নিকোলাস পুরান। ছবি: আইসিসি।
ভারতের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন নিকোলাস পুরান। ৪০ বলে ৬৭ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলে নতুন নজির তৈরি করেছেন। খোঁচা দিয়েছেন ভারতীয় বোলারদেরও।
দলকে জেতাতে পেরে খুশি পুরান। সিরিজ়ের বাকি তিনটি ম্যাচেও একই ভাবে খেলতে চান তিনি। ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ় দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচের উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য কঠিন ছিল বলে মনে করেন না পুরান। কিছুটা খোঁচা দিয়েছেন হার্দিক পাণ্ড্যদের। তিনি বলেছেন, ‘‘উইকেট ভালই ছিল। গায়ানার উইকেট এ রকমই হয়। বোলারেরা হাফ ভলি, ফুলটস বা খাটো লেংথে বল ফেললে রান তোলার সুযোগ থাকে। সেগুলো কাজে লাগিয়েছি।’’ যদিও জানাতে ভোলেননি তাঁর সাফল্যের পিছনে রয়েছে কঠোর পরিশ্রম। পুরান বলেছেন, ‘‘এই জায়গায় পৌঁছতে আমাকে যথেষ্ট পরিশ্রম করতে হয়েছে। সাফল্য পেলে ভাল লাগে। এখন সব কিছু ঠিক মতো হচ্ছে। মাঝে মাঝে ধারাবাহিকতার সমস্যা হচ্ছিল। তাই অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছি। এখন খেলাটা অনেক বেশি উপভোগ করতে পারছি।’’
আগ্রাসী ব্যাটিংই পছন্দ ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের ব্যাটারের। খেলার ধরন বদলাতে ইচ্চুক নন পুরান। এ নিয়ে বলেছেন, ‘‘নিজে যেমন খেলাটা উপভোগ করতে চাইছি, তেমন ক্রিকেটপ্রেমীদেরও আনন্দ দেওয়ার চেষ্টা করছি। কত রান করলাম, সেটা আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ নয়। ভাল ব্যাট করা এবং ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া বেশি প্রয়োজনীয়।’’
রবিবারের ম্যাচে একটি নজিরও গড়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের প্রাক্তন অধিনায়ক। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভারতের বিরুদ্ধে সব থেকে কম ম্যাচ খেলে ৫০০ রান করার নজির গড়েছেন তিনি। টপকে গিয়েছেন অ্যারন ফিঞ্চকে। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক ভারতের বিরুদ্ধে ১৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ৫০০ রান করেছিলেন। পুরান ভারতের বিরুদ্ধে ১৭তম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে এই মাইলফলক স্পর্শ করলেন।
২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল পুরানের। আইপিএলে তাঁর যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। কিংস ইলেভেন পঞ্জাব, সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলার পর তিনি এখন লখনউ সুপার জায়ান্টসের সদস্য। গত বছর নিলামে তাঁকে ১৬ কোটি টাকা দিয়ে কিনেছিল লখনউ ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy