Advertisement
E-Paper

মনে হয়েছিল আর পারবেন না, ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন শতরানের আগেই! জেমাইমাকে সাহস জুগিয়েছিলেন এক সতীর্থ

শুভমন গিল, রোহিত শর্মা বা বিরাট কোহলি নন। সম্ভবত এই মুহূর্তে ভারতীয় ক্রিকেটে সবচেয়ে আলোচিত নাম জেমাইমা রদ্রিগেজ়। বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ম্যাচ জেতানো শতরানের কৃতিত্ব তিনি দিচ্ছেন সতীর্থদের।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২৫ ১৩:৫৭
Picture of Jemimah Rodrigues

জেমাইমা রদ্রিগেজ়। ছবি: পিটিআই।

ভারতীয় ক্রিকেটে এখন সবচেয়ে আলোচিত নাম জেমাইমা রদ্রিগেজ়। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে ১২৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলার পর ক্রিকেটপ্রেমীদের চোখে তিনিই নায়িকা। যদিও জেমাইমা মানতে নারাজ। তাঁর দাবি, সতীর্থেরা সাহায্য না করলে ওই ইনিংস খেলতে পারতেন না।

ব্যাট করতে করতে একটা সময় জেমাইমার মনে হয়েছিল, সেমিফাইনালে দলকে জেতাতে পারবেন না। মুম্বইয়ের আর্দ্রতায় ভীষণ ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন দীর্ঘ ইনিংসে মাঝে। কৃতিত্ব দিয়েছেন একাধিক সতীর্থকে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে জয়ের পর সাজঘরে দলের পক্ষ থেকে পুরস্কৃত করা হয় জেমাইমাকে। পদক নেওয়ার পর বৃহস্পতিবারের ইনিংস নিয়ে বেশ কিছু কথা বলেন তিনি। তাঁর বক্তব্যের ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।

সাজঘরে জেমাইমা বলেছেন, ‘‘ব্যাট করার সময় আমার রান যখন ৮৫-র কাছাকাছি, তখন ভীষণ ক্লান্ত লাগছিল। দীপ্তির (শর্মা) সঙ্গে কথা বললাম। ওকে বললাম, ‘দীপু তুই তো জানিস আমার কী সমস্যা হয়। আমার সঙ্গে কথা বলতে থাক। না হলে পারব না।’ তার পর প্রতিটি বল খেলার পর পিচের অন্য প্রান্ত থেকে দীপু আমাকে সমানে উৎসাহিত করে গিয়েছে। সাহস দিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, আমার একটা রানের জন্য নিজের উইকেটটাও ছুড়ে দিয়েছে। আউট হয়ে ফিরে যাওয়ার সময় আমায় বলেছিল, ‘চাপ নিস না। ম্যাচ শেষ করে আয়।’’’

জেমাইমা আরও বলেছেন, ‘‘আমার ইনিংসটাই সব নয়। জুটি তৈরি করতে না পারলে জেতা সম্ভব হত না। বিশেষ কিছু অবদান থাকে, যেগুলো সাধারণত চোখে পড়ে না। সেগুলো ছাড়া এ রকম ম্যাচ জেতা যায় না। দীপ্তি, রিচা (ঘোষ), আমনজ্যোতের (কৌর) ইনিংসগুলো ছোট হলেও আমার চাপ অনেক কমিয়ে দিয়েছিল। তার আগে হরমনপ্রীতের (কৌর) সঙ্গে আমার জুটিটাও দুর্দান্ত হয়েছিল। আগে অনেক বার বড় জুটি ভেঙে যাওয়ার পর আমরা হেরে গিয়েছি। দ্রুত বাকি উইকেটগুলো পড়ে গিয়েছে। এখন আমরা দল হিসাবে অনেক উন্নতি করেছি এ ব্যাপারে। তাই জুটি ভাঙার পরও জিততে পেরেছি।’’

সেমিফাইনালে ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলা জেমাইমা সন্তুষ্ট নন। তাঁর কাজ এখনও বাকি। ভারতীয় ব্যাটার বলেছেন, ‘‘সবশেষে একটা কথা বলতে চাই। আমরা অনেক কিছু করেছি। তবে একটা কাজ এখনও বাকি রয়েছে।’’ জেমাইমা বোঝাতে চেয়েছেন রবিবারের ফাইনালের কথা। দেশকে প্রথম বার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করার পরই সন্তুষ্ট হবেন ২৫ বছরের ব্যাটার।

Jemimah Rodrigues ICC Women\'s ODI World Cup 2025 semifinal century
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy