দল বদলে ফর্মে পৃথ্বী শ। গত বছর পর্যন্ত খেলতেন মুম্বইয়ের হয়ে। চলতি মরসুমের আগে মুম্বই ছেড়ে মহারাষ্ট্রে যোগ দিয়েছেন পৃথ্বী। নতুন দলের হয়ে চণ্ডীগড়ের বিরুদ্ধে দ্বিশতরান করেছেন তিনি। রঞ্জির ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম দ্বিশতরান করেছেন পৃথ্বী। চণ্ডীগড়ের বিরুদ্ধে মাত্র ১৪১ বলে দ্বিশতরান করেছেন এই ওপেনিং ব্যাটার।
চণ্ডীগড়়ের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে মাত্র ৮ রান করেছিলেন পৃথ্বী। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে শুরু থেকে হাত খুলতে শুরু করেন তিনি। প্রতি ওভারে বড় শট মারছিলেন। মাত্র ৬২ বলে করেন শতরান। ২০০ করতে নেন ১৪১ বল। শেষ পর্যন্ত ১৫৬ বলে ২২২ রানে আউট হন পৃথ্বী। ইনিংসে ২৯টি চার ও পাঁচটি ছক্কা মারেন তিনি। ত্রিশতরানের সুযোগ ছিল পৃথ্বীর। কিন্তু চালিয়ে খেলতে গিয়ে আউট হয়ে ফেরেন তিনি।
রঞ্জিতে দ্রুততম দ্বিশতরানের রেকর্ড রয়েছে রবি শাস্ত্রীর। ১৯৮৫ সালে বরোদার বিরুদ্ধে ওয়াংখেড়েতে ১২৩ বলে ২০০ রান করেছিলেন তিনি। শাস্ত্রীর রেকর্ড ভাঙতে পারেননি পৃথ্বী। তবে তিনিও নজির গড়েছেন। রঞ্জিতে প্লেট ও এলিট গ্রুপ মিলিয়ে দ্রুততম শতরান অবশ্য করেছেন তন্ময় আগরওয়াল। গত বছর হায়দরাবাদের হয়ে অরুণাচল প্রদেশের বিরুদ্ধে ১১৯ বলে ২০০ করেছিলেন তিনি। তবে রঞ্জির এলিট লিগের উপরেই নির্ভর করে কোন দল চ্যাম্পিয়ন হবে। তাই প্লেট লিগে করা তন্ময়ের রেকর্ড এ ক্ষেত্রে ধরা হচ্ছে না।
আগের ম্যাচে কেরলের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৫ রান করেছিলেন পৃথ্বী। তবে দু’টি ম্যাচেই প্রথম ইনিংসে রান পাননি তিনি। গত ম্যাচে প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন তিনি। দু’টি ম্যাচেই দ্বিতীয় ইনিংসে রান পেয়েছেন ওপেনিং ব্যাটার।
আরও পড়ুন:
ভারতের হয়ে অভিষেক টেস্টেই শতরান করেছিলেন পৃথ্বী। কনিষ্ঠতম ক্রিকেটার হিসাবে ভারতের হয়ে টেস্ট অভিষেকে শতরান রয়েছে তাঁর। কিন্তু পৃথ্বীর আন্তর্জাতিক কেরিয়ার দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ওজন বেড়ে যায় তাঁর। বিশৃঙ্খল জীবনের প্রভাব তাঁর কেরিয়ারেও পড়ে। বার বার বিতর্কে জড়িয়েছেন পৃথ্বী। মুম্বইয়ের রঞ্জি দলেও অনিয়মিত হয়ে পড়েন তিনি।
কয়েক মাস আগে পৃথ্বী স্বীকার করেছেন, জীবনে বন্ধু বাছতে ভুল করেছেন তিনি। তার প্রভাব খেলায় পড়েছে। তবে ধীরে ধীরে আবার খেলায় ফেরার চেষ্টা করছেন। ওজন কমিয়েছেন পৃথ্বী। পরিশ্রম করছেন। দল বদলেছেন। আবার ভারতীয় ক্রিকেটে ফেরার চেষ্টা করছেন পৃথ্বী। সেই পথে রঞ্জি বড় প্রতিযোগিতা। তার শুরুটা ভাল হয়েছে ডানহাতি ওপেনারের।