গোটা এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ ঘিরে অনেক বিতর্ক হয়েছে। প্রতিটি ম্যাচেই তৈরি হয়েছে নতুন নতুন সমস্যা। এর জন্য দায়ী পাকিস্তানই। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন সূর্যকুমার যাদব। কেন ফাইনালের ম্যাচ পারিশ্রমিক ভারতীয় সেনাবাহিনিকে দান করেছেন তা-ও জানিয়েছেন ভারতের অধিনায়ক।
ট্রফি জয়ের পর রাতে ‘এনডিটিভি’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সূর্যকুমার বলেন, “দুটো দলের মধ্যে পার্থক্য থাকতেই হবে। আমরা তো কোনও অঙ্গভঙ্গি করিনি। হাত দিয়ে কিছু দেখাইনি। আমরা ভদ্র ভাবেই ম্যাচটা খেলতে চেয়েছিলাম। ওরাই তো বাইরে গিয়ে চেঁচামেচি করেছে। ফলাফল যে কোনও দলের পক্ষে যেতে পারে। কিন্তু ঘরে ফেরার পর নিজের অবদান নিয়ে সন্তুষ্ট, এই অনুভূতিটা থাকা দরকার। বাইরে অনেক কিছু ঘটে। আমি সতীর্থদের বলে দিয়েছিলাম, আবেগ দূরে সরিয়ে রেখে ম্যাচটা খেলো। যা-ই হবে, মেনে নেব।”
১৫ দিনের মধ্যে তিন বার পাকিস্তানকে হারিয়েছেন সূর্য। ভারতের কোনও অধিনায়ক এ কাজ করতে পারেননি। কী রকম অনুভূতি হচ্ছে তাঁর। ‘রেভস্পোর্টজ়’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সূর্য বলেছেন, “৩-০ জিতে দারুণ লাগছে। ছেলেরা অসাধারণ খেলেছে। ছেলেদের থেকে যেটা চেয়েছিলাম সেটাই করে দেখিয়েছে। হয়তো তিন বার মুখোমুখি হওয়া ভাগ্যে লেখা ছিল।”
জয়ের হ্যাটট্রিকের পরেও কি সূর্য মনে করেন পাকিস্তানকে আর ‘শত্রু’ বলা যাবে না? ভারত অধিনায়কের জবাব, “বার বার একই কথা বললে তার মাহাত্ম্যটাই চলে যাবে। আমরা ভাল খেলেছি, ব্যাটে-বলে ভাল ভাবে চাপ সামলেছি বলেই জিতেছি।”
চাপের মুখেও শান্ত থাকেন সূর্য। তবে ফাইনালে নিজেদের ইনিংস দেখতে দেখতে তিনিও চাপে পড়ে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন। সূর্যের কথায়, “মিথ্যা বলব না, খুবই চিন্তায় ছিলাম। হৃৎস্পন্দন মাপলে দেখা যেত মিনিটে ১৫০ বার কাঁপছে। খেলাটা এত উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল যে চিন্তা হচ্ছিল। একজন কোচকে জিজ্ঞাসাও করেছিলাম যে সামনে বসে কী ভাবে ওঁরা এত চাপ সামলান? আমি না হয় সাজঘরে গিয়ে হাঁটতে পারি। ওঁদের তো বসে থাকতেই হয়। উনি বললেন, সাজঘরকে শান্ত রাখাটাই ওঁদের কাজ, যাতে আমরা নিশ্চিন্তে বাইশ গজে গিয়ে নিজের কাজটা করতে পারি। ভাবছিলাম, আমি নিজেও যদি এমনটা করতে পারতাম! আমি ১১-১২ ওভারের পর থেকে সাজঘরে একটানা হেঁটেছি।”
আরও পড়ুন:
সেনাবাহিনিকে ম্যাচ ফি দেওয়ার প্রসঙ্গে সূর্য বলেছেন, “হঠাৎ করেই ভাবনাটা মাথায় এল। গোটা প্রতিযোগিতায় এত দিন কী কী হয়েছে সেটা নিয়ে ভাবতে বসেছিলাম। সাজঘরে বসে খাচ্ছিলাম। খুব শান্ত ছিল জায়গাটা। তখনই এই ভাবনা মাথায় আসে। এর থেকে বেশি আর কী-ই বা করতে পারি। প্রথম ম্যাচে একটা সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেও (পহেলগাঁওয়ে নিহতের জয় উৎসর্গ) ভাবনাটা মাথায় এসেছিল। এ বার করেই ফেললাম।”