চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পুরস্কার বিতরণ নিয়ে পাকিস্তান বোর্ড (পিসিবি)-এর সঙ্গে আইসিসি-র খটাখটি লেগেই আছে। তার মধ্যেই পিসিবি-কে বার্তা দিয়েছে আইসিসি। সফল ভাবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ দিয়েছে তারা।
তবে আইসিসি-র বার্তায় উঠছে প্রশ্ন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বৃষ্টির কারণে তিনটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। তাতে ক্ষতি হয়েছে আফগানিস্তানের। তিনটি ম্যাচেই বেহাল নিকাশি ব্যবস্থা প্রকট হয়েছে। তবু আইসিসি-র পিঠ চাপড়ানিতে উঠছে প্রশ্ন।
এক বিবৃতিতে আইসিসি-র সিইও জিওফ অ্যালার্ডাইস বলেছেন, “সফল ভাবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের জন্য পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা জানাতে চাই। ১৯৯৬ সালের পর সে দেশে প্রথম বার একাধিক দেশকে নিয়ে বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। ফলে পিসিবি-র কাছে এর গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। যাঁরা স্টেডিয়ামের পুনর্নির্মাণ করেছেন, খেলার মাঠ তৈরি করেছেন এবং সফল ভাবে ম্যাচ আয়োজন করতে ভূমিকা নিয়েছেন তাঁদের জন্য আমরা গর্বিত। পুরুষ এবং মহিলাদের প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য যে কোনও প্রয়োজনে আমাদের সাহায্য করায় ধন্যবাদ প্রাপ্য এমিরেটস ক্রিকেট সংস্থারও।”
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে রাওয়ালপিন্ডিতে অস্ট্রেলিয়া বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা এবং পাকিস্তান বনাম বাংলাদেশ ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে যায়। লাহোরে হয়নি আফগানিস্তান বনাম অস্ট্রেলিয়া ম্যাচও। ফলে আফগানিস্তানের শেষ চারে ওঠার স্বপ্ন ধাক্কা খায়। শুধু তা-ই নয়, দু’টি মাঠেরই নিকাশি ব্যবস্থা প্রশ্নের মুখে পড়ে। কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে স্টেডিয়াম তৈরি করা হলেও কেন আউটফিল্ড এবং নিকাশি ব্যবস্থা এত খারাপ, তার জন্য তোপের মুখে পড়ে পাক বোর্ড। যদি আইসিসি-র প্রশংসা পেয়েছে তারা।
আরও পড়ুন:
পিসিবি-র কর্তারাও অবশ্য উৎফুল্ল। ২৯ বছর পর ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) প্রতিযোগিতা নির্বিঘ্নে আয়োজন করাকেই সাফল্য হিসাবে দেখছেন পিসিবি কর্তারা। চেয়ারম্যান মহসিন নকভি সমাজমাধ্যমে লিখেছিলেন, ‘‘পিসিবির দায়িত্বপ্রাপ্ত সব সদস্যকে, নিরাপত্তাবাহিনী, প্রাদেশিক প্রশাসনগুলিকে, আইসিসি কর্তাদের এবং পাকিস্তানে খেলতে আসা সব দলকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। আপনাদের অঙ্গীকার এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টা মর্যাদাপূর্ণ প্রতিযোগিতার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করেছে। সব কিছুই নির্বিঘ্নে হয়েছে। সব মিলিয়ে এক অসাধারণ সাফল্য অর্জিত হয়েছে।’’
নকভি আরও লিখেছিলেন, ‘‘বিশ্বমানের প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে পেরে পাকিস্তান গর্বিত। সকলের সক্রিয় অংশগ্রহণ বিশ্বের ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে প্রতিযোগিতাকে ঐতিহাসিক করে তুলেছে।’’ এক রকম নিজেদেরই পিঠ চাপড়ে দিয়েছেন পিসিবি চেয়ারম্যান।