়াদ পূর্ণ করতে পারলে, আগামী বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ছাড়াও আইসিসির তিনটি প্রতিযোগিতা পাবেন। এ বারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর রয়েছে ২০২৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ২০২৭ সালে এক দিনের বিশ্বকাপ। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, বড় লক্ষ্যে পৌঁছতে হলে, ছোটখাট কিছু হারাতে হয়। দলকে একটা পদ্ধতির মধ্যে রাখতে হয়।

ভারতে ক্রিকেট প্রতিভার অভাব নেই। ধারাবাহিক ভাবে প্রতি বছর চার-পাঁচ জন করে নতুন ক্রিকেটার উঠে আসছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে বা আইপিএলে ভাল পারফর্ম করা আর দেশের জার্সি গায়ে খেল এক নয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চাপ এবং প্রত্যাশা থাকে অনেক বেশি। সেই চাপ সকলে নিতে পারেন না। কে সেই চাপ নিতে পারছেন, কে পারছেন না বা কে কার থেকে বেশি কার্যকর, সে সব বোঝার জন্য খেলাতে হয়। সম্ভাব্য সকলকে দেখে সেরা দল বেছে নিতে হয়। কোচ গম্ভীর হয়তো সেই পদ্ধতির মধ্যে রয়েছেন। হতে পারে তাঁর প্রধান লক্ষ্য আগামী দু’বছরের দু’টি বিশ্বকাপ।

একের পর এক সিরিজ় বা প্রতিযোগিতায় ব্যর্থ হলে কথা উঠবেই। বিশেষ করে ভারতের মতো ক্রিকেটজনপ্রিয় দেশে। পরীক্ষার দোহাই দিয়ে টানা ব্যর্থতা কাম্য নয়। বিশেষ করে নিউ জ়িল্যান্ডের কাছে ঘরের মাঠে ০-৩ ব্যবধানে এবং ১২ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার কাছে টেস্ট সিরিজ়ে হারকে লঘু করে দেখার যুক্তি থাকতে পারে না। কারণ শেষ আটটি টেস্টের ছ’টিতে হেরে ভারত টেস্ট বিশ্বকাপের ফাইনাল থেকে ছিটকে গিয়েছে। ভবিষ্যতের দল তৈরির জন্য পরীক্ষা প্রয়োজনীয় নিশ্চয়ই। লাগামহীন পরীক্ষায় হিতে বিপরীত হতে পারে। দ্রাবিড় ভারতীয় দলের পারফরম্যান্স যেখানে পৌঁছে দিয়ে গিয়েছেন, সেখানে ধরে রাখতে হলেও ভারসাম্য বজায় রাখা দরকার। পরীক্ষা করতে করতে নিজেকেই কঠিন পরীক্ষার মুখে ফেলে দিয়েছেন ভারতীয় দলের কোচ।

Gautam Gambhir BCCI ICC Champions Trophy 2025

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}