সেরা ইনিংসের পাশাপাশি সবচেয়ে কঠিন বোলারদেরও বেছে নিয়েছেন পুজারা। ছবি: পিটিআই
দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে ভারতের হয়ে খেলছেন। কখনও দল থেকে বাদ পড়েছেন। আবার ফিরে এসেছেন। রাহুল দ্রাবিড়ের পর ভারতীয় দলের ‘ওয়াল’ হিসাবে প্রতিষ্ঠা করেছেন নিজেকে। শততম টেস্টের আগে নিজের সেরা ইনিংস বেছে নিলেন চেতেশ্বর পুজারা। তবে একটি নয়, পুজারার পছন্দের তালিকায় বেশ কিছু ইনিংস রয়েছে।
পুজারা সবার আগে রাখলেন অভিষেক ম্যাচে ৭২ রানের ইনিংসকেই। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, “ওই রানটা না হলে হয়তো আর কোনও দিন টেস্ট খেলা হতই না। তার পর, ২০১৪ সালে জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ইনিংসে শতরান। উপমহাদেশের বাইরে আমার প্রথম।”
পুজারার সংযোজন, “২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চিন্নাস্বামীতে ৯২ রান, ২০১৮-১৯ সফরে অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১২৩, সে বারই গাব্বায় ৫৬ রান, যখন আমার গায়ে একাধিক বল লেগেছিল।”
সেরা ইনিংসের পাশাপাশি সবচেয়ে কঠিন বোলারদেরও বেছে নিয়েছেন পুজারা। অকপটে জানিয়েছে, জেমস অ্যান্ডারসনকে খেলতে সবচেয়ে বেশি ভয় পেয়েছেন। পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্যাট কামিন্সও সেরা। অ্যান্ডারসন ১২ বার আউট করেছেন পুজারাকে। এ ছাড়া ২০১১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে মর্নি মর্কেল এবং ডেল স্টেনকেও এগিয়ে রেখেছেন তিনি।
গত বছর দল থেকে বাদ পড়েছিলেন। তা সত্ত্বেও নিজের উপর বিশ্বাস হারাননি পুজারা। নিয়মিত কোচেদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন এবং দলে ঢুকতে গেলে কী করা দরকার, সেটা জেনে নিয়েছিলেন। কাউন্টিকে সাসেক্সের হয়ে ভাল খেলার পরেই ভারতীয় দলে প্রত্যাবর্তন। পুজারা বলেছেন, “দল থেকে বাদ পড়ার পর রাহুল ভাই এবং ভিকি ভাই (বিক্রম রাঠৌর)-য়ের সঙ্গে কথা বলি। স্পষ্ট ভাবে জানতাম যে কী কী কাজ করলে আবার ভারতীয় দলে সুযোগ মিলবে।”
পুজারার সংযোজন, “ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একটি টেস্টে সুযোগ পাই। আমি প্রস্তুত ছিলাম। সাসেক্সের বিরুদ্ধে অনেক রান করায় আত্মবিশ্বাসী ছিলাম।”
১০০ টেস্টে খেলার অভিজ্ঞতা থাকলেও পুজারা এখনও শিক্ষার্থী। নতুন জিনিস শিখতে আপত্তি নেই। বলেছেন, “আমার মানসিকতা এখন বদলে গিয়েছে। শটে নিত্যনতুন বৈচিত্র এনে খেলতেও আপত্তি নেই। এখন অনেক খোলা মনে খেলি। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শেষ সিরিজ়েও সে ভাবেই খেলেছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy